• মহানায়ক উত্তমকুমার সম্পর্কে আজ পর্যন্ত অনেক কথাই বলেছি। আবার হয়তো পুরনো সেই কথাগুলো নতুন করে বলতে হবে। তবে একথাও ঠিক, একজন কিংবদন্তি মানুষ সম্পর্কে যত পুরনো কথাই বলি না কেন, সবকিছুই আমাদের কাছে নতুন বলে মনে হয়। উত্তমকুমারের নিষ্ঠা নতুন কিছু নয়। এই নিষ্ঠাকে মূলধন করেই পরিশ্রম ও ধৈর্যের মেলবন্ধনে সুদীর্ঘ পথ বেয়ে তিনি যে মহানায়ক হয়েছেন, সেকথা আবারও বলছি। উত্তমদার কাছ থেকে এই নিষ্ঠার পাঠ আমরা কতজন শিখতে পেরেছি, জানি না। এ ব্যাপারে কারও সঙ্গে তাঁর তুলনা চলে না। কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে এই নিবন্ধে তুলে ধরছি।
ব্যক্তিগত জীবনে উত্তমদার সঙ্গে আমার যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রসঙ্গ উঠলেই আমি অদ্ভুত এক নস্টালজিয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। আমার স্মৃতির দুয়ার এক এক করে খুলে যায়। চন্দননগরে নীরেন লাহিড়ীর ‘লাখ টাকা’ ছবির আউটডোর হচ্ছে। তাতে আমি এবং উত্তমদা দু'জনেই আছি। বেণুদা মানে নীরেন লাহিড়ী পুকুরের ধারে ক্যামেরা বসিয়েছেন। দৃশ্যটা এরকম: উত্তমদা জলে পড়ে যাবেন। ক্যামেরা চালু হওয়ার আগে হঠাৎ আমার কাছে এসে উত্তমদা আমার কানে ফিসফিস করে বললেন, ‘সাবু সিনটা করতে একটু ভয় ভয় করছে। জলে পড়ার সিন তো। ধর যদি ডুবে যাই!' আমি আতঙ্কিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম— কেন আপনি সাঁতার জানেন না? উত্তরে বললেন, ‘না।” যাই হোক ক্যামেরা রেডি। বেণুদা অ্যাকশন বলতেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তমদা জলে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আমি তো ভয়ে একদম সিঁটিয়ে আছি। হঠাৎ দেখি জলে পড়ে উত্তমদা ডুবতে শুরু করলেন। দু’একবার হাত ছুড়লেন। তারপর টুপ করে তলিয়ে গেলেন। আমি চিৎকার করে উঠেছি। সবাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। এমন সময়ে পিছন থেকে শুনলাম উত্তমদার গলা, “কি রে সাবু ভয় পেয়ে গেছিলি?' আসলে উত্তমদা যে ভালো সাঁতার জানতেন, এটা আমার কাছে একদম গোপন করে গিয়েছিলেন। উনি আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এরকম একটা কাণ্ড ঘটালেন। ভাবুন কেমন মানুষ!
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।