CATEGORIES
অতল জলের আহ্বান
অবশ্যই ছিল আশৈশব পরিচিত গ্রাম্য দৃশ্য। এই বৰ্ণভাষার সন্ধান পাওয়ার পর তার আত্তীকরণ হয় রাজস্থানের বর্ণময় নিসর্গে— সে-অঞ্চলে নারী-পুরুষের পােশাকে, রমণীয় অবগুণ্ঠন ও পুরুষের কেশশীর্ষে। রঙের নিজস্ব ভাষ সন্ধান একদা এসেছিল ফরাসি শিল্পী আঁরি মাতিসের তুলিতে, ফভ-বাদী শিল্পকলায়। তারই এক ভারতীয় সংস্করণ দেখা গেল পরেশের ক্যানভাসে ও
নেহরুর ওয়ারিশ
ভারতের ‘গ্লোবাল পাওয়ার’ হবার পথে নেহরুর সরকারের আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। বলা বাহুল্য, আমেরিকা বা সােভিয়েত রাশিয়ার মতাে অন্য দেশকে দমন করার। বাসনায় নেহরু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পেছনে ছােটেননি। তিনি ভাবতেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া দেশের নিজস্ব উন্নয়ন অসম্ভব।
সংশয়ী বলেই প্রাসঙ্গিক
নেহরুর জন্মদিন এলে এখন স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্ন ওঠে— তিনি কি পুরােপুরি অতীত?
বীরের মতাে কাজ
মানুষ যে-দ্বিচারিতার কথা জানে, অথচ বলতে পারে না, তাকে কৌতুকে মুড়ে বীর পৌঁছেছেন মানুষেরই কাছে। কৌতুকশিল্পে এটাই অভীষ্ট।
অক্টোপাস Ltd.
হালকা কিছুটা কমিকাল চরিত্রের বাইরে, একটা অত্যন্ত সূক্ষ্ম হাস্যরস গােটা নাটকটির শরীরে জড়িয়ে থাকে।
বড়মানুষজনের গপ্পো
খাবার তাে শুধু খাবার নয় তাঁর কাছে। একটা । আবেগ। তিনি সাধারণ হয়ে অপেক্ষা করছিলেন, এই তাঁর অসাধারণত্ব। বিনিময়ে এ কী ব্যবহার?
সর্ব যুগে সনাতনে
মান্যবর জমিদার মহাশয়, যেহেতু প্রকাশ আছে যে তুমি নদীয়া জিলার এক বড় জমিদার। আমি অবগত আছি যে পুরুষের পর পুরুষ ধরিয়া নিরন্ন, গরীব রায়তের রক্ত শুষিয়া তােমরা তােমাদের কোষাগারে ধনদৌলতের পাহাড় তুলিয়াছ। কিন্তু তাহার কোন সদ্ব্যবহার নাই। প্রজাপালনের নিয়ম হইল তাহাদিগের হইতে আদায়ীকৃত অর্থ তাহাদের হীতেই ব্যয় করিতে হয়। কিন্তু এর কোনরূপ প্রমাণ নাই যে তুমি তােমার বিশাল জমিদারির
বাঙালি রমণীর গেরিলা জীবন
দুর্গাপুজোর ভাসানের পর যখন মণ্ডপের সজ্জা পাকে পাকে খােলা হতে থাকে, মনকেমনের মাঠে উড়ে বেড়ায় উৎসবের ফেলে যাওয়া পায়ের ছাপ আর ডানার পালক, তখনও পুজো পাবেন বলে ন্যাড়া প্যান্ডেলে শান্ত হয়ে বসে আছেন লক্ষ্মী ঠাকরুন
মানমন্দির নামরহস্য
মানমন্দির কী তা আমরা জানি। কিন্তু এই শব্দটা এল কোথা থেকে?
সব ঝুটা হ্যায়!
ধর্ম যে-ভয়টা দেখায় সেটা আসলে কথা বলাকেই দেখায়। কথা বলাকেই ভায়ােলেন্স দিয়ে চুপ করাতে সব ধর্ম সচেষ্ট।
উত্তরসত্য এবং তার হালহকিকত
উত্তরসত্য-র করাল গ্রাসে আজ পৃথিবী যে সর্বাত্মক ক্ষতির মুখে এসে দাঁড়িয়েছে, তা প্রথম দেখাল। আলােচ্য বইটি।
একশাে কোটির মাইলফলক
শত কোটি বিনােদনী ক্রীড়াক্ষেত্রে শতরানের সঙ্গে তুলনীয় নয় যে, ব্যাট তুলে দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ করতে হবে। এখনও কাজ বাকি আছে।
অথ আস্তিক-নাস্তিক কথা
সুজিত বােসের ‘বিগ বেন’ থেকে স্বর্গত সােমেন। মিত্তিরের কালীপুজো। পরেশ পাল থেকে পার্থ চাটুজ্যে, সুব্রত মুখুজ্যে থেকে ফিরহাদ হাকিম। কোভিড বিধি মেনে মণ্ডপে প্রবেশ না করেও মাকে চট করে এক বার। প্রণাম ঠুকে নেওয়া।
সরস প্রজ্ঞা ও পাণ্ডিত্য ব্র ত ব ন্দ্যোপাধ্যায়
বি, খ্যাত ইংলিশ ক্রিকেটার লেন হাটন সম্পর্কে লিখতে গিয়ে, একটি কবিতায়, আর-এক ব্রিটিশ কবি (এবং ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট-ও বটে) অ্যালান রস কল্পনা করেছিলেন, রদ্যাঁর ভাস্কর্যের মতাে হাটন মাথায় একটি হাত রেখে সামান্য ঝুঁকে আছেন আর সমুদ্রের নীল জল যেন তাঁর চোখের রঙেরই।
নাে টাইম টু ডাই
এই ছবি যতটা জেমস বন্ডের ততটাই ড্যানিয়েল ক্রেগের। নিশ্চিতভাবে এখনও পর্যন্ত যতজন অভিনেতা জেমস বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাঁদের মধ্যে ড্যানিয়েলই সেরা।
একদলীয় বনাম কোয়ালিশন সরকার
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নেতা চিনতে মানুষের কত সময় লাগে?
শিক্ষক ও প্রশাসকের স্মৃতিচারণ
যাঁদের সঙ্গে জীবনের কোনও-না-কোনও পর্যায়ে যােগ ছিল প্রেসিডেন্সির সঙ্গে, তাঁরা এই বই পড়ে বিস্মৃতপ্রায় অতীতকে নতুন করে অনুভব করতে পারবেন।
ভাল বনাম সফল
বে শ কিছুদিন আগের কথা। কোনও একটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। একজন কমবয়সি সহ-অধ্যাপককে জিজ্ঞেস করলাম সে একজন। অধ্যাপককে চেনে কিনা। অধ্যাপকটি আমার [ পুরনাে বন্ধু।
উন্নত রাস্তাঘাট প্রশস্ত করে বিনিয়ােগের পথ
→ অন্যান্য বছরের দুর্গাপুজোর মতাে এই বছরেও আমি কলকাতার বাইরে। এবং জীবনের অনেক বছরের মতাে। এ বছরও পুজোতে আমি আমার দ্বিতীয় বাসস্থান দিল্লিতে। তবে হাফ-প্রবাসী হলে কী হবে, ডিএনএ-তে তাে চেপটে থাকবেই বাঙালি অভ্যেস।
উন্মাদের পাঠক্রম
পুষ্পক রথ এবং গণেশকে সত্যি মনে করে নেতারা দাবি করেন প্রাচীন ভারত এভিয়েশন টেকনােলজি বা প্লাস্টিক সার্জারিতে উন্নত ছিল।
আধুনিক ভারতের নৈতিক সঙ্কট
আ মাদের সাহিত্য পাঠের অভ্যাস সময়ের সঙ্গে, ইতিহাসের প্রেক্ষিতের সঙ্গে বদল হতে হতে চলে। এক সময়ের স্বীকৃত পাঠকৃতি পরবর্তী সময়ে খণ্ডিত হয়, দ্বিধাবিভক্ত হয়, পাঠের নির্মিতির বিবিধ ধারণার চালে আমূল বদলে যায়। বলা বাহুল্য
প্রজন্মের ব্যবধান ও উল্লম্ফন
-1 বঙ্কিমচন্দ্রের কৃষ্ণকান্তের উইল-এর পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ শুরু হচ্ছে এ ভাবে— “দৈনিক কার্য সমস্ত সমাপ্ত করিয়া, প্রাত্যহিক নিয়মানুসারে গােবিন্দলাল দিনান্তে বারুণীর তীরবর্তী পুপােদ্যানে গিয়া বিচরণ করিতে লাগিলেন। .বারুণীর কূলে উদ্যানমধ্যে
অত প্রেম নেই!
ইউভাল নােয়া হারারি তাঁর সেপিয়েন্স গ্রন্থে লিখেছেন যে, নিঃসন্দেহে ‘গম’ জিনিসটাই মানুষকে বনচারী থেকে গৃহী বানিয়ে ফেলেছিল। “From the viewpoint of wheat... We did not domesticate wheat. It domesticated us”।
মা তবুও আসছেন
মেয়েরা উৎসবের মরসুমে নির্ভয়ে বেরােতে পারবেন তাে? মায়ের আসা আর ক’দিনের অপেক্ষা, প্রয়ােজন মেয়েদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা।
রাজপথে উঠিলাম
আগের শতকে আমার মতাে মানুষকে যৌনতাহীন মনে করা হত। আমি তাে যৌনাঙ্গ বানিয়ে নিয়েছি নিজের ইচ্ছেমতাে। এ ভাবে বললে, কথাটার মধ্যে ঔদ্ধত্যের ছোঁয়া রয়েছে বলে মনে হবে।
যে জন প্রেমের ভাব জানে না
অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি দ্বেষ প্রকাশ করা যখন স্বাভাবিক এবং অন্য ধর্মের মানুষের জন্য ভালবাসা জাহির করা যখন নিন্দিত,
স্বকীয় ও স্বতঃস্ফূর্ত দক্ষতার শিল্পী
পদার্থবিজ্ঞান বলে, পৃথিবীতে কোনও স্থানই নাকি শূন্য থাকা সম্ভব নয়। কিছু না কিছু দিয়ে তা পূর্ণ হবেই। সত্যিই কি তাই? এই সংগীত যে এত মানুষ আমাদের। অসময়ে নিরন্তর একা করে দিয়ে চলে যাচ্ছেন, কোথায় পাওয়া যাবে তাঁদের পূর্ণতা?
মনােরাজ্যের চোখ শুভ
ইস্কুলের পাঠ্যবই থেকে সেই কোনকালে হারিয়ে যাওয়া শব্দ আবার মনে আসে হঠাই।
সমদ্রকুল উন্নয়নের মিলিত লক্ষ্য
গত সপ্তাহে নাশনাল। হাইওয়ে থেকে দিঘার পথে বাঁক নিয়ে একটু এগিয়ে যেই দেখলাম, বর্ষার নিচু মেঘের সঙ্গে মসিবর্ণ সমুদ্র মিলেমিশে একাকার, তখনই মনে পড়ল ওয়ারেন হেস্টিংস-এর কথা। হ্যাঁ, তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন কলকাতার অনতিদূরে ছবির মতাে এই গ্রামটি। সেটা ১৭৮০ সাল।। দেখেই আত্মহারা হয়ে দেশে চিঠি লিখেছিলেন, “এই হল প্রাচ্যের ব্রাইটন”।
রুপােলি আলাে
অলিম্পিক্সে ভারত থেকে অংশগ্রহণ করেন অনেকেই, পদক সেই অনুপাতে আসে কম৷ এবারও, আপাতত, একটিই এসেছে, মণিপুরের মীরাবাই চানুর সৌজন্যে। ভারােত্তোলনে ৪৯ কেজি বিভাগে রৌপ্য পদক পেয়েছেন তিনি। ছবিতে জয়ের সেই মুহূর্ত।