CATEGORIES
স্পিকটি নট, কুম্ভমেলা চলছে!
ম্পিকটি নট, কুম্ভমেলা চলছে। গত বছর প্রায় এই সময়েই দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগি জামাতের ২৩৬১ জনের ধর্মীয় জমায়েতকে দেশে করােনা সংক্রমণের জন্য দায়ী করে খুব গালমন্দ করা হয়েছিল। মুড়িমিছরির এক দরে আপামর মুসলিম সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তােলা হয়েছিল। দেশে করােনা পরিস্থিতির জন্য তবলিগি জামাতের সমাবেশকে দায়ী করেছিল নরেন্দ্র মােদির সরকার। কোনও রাখঢাক না-করেই সংসদে লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেছিলেন, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করেই তবলিগি জামাত সমাবেশ করেছিল। পারস্পরিক দূরত্ব মানা হয়নি। ছিল না মাস্ক স্যানিটাইজারের ব্যবহারও। ২৯ মার্চ ওই জমায়েতে অংশ নেওয়া ২৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিস। জামাত প্রধান মৌলানা মহম্মদ সাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্র। জানা গিয়েছিল, ওই জমায়েতে যােগ দিয়েছিলেন ৩৬টি দেশ থেকে আসা ৯৫৬ জন বিদেশি নাগরিক। তাঁদের বিরুদ্ধে ৫৯টি চার্জশিট জমা দিয়েছিল দিল্লি পুলিস। আমি-আপনি, সবাই বলেছিলাম, ঠিক পদক্ষেপ! টুইটারে, হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড হয়েছিল #CoronaJihad। মােদি সরকারের পেটোয়া সঞ্চালকরা বলেছিলেন ‘Human Bomb'।
চতুষ্কোণেই বাজিমাত
গা ছের উপর থেকে নেমে এসেছে চারটি দড়ি। তাতে একজন মানুষের হাত-পা বাধা। স্পাইডারম্যানের ভঙ্গিমায় ঝুলছে, আর পরিত্রাহি চিৎকার করছে। বারবার বলছে আর সে এমন ভুল করবে না। নীচে ততক্ষণে বড় কড়াইতে টগবগ করে তেল ফুটছে। ধীরে ধীরে নেমে আসছে দড়ি। দূরে ততক্ষণে সুখটানে ব্যস্ত বাবলু ভাইয়া। কড়ার প্রায় কাছাকাছি এসে গিয়েছে ঝুলন্ত মানুষটি। তখনও ক্ষমার আর্জি জানিয়ে চলেছে সে৷ জ্বলন্ত সিগারেটে শেষটান দিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ভাইয়াজি। জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়। বলে, তােমায় দেওয়া এই শাস্তি সকলকে চিরজীবন মনে করাবে বাবলু ভাইয়ার স্ত্রীর দিকে বাজে নজরে তাকালে কী পরিণাম হতে পারে।
আলােক বর্তিকা
শঙ্খ ঘােষ কেমন ছিলেন, কত বড় কবি ছিলেন, বলার মতাে আমার কোনও সাহস নেই। অথবা বলতে পারি, ক্ষমতা নেই। খুব সহজ করে বলতে পারি, তিনি আমার বন্ধু ছিলেন। ছিলেন প্রাণের মানুষ। আমার সঙ্গে তাঁর ৪২ বছরের সম্পর্ক। সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বিষাদে। আমি তাঁকে রাত এগারােটার সময়ও ফোন করেছি, কোনও একটি বিষয় জানার জন্য। আমার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে, তা আমি বুঝতে পেরেও প্রশ্ন করে যাচ্ছি, তিনিও উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন। এই হচ্ছে আমার বন্ধু। শঙ্খ ঘােষ। তখন টিভির এক চ্যানেলে ঋতুপর্ণ ঘােষের সিরিয়াল ‘গানের ওপারে’ নিয়মিত দেখতাম। শঙ্খবাবুও তাঁর পরিবার নিয়ে ধারাবাহিকটির দর্শক। সিরিয়ালটি শেষ হলেই, এপার থেকে আমার সঙ্গে তাঁর আলােচনা। হাসি ও গল্প। কোনও কোনও দিন। আমার কান্না। উনি কখনওই বিরক্ত হতেন না। কখনও কখনও কোনও বিষয়ে অনুযােগ করেছি। অভিযােগ। অভিমানের সঙ্গে কথা বলেছি। শঙ্খবাবু শান্ত হয়ে শুনেছেন। কখনও চুপ। কখনও উত্তর দিয়েছেন।
রােগহর সূর্য এবং ভিটামিন ডি
কথিত আছে, কৃষ্ণপুত্র শাম্ব অভিশাপের কারণে আক্রান্ত হয়েছিলেন কুষ্ঠ রােগে। তাহলে এখন রােগমুক্ত হওয়ার উপায় কী? বিহিত হল, সূর্যদেবের উপাসনা করতে হবে শাম্বকে তবেই হবে রােগমুক্তি। অভিশাপ প্রকট অসুখের চিহ্ন শরীরে নিয়ে, শাম্ব চন্দ্রভাগা নদী যেখানে সাগরের সঙ্গে মিশেছে, সেই মােহনায় অর্কদেবের আরাধনায়বসলেন। “হে জগঞ্জোতি, হে বিশ্ব-নয়ন, হে সর্বপাপতারণ! তােমার প্রদ্যোতে আমাকে উদ্ধার কর দেব। আমাকে মুক্তি দাও। তপনদেব প্রসন্ন হলেন, শাম্ব রােগমুক্ত হলেন।
ক্রুজে ভেসে বারমুডা দ্বীপে
আমার বােন রত্না নিউজার্সিতে থাকে। সেই সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল, নিউইয়র্ক থেকে সমুদ্রপথে আট দিনে বারমুডা দ্বীপে ঘুরে আসার। কুইজ’ আমি বললাম। রত্না শুধরে দিল ‘ক্রুজ’! জোগাড়যন্ত্র আগে থেকেই। করা ছিল। আগে থেকে ব্যবস্থা না করলে টিকিট পাওয়া যায় না। জেটি থেকে জাহাজে ঢােকার পর মনে হল ভেতর-বার একাকার। এ যুগে দেশ-দেশান্তর, জল-স্থল, অন্তরীক্ষ যেন কোনও তফাতই নেই। আমাদের কেবিন দশতলা জাহাজের আটতলার উপরে। পায়ের নীচে সাততলা। তারও নীচে পাঁচ হাজার ফুট গভীর জল। দার্জিলিং পর্যন্ত না হলেও কার্সিয়াং ডুবে যাবে। হলেই বা আটতলা জাহাজ, এই চরাচর বিস্তৃত জলে সে তাে মােচার খেলা!
আমি কখনওই ভাবিনি যে অভিনেত্রী হব: পাওলি দাম
চ রিত্রটির নাম ‘বাসুকী। রহস্যে | মােড়া এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন টলিউড নায়িকা পাওলি দাম। শুভ নববর্ষের সময় জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে ক্রাইম-থ্রিলার ধর্মী হিন্দি ছবি ‘রাত বাকি হ্যায়'। ছবির মূল চরিত্রে পাওলি ছাড়া আছেন অনুপ সােনি, রাহুল দেব সহ আরও অনেকে। এই ছবিটিকে। ঘিরে দারুণ উচ্ছ্বসিত পাওলি। এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এই ছবিটি নিয়ে পাওলি শােনালেন অনেক কথা।
আইপিএলের নতুন তারা
আ ইপিএল নাকি ভারতের ‘ক্রিকেট উৎসব’! তা মানতে অবশ্য আপত্তি নেই। কোটি টাকার লিগ। বিশ্বের সব নামীদামি ক্রিকেটারদের সমাগম। গ্ল্যামারে ভরপুর। তবে এ সবের বাইরেও আলাদা এক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে আইপিএলের। প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ হিসেবে। যশপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার বা যুজবেন্দ্র চাহাল, রবীন্দ্র জাদেজার মতাে অনেক নামী ক্রিকেটারের আবির্ভাব ঘটেছে এই টুর্নামেন্ট থেকে। প্রতিবছর বেশ কিছু নতুন প্রতিভা আইপিএলে নজর কেড়ে জাতীয় দলের ঢােকার সম্ভাবনা জাগায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু তরুণ তুর্কি নিজেদের জাত চিনিয়েছেন। যেমন হার্শল প্যাটেল, চেতন। সাকারিয়া, অর্শদীপ সিং ও আবেশ খান। তারকাদের ভিড়েও আলাে কেড়েছেন।
অ্যাথলেটিকসের আতুড়ঘর
শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতাে গজিয়ে ওঠা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের মতােই পরিবেশ। সন্তানরা প্র্যাকটিস করছে। আর মা-বাবারা বাইরে বসে গল্প করছেন। সােদপুর স্টেশন থেকে বড়জোর এক কিলােমিটার। দূরত্ব। মাঠের ভিতর প্রবেশ করার পর ভুল ভাঙল। আরে এ তাে ক্রিকেট নয়, অ্যাথলেটিকস ট্রেনিং সেন্টার! পিছিয়ে পড়া এই খেলাকে নিয়ে অভিভাবকদের এতটা উৎসাহ থাকতে পারে! তাও আবার অর্থ ও গ্ল্যামার সর্বস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট-ফুটবল লিগের যুগে! সােদপুর অ্যাথলেটিক্স কোচিং ক্যাম্প। যাকে সারা দেশ চেনে ‘সােদপুর এসিসি’ নামেই। উত্তর ২৪ পরগনার এই অঞ্চলে না এলে বােঝা যাবে না, অ্যাথলেটিকসও পারে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছতে।
হাম্পির স্থাপত্য-ভাস্কর্য
একটি প্রচলিত কথা আছে, গঙ্গানদীতে অবগাহন করলে যে পুণ্য হয়, নর্মদা দর্শন এবং তুঙ্গভদ্রা নদীর জল পান করলে সেই একই পুণ্য হয়। শাস্ত্র অনুসারে। দক্ষিণ ভারতের এই তুঙ্গভদ্রা নদীর জল পীযূষতুল্য মৃতসঞ্জীবন। কিন্তু গঙ্গা-নর্দার পরিচয় কিছুটা জানা থাকলেও তুঙ্গভদ্রার কিংবদন্তিময় উৎপত্তির ইতিহাস অনেকটাই অজানা। পুরাণ মতে দক্ষযজ্ঞের পরে সতী দেহত্যাগ করে আবার জন্মগ্রহণ করেন ব্রহ্মার কন্যা রূপে। নাম হয় পম্পা। কেউ কেউ আবার বলেন পম্পা দেবী নয় সে এক আদিবাসী কন্যা। যাই হােক, যৌবনে পৌঁছে ঘাের তপস্যার পর শিবকে পতি রূপে লাভ করেন। পম্পা। তাঁদের বিবাহ হয় যেখানে তার নাম হয় পম্পাক্ষেত্র। সংস্কৃত পম্পে শব্দই কন্নড়ে রূপান্তরিত হয়ে হাম্পে শব্দের সৃষ্টি হয়। ইংরেজিতে হাম্পে বদলে হয় হাম্পি। রামায়ণে উল্লেখিত ঋষিমুখ, হেমকূট, অঞ্জনাদ্রী এবং গন্ধমাদন পর্বতে ঘেরা এই জায়গাকেই আমরা চিনি বালি ও সুগ্রীবের রাজধানী কিষ্কিন্ধ্যা নামে। তবে পুরাণের পাশাপাশি বর্তমান হাম্পির আকর্ষণও কিছু কম নয়। আর সেই সব কারণ মিলিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাম্পি।
স্ক্যাম১৯৯২'-এর ছায়ায় ঢেকে ‘বিগবুল'
বিলাসবহুল হােটেলের কনফারেন্স রুমে বসে রয়েছে বিশিষ্ট সাংবাদিক মীরা রাও (ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ)। উপলক্ষ বই প্রকাশের অনুষ্ঠান। প্রবীণ এই সাংবাদিক একটি বই লিখেছে। নাম দ্য বিগ বুল। যার মুখ্য চরিত্রকে বম্বের সকলে এক ডাকে চেনে। নাম হেমন্ত শাহ (অভিষেক বচ্চন)। এই মানুষটি আশির দশকে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের রাজা ছিল। তার কথায় স্টকের দাম ওঠানামা করত। রাজনৈতিক নেতা, নামীদামি কোম্পানির মালিক সকলেই যােগাযােগ রাখত তার সঙ্গে। বিগবুলের পরামর্শে শেয়ারে লগ্নি বাড়াত। কিন্তু আচমকাই বিরাট স্ক্যামে নাম জড়িয়ে যায় তার। সেই অঙ্কের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা। আইনি পদ্ধতিতে লড়াই করার চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষে শ্রীঘরে ঠাঁই হয় তার। অবশেষে বন্দি অবস্থাতেই হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। কিন্তু জেলে যাওয়া যখন প্রায় নিশ্চিত তখন একদিন মীরাকে ডেকে পাঠায় হেমন্ত। জানায়, তার জীবনের কাহিনি সকলের সামনে আসা উচিত। অনুরােধ করে তাকে নিয়ে বই লিখতে। সেই কথাই রেখেছে প্রবীণ সাংবাদিক। হেমন্তের মৃত্যুর পর বই লেখে। তাকে কাছ থেকে জানার সুবাদে বহু অজানা তথ্য রয়েছে সেই বইতে। তাই সামনে সার সার চেয়ারে বসে থাকা সকল শ্রোতাই লেখিকার মুখ থেকে হেমন্তের জীবনের সেই গুপ্ত কাহিনি শুনতে চায়। আচমকাই বই রিলিজ নিয়ে বলতে শুরু করে মীরা। বলে, আপনারা যাকে স্ক্যামস্টার বলে চেনেন, সেই সময়ে সে কিন্তু সকলের কাছে হিরাে ছিল। এই সময়ে এক শ্রোতা মীরাকে। জিজ্ঞাসা করে বসে, আপনার কাছেও কি সে হিরাে ছিল? হেসে লেখিকা বলে, স্বাধীনতার পরবর্তী ৪০ বছরে ভারতে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এটা অন্যায়। হেমন্ত শাহ যেটা করেছে সেটাও অন্যায়। কিন্তু এই অন্যায়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য হয়তাে আমাদের এইরকমই একটা কিছুর দরকার ছিল। হেমন্ত যদি ধীরে চলতে পারত তাহলে বােধহয় বেশ কিছুদিনের জন্য মার্কেটে টিকে থাকতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। যদিও সে ছিল স্বপ্নের সওদাগর। তাই তার কাহিনি সকলের সামনে আসা উচিত।
শ্রীফল।
বেলি পাকলে কাকের কী?’ বা ‘ন্যাড়া একবার বেলতলায় যায়’—অনেকেই তাঁদের অতীতের কোনও বিশেষ অভিজ্ঞতাকে বর্তমানে প্রকাশ করেন এভাবেই। সাধারণ মানুষ বেলকে তাই খুব বিশেষ একটা স্থান দেন না—তাঁদের কাছে বেলগাছ, আর পাঁচটা গাছের মতােই; ফলটিও সেই প্রকার। ‘বজাদপি কঠরাণী মৃদুনানী কুসুমাদপি—'। বজ্রের মতাে কঠিন কিন্তু ফুলের মতাে নরম— এটাই হল বেলের প্রকৃতি। বাইরে কঠিন প্রাচীর তুলে ভেতরের ক্ষীর সিন্ধু সৃষ্টির বীজকে বাঁচিয়ে রেখেছে। শাস্ত্র বলছেন, বেলগাছকে বেষ্টন করে শত হস্ত পরিধি ব্যাপী স্থান হল শিবক্ষেত্র। জ্ঞানীর চোখে বেলগাছ শিব-শিবা স্বরূপ। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, সাধারণ জীবের পক্ষে যা অন্ধকারময় রাত্রি, জ্ঞানীর কাছে তা উজ্জ্বল আলােকময় দিন। স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব, শ্রীবিষ্ণু ব্ৰহ্মাদি সহ সকল দেবতা, ঋষি-মুনি থেকে শুরু করে আচার্য শঙ্কর পর্যন্ত সবাই বেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সংসার গার্হস্থ্য থেকে সন্ন্যাস-সাধনা, উপনয়ন থেকে বিবাহ। বেলকে অনেকে বলেন ‘ব্রহ্মফল। যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণদেব ব্রহ্মের স্বরূপ বােঝাতে এই উপমা ব্যবহার করেছেন, ‘বেলের খােলাটা যেন জগৎ। জীবগুলি যেন বিচি।...যে সত্তাতে শাঁস সেই সত্তা দিয়েই বেলের খােলা আর বিচি হয়েছে। বেল বুঝতে গেলে সব বুঝিয়ে যাবে।
মঙ্গলে কি আদৌ বসবাস করা যাবে? চিন্তিত নাসার বিজ্ঞানীরা
মঙ্গলের মাটিতে মহাকাশযান নামানাের পর থেকে সেখানে জীবনের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য, আগামীদিনে সেখানে মানুষের উপযােগী উপনিবেশ গড়ে তােলা। কিন্তু মঙ্গলে অভিযানের আগে থেকেই এখন একটা প্রশ্ন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে। তা হল, মহাকাশচারীরা লালগ্রহে আদৌ নিরাপদ কি না।
জে ত ব ন
রাজগীর নগরের প্রধান শ্রেষ্ঠী অনাথপিণ্ডদ বুদ্ধের জীবন ও বাণীর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। আজীবন দান-ধ্যানে রত অনাথপিণ্ডদ স্থির করলেন তথাগতের জন্য একটি বিহার নির্মাণ করে দেবেন। বন্ধুদের জানালেন, ‘তথাগতের জন্য আমি একটি বিহার নির্মাণ করে দেব স্থির করেছি। যে বিহারে বসে তিনি বহু মানুষের জীবনে শুভ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন এবং তাঁর সন্ন্যাসী সঙ্ সেই বিহারের মধ্যেই পরিপুষ্ট হয়ে উঠবে। কিন্তু এই সাধু ইচ্ছা। মনে এলেও সেটি ঠিক কীভাবে রূপায়িত হবে এবং কোন স্থান বিহারের জন্য নির্ধারিত হবে—এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না।
জিজুর মগজাস্ত্র
ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন বিশ্বকাপ। পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলে রয়েছে একাধিক * ট্রফি। তা সত্ত্বেও সাফল্যের খিদে তাঁর এতটুকু কমেনি। বুটজোড়া তুলে রাখার পর কোচের ভূমিকাতেও যথেষ্ট সফল জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পদে প্রথম ইনিংসটা কেটেছিল স্বপ্নের মতাে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি লা লিগা, ক্লাব বিশ্বকাপ—সব ট্রফির স্বাদ পেয়েছিলেন জিজু। ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাের সঙ্গে তাঁর রসায়ন মাদ্রিদের ক্লাবটিকে পৌঁছে দিয়েছিল সাফল্যের চূড়ায়। তবে ২০১৮-১৯ মরশুমে পর্তুগিজ মহাতারকা ও জিদান দল ছাড়তেই মুখ থুবড়ে পড়ে রিয়াল। প্রমাদ গােনেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনাে পেরেজ। ছ'মাসের মধ্যেই ফের কোচের পদে ফিরিয়ে আনা হয় জিজুকে। তখন অনেকেই বলেছিলেন, রােনাল্ডােহীন দলকে সাফল্য দেওয়ার মতাে ধার ফরাসি কোচের মগজাস্ত্রে নেই। কিন্তু জিনেদিন জিদান যে অন্য ধাতুতে গড়া। গত মরশুমে রিয়ালকে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন করার পর এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শােনা গিয়েছিল, ‘ফুটবল দলগত সংহতির খেলা। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দু-তিনটি ম্যাচ জেতা যেতে পারে। কিন্তু কোনও টুর্নামেন্ট নয়।
বিচারকের আসনে বসাটা সবসময়ই চাপের: শিল্পা
আবার ধুমধাম করে শুরু হল সােনি চ্যানেলের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শাে ‘সুপার ডান্সারচ্যাপ্টার ফোর’। বিচারকের আসন জমিয়ে রেখেছেন বলিউড নায়িকা। শিল্পা শেঠি। অন্যদিকে তিনি দীর্ঘদিন পরে আবার বড় পর্দায় ফিরছেন। আজও সেই প্রথমদিনের মতােই তাঁর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট ঝড় তােলে। তাঁর ফিটনেসের জাদুতে মুগ্ধ হন আমজনতা। সেই শিল্পা শেঠি এক আড্ডায় শােনালেন তাঁর জীবনের বহু কথা।
বেল কতটা উপকারী?
বেল ঔষধি গুণ সম্পন্ন হলেও আমাদের কাছে প্রায় উপেক্ষিত৷ রােগ প্রতিকারের জন্য বেলপাতা, কাঁচা বেল, বেল, ফুল, মূল ও গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারি। কাঁচা সর্দিতে ও সর্দির প্রবণতায় বেলের কোন অংশ কীভাবে খাবেন? আমাশা, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হার্ট, পেটের নানা সমস্যা ও দুর্বলতায় বেলকে কীভাবে ব্যবহার করবেন ? পরামর্শ দিলেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি৷ শাস্ত্র বেলগাছকে দেবতার আসন দিয়েছে। পবিত্র বৃক্ষ বেলগাছের গােড়ার শত হাত ব্যাপী চারদিকের স্থানকে শিব-ক্ষেত্র বলা হয়। সাংসারিক সুখ-ঐশ্বর্য, রােগ-ব্যাধি, অবিবাহিতের বিয়ে, কর্মবধা, বিভিন্ন সাফল্য এমনকী যৌবন সুরক্ষায় শাস্ত্র এই বেলের নানা গুণপনার কথা বলেছে। জানালেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভেস্তে গেল সলমন-জন দ্বৈরথ
সলমন খান বনাম জন আব্রাহাম এর লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে | ছিলেন বলিউডপ্রেমী দর্শক। ঈদে ভাইজানের ‘রাধে: ইওর মােস্ট ওয়ান্টেড ভাই’ আর জনের ‘সত্যমেব জয়তে ২’ রিলিজ করার কথা ছিল। কিন্তু সেই আগাম পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে করােনার দ্বিতীয়। ঢেউয়ে। ভারতের বুকে আছড়ে পড়েছে। চীনা ভাইরাসের সেকেন্ড
তন্ত্রের রহস্যময় চৌষট্টি যােগিনী...
সাপ্তাহিক বর্তমান ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সংখ্যায় প্রকাশিত সােমব্রত সরকারের ‘তন্ত্রের রহস্যময় চৌষট্টি যােগিনী কারা ? শীর্ষক রচনাটি অত্যন্ত মূল্যবান ও প্রাসঙ্গিক। লেখাটি থেকে বহু অজানা বিষয় সম্বন্ধে জানতে পেরে সমৃদ্ধ হলাম। এ প্রসঙ্গে দু-একটি উল্লেখযােগ্য তথ্য সংযােজন করতেই আমার এই
আমি পরিচালকের বাধ্য অভিনেতা : অভিষেক বচ্চন
ট্রোলারদের নিশানায় বার বার পড়তে হয় বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে। নেট দুনিয়ায় নানান কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে। তবে এসব ব্যাপারকে মােটেই পাত্তা দেন না জুনিয়র বচ্চন। অনেক সময় বিরক্ত হয়ে ট্রোলারদের সমুচিত জবাব দেন। বর্তমানে তাঁর কেরিয়ারের চাকা দুরন্ত গতিতে ছুটছে। এবার এক অসাধারণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ডিজনি-হটস্টারে সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘দ্য বিগ বুল’ ছবিতে জুনিয়র বচ্চন স্টক ব্রোকার হর্ষদ মেহেতার ভূমিকায় অভিনয় করলেন। এখানে অবশ্য তাঁর চরিত্রটির নাম হেমন্ত শাহ। চৈত্রের এক বিকেলে বলিউড তারকা অভিষেক বচ্চন শােনালেন নানান কথা।
ডবল ইঞ্জিনের ভাঁওতা!
মাএ চার বছরে নাকি উত্তরপ্রদেশকে বদলে দিয়েছে। বিজেপি সরকার, বাংলায় নির্বাচনী সভা করতে এসে সর্বত্র এমনই দাবি করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যােগী। বলছেন, কেন্দ্র-রাজ্যে বিজেপি সরকারে থাকলে নাকি চড়চড় করে উন্নতি হয়। যােগীর লক্ষ্য একটাই, মােদির ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর তত্ত্ব বাংলার মানুষের মাথায় গেঁথে দেওয়া।
ঘরােয়া উপায়ে রােগ নিরাময়
গত ৩০ জানুয়ারি ২০২১-এর সাপ্তাহিক বর্তমান পত্রিকায় “ঘরােয়া উপায়ে রােগ নিরাময়’ বিষয়ে বেশ উপযােগী আলােচনা করা হয়েছে। এই ব্যাপারে কয়েকটি কথা বলার জন্যই এই চিঠি। এ কথা সর্বৈব সত্য যে বিভিন্ন শাক, ফল ইত্যাদি প্রয়ােগ করে ঘরােয়া উপায়ে পরিবারের সদস্যদের নানা রােগব্যাধি সহজেই নিরাময় করা যায়। প্রতিটি মানুষের পেটের সমস্যা বড় সমস্যা। কয়েকটি পাতার কথা বলব যেগুলি খেতে পারলে ছােট বয়স থেকে পেটের রােগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রথমটি হল গাঁদাল গাছের পাতা। গাঁদাল একটি লতানে গাছ। এই গাছের জন্য কোনওরকম যত্নের প্রয়ােজন হয় না।
আমাদের চারপাশ আমাদের পরিবার
কে কে মানবেন জানি না, কিন্তু আমার বােনের নাম ফরিদা বেগম, ভাইয়ের নাম করিমুল চৌধুরী, মেয়েদের নাম সােমা রুইদাস, সুজিতা মাড্ডি, পুত্রের নাম মংলু সােরেন। যদি বলেন, পাতানাে সম্পর্ক, তাে আমি ঝগড়া করব। এ সত্যি সম্পর্ক। রক্তের সম্পর্ক সত্য, তবে শেষ সত্য নয়।
সিংহ শৃগাল কথা
পুরাকালে বারাণসী রাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময়ে বােধিসত্ত্ব সিংহ রূপে জন্মগ্রহণ করে কোনও এক পর্বতের গুহায় বাস করত। একদিন সে গুহা থেকে বের হয়ে পর্বতের পাদদেশ অবলােকন করছিল।
তুফান
আমাদের তাে কাজই ভয় নিয়ে। উল্টো দিকের লােকের | চোখে চোখ রাখলে সে যেন কেঁপে ওঠে। মুম্বইয়ের নামজাদা গুন্ডা আঞ্জু ভাইকে (ফারহান আখতার) বােঝাচ্ছে তার বন্ধু (বিজয় রাজ)। কিন্তু সকলকে মারধর, ভয় দেখানাের এই কারবারের মাঝেও অন্য এক স্বপ্ন দেখে আঙ্গু। তার ইচ্ছে সে বক্সার হবে। ঘরে টাঙানাে রয়েছে নামীবক্সারের। পােস্টারও। অলস দুপুরে প্রায়ই সেই ছবির দিকে তাকিয়ে থাকে। কল্পনাকে বাস্তবে রূপায়িত করার পথ খোঁজে। কিন্তু দিশার হদিশ মেলে না। শেষে একদিন বান্ধবীকে সে তার (সুনাল ঠাকুর) মনের কথাটা খুলে বলে। তার বান্ধবী বলে, আঞ্জু ভাই নাকি আজিজ আলি বক্সার—কোনটা তুমি হতে চাও? পথ তােমাকেই বাছতে হবে। মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আজিজ। সােজা গিয়ে পৌছয় বক্সিং কোচের (পরেশ রাওয়াল) আস্তানায়। জানায়, সে বক্সার হতে চায়। তার কথা শুনে হেসে ফেলে কোচ। বলে, কেন ভাই? বক্সিং শিখতে চাও কেন? লােককে মারধর করবে না কি? সেসব বক্রোক্তিকে পাত্তা দেয় না আজিজ। সে লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছে। বক্সিং রিংয়ের কিং হবে সে। তার দৃঢ়চেতা মনােভাবের কাছে পরাস্ত হয় কোচও।
স্বপ্নের দেশ লে-লাদাখ
নানা স্বাতী সান্যাল রঙের পাহাড়, একাধিক নদীর নীল জলরাশি, পর্বতবেষ্টিত প্রশান্ত হ্রদ, কারাকোরাম পর্বতমালা, অসংখ্য বৌদ্ধ স্তৃপ ও প্রাচীন বৌদ্ধ মঠ, শান্তি প্রিয় ও হাসিখুশি মানুষজনসব মিলিয়ে যেন লে-লাদাখ এক স্বর্গ। এমন ঐশ্বর্যশালী দেশে জন্মেছি বলে গর্ববােধ হয়। সকল দেশের রানি বলতেও কুণ্ঠা বােধ হয় না। এক অনির্বচনীয় স্বর্গীয় অনুভূতি নিয়ে ফিরে এলাম মর্ত্যে লে-লাদাখ থেকে রাজধানী দিল্লিতে। প্রচণ্ড ঠান্ডা থেকে গ্রীষ্মের দাবদাহে।
হােমিওপ্যাথিতে নীরােগ ত্বক
ত্বকের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমরা সবাই কমবেশি সচেতন, তবে শুধুই রূপ নয়, সুস্থ জীবনযাপনের জন্যও ত্বক সুস্থ থাকাও জরুরি। দেহের বৃহত্তম অঙ্গ হল ত্বক। আর এই ত্বকের রয়েছে হাজারও অসুখ।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়েপিক ‘অভিযান'
অবশেষে মুক্তি পেল প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বহু আলােচিত বায়ােপিক ‘অভিযান’-এর ট্রেলার। কোনওদিন আত্মজীবনী লিখতে চাননি সৌমিত্রবাবু। বলতেন, “আমার কাজের মধ্যেই ছড়িয়ে রয়েছে আমার জীবনালেখ্য। তাঁর সেই কর্মজীবনের মণিমুক্তো নিয়েই পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় তৈরি করেছেন বায়ােপিকটি। সেইসূত্রে এসেছে ব্যক্তিগত জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সুখ-দুঃখ, মান-অভিমানের বৃত্তান্তও। পর্দায় প্রবীণ অভিনেতাকে সরাসরি প্রশ্ন করেছেন ডাঃ সঞ্জয় সেন রূপী পরমব্রত। উত্তর দিয়েছেন স্বয়ং সৌমিত্রবাবু। সময় পিছু হেঁটেছে ফ্ল্যাশব্যাকে।
বন্ধ হয়নি বর্ণবিদ্বেষ
ব ‘সে নােটু রেসিজম’ -বিদ্বেষের প্রতিবাদে ২০০৭০৮ সালে ফিফা প্রথমবার এই স্লোগান চালু করেছিল। তারপর বছরের পর বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু ফুটবল থেকে বর্ণবিদ্বেষের বিষ মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ফুটবল মাঠে এই ঘৃণ্য আচরণের আঁচ পড়েছে। শিকার হয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ খেলােয়াড়রা। আর প্রতিবারই গােটা বিশ্ব গর্জে উঠেছে একজোটে। সেই লড়াই আজও চলছেই।
চলে গেলেন শশীকলা
চলে গেলেন হিন্দি সিনেমার এককালের দাপুটে অভিনেত্রী শশীকলা। জন্ম ১৯৩২ সালের ৪ আগস্ট কোলাপুরে। বিখ্যাত বস্ত্র ব্যবসায়ী অনন্ত রাও জাওয়ালকরের পরিবারটি ছিল শিক্ষা-সংস্কৃতিতে বিশেষ উল্লেখযােগ্য। অনন্ত রাও মারাঠি সঙ্গীতের অনুরাগী হওয়ায় বহু শিল্পীকে পাদপ্রদীপের সামনে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। অনন্ত | রাওকে একসময় আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়। শশীকলা তখন সদ্য এক স্বপ্নে ভাসা কিশােরী। সবে মাত্র গান। | শিখে নাচের তালিম নিচ্ছেন। খুব ইচ্ছে পেশাদার নৃত্যশিল্পী হওয়ার।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলন ২০২১
রাজ্যের, জ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমির উদ্যোগে পাঁচদিন ব্যাপী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সম্মেলন আয়ােজিত হল রবীন্দ্রসদনে। প্রায় চল্লিশ জন শিল্পী এবারের সঙ্গীত সম্মেলনে। অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শুরু হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ও দেবজ্যোতি বসুর সুর করা সমবেত বসন্তবন্দনা (আজ বসন্ত পঞ্চমীতে) দিয়ে। সংবর্ধনা দেওয়া হয়। হৈমন্তী শুক্লা, সাবির খাঁ, দেবজ্যোতি বসু, শুভঙ্কর ব্যানার্জি, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার ও তন্ময়। বসুকে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুরু হয় হাসান হায়দার খানের সানাই বাদন দিয়ে। তিনি রাগ মুলতানি বাজিয়ে শােনান। তাঁকে তবলায় সহযােগিতা করেন অসিতকুমার জানা। কণ্ঠ সঙ্গীতে প্রথম দিনেই মন। ভরালেন অমৃতা সরখেল। শুরু করেন বেহাগ রাগে বাঁধা একটি বন্দিশ দিয়ে। শেষে শােনান একটি বেনারসি হেরি। দুটি নিবেদনেই প্রতিশ্রুতির ছাপ রাখলেন অমৃতা। শৈলজারঞ্জন মজুমদারের ভ্রাতুস্পুত্র শুভায়ু সেন মজুমদার সারেঙ্গিতে বাজালেন রাগ পিলু। তবলায় নানা রেলা কায়দায় আসর মাত করেন তন্ময় বসু। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আসর জমিয়ে দেন। রােশনী সরকার। শােনান রাগ বেহাগ।