‘সেক্টর ৩৬' ছবিটি সত্য ঘটনার ছায়ায় নির্মিত। নির্দিষ্ট কোন ঘটনার আধারে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে? •• নির্দিষ্ট কোনও একটা ঘটনা ঘিরে ছবিটি তৈরি হয়নি। আমরা অনেকগুলো ঘটনাকে একত্রিত করে ছবিটি করেছি। কথাটা বলতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তবে এটাই বাস্তব।
• ছবির চরিত্র হয়ে উঠতে আপনি কি কোনও রেফারেন্স নিয়েছিলেন? •• সিরিয়াল কিলার নিয়ে একটা বই আছে, আমি সেই বইটা রেফারেন্স হিসেবে পড়েছিলাম। অডিও-ভিস্যুয়াল মাধ্যম দ্বারা খুব তাড়াতাড়ি প্রভাবিত যেমন হই, তেমনই আবার খুব তাড়াতাড়ি বোর-ও হয়ে যাই। তাই ভিস্যুয়াল রেফারেন্স কম ব্যবহার করেছিলাম। বইয়ের সাহায্য বেশি নিয়েছিলাম। কিন্তু যতই গবেষণা করুন না কেন, তা কম মনে হবে। কারণ সিরিয়াল কিলার বা সাধারণ হত্যাকারীরা সমাজের আর পাঁচটা মানুষের মতোই হন। বাহ্যিক রূপ দেখে তাদের আলাদা করা যায় না। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য শুধু আলাদা হয়। প্রায় দু'দশক বছর ধরে অভিনয় করছি। আমি প্রশিক্ষিত অভিনেতা নই। তাই সমাজকে পর্যবেক্ষণ করে, সেখান থেকে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করি। ‘সেক্টর ৩৬’ ছবির ক্ষেত্রেও তাই করেছিলাম।
この記事は Saptahik Bartaman の 21 September 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Saptahik Bartaman の 21 September 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
বাঘাযতীন দীপালিকার বার্ষিক অনুষ্ঠান
সুজাতা সদনে বাঘাযতীন দীপালিকা সঙ্গীতালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠানে সুপর্ণা ঘোষের “তমসো মা সদগময়” পাঠের মাধ্যমে সূচনা হয়। স্বরূপ পালের হাতে দীপালিকা স্মারক সম্মান প্রদান এবং সংগীত, শ্রুতিনাটক ও নৃত্যের মাধ্যমে সন্ধ্যা সেজে ওঠে। তপন মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় রজনীকান্ত সেনের জীবনী অবলম্বনে ‘নাট্যগীতে রজনীকান্ত’ বিশেষ আকর্ষণ ছিল।
বর্ণময় নাট্যোৎসব
থিয়েটার উৎসব 'ডেলিনেটর দেবাশিস' সমকালীন নাট্যধারার এক অনন্য উদযাপন। দেবাশিস দত্তর নির্দেশনা ও অভিনীত সাতটি প্রযোজনা মঞ্চস্থ করে রাজ্যের বিভিন্ন নাট্যদল। প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীর উদ্বোধনী বক্তব্যে উঠে আসে আধুনিক থিয়েটারের বদলে যাওয়া ধারা। প্রতিদিন নাটকের পর ছিল গঠনমূলক আলোচনা, যেখানে অংশ নেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্বরা।
অন্ধোঁ কা হাতি
পদাতিক থিয়েটার ও রিখ-এর যৌথ প্রযোজনায় পদাতিক লিটল থিয়েটারে মঞ্চস্থ হল শরদ যোশির লেখা হিন্দি কমেডি নাটক ‘অন্ধোঁ কা হাতি’। বিনয় শর্মার নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় একদল অন্ধ মানুষের গল্প, যারা হাতি সম্পর্কে নিজেদের কল্পনা প্রকাশ করে, দর্শকদের ভাবায়। নাটকটি সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতীকী অর্থে সমসাময়িক এবং অভিনয়, আলো, ও নির্দেশনার জন্য প্রশংসিত।
অভিষেক-ঐশ্বর্য সম্পর্ক কোন খাতে?
বচ্চন পরিবারে টানাপোড়েন! অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাইয়ের সম্পর্ক ঘিরে বলিউডে চলছে নানান জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, নিমরত কাউরের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনে দাম্পত্যে ফাটল। তবে, পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সবাই এই বিষয়ে নীরব। সময়ই বলবে, এই সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়!
আদিবাসী গ্রামের গল্প
আসছে হরর-সাসপেন্সে ভরপুর হিন্দি ছবি 'খতরনাক মঞ্জিল'। ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে একটি আদিবাসী গ্রামের রহস্যময় ঘটনাকে ঘিরে। পরিচালনায় এমডি সমীর খান ও দিলীপ ভার্তি। প্রধান চরিত্রে রয়েছেন অভিজ্ঞ অভিনেতা আলি খান। ছবির সঙ্গীতে রয়েছেন নওশাদ আলি। চলতি বছরের শেষেই মুক্তি পাচ্ছে।
সম্পর্কের নতুন রসায়ন
চোদ্দো বছর পর শর্মিলা ঠাকুরের বাংলা ছবিতে ফেরা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের প্রযোজিত ‘পুরাতন’ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়িয়েছে। মা-মেয়ের সম্পর্কের আবেগঘন এই কাহিনিতে শর্মিলার অভিনয় পেয়েছে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। সুমন ঘোষের অনন্য পরিচালনায় এই ছবি বাঙালি দর্শকদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেবে।
দেবীবরণ বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মেলবন্ধন
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের টানাপোড়েনে গড়ে উঠেছে দেবযানী ও অনিকেতের রহস্যময় প্রেমের গল্প, ‘দেবীবরণ’। মধুডিহি গ্রাম কি পারবে তাদের ভালোবাসার সাক্ষী হতে?
ব্ৰহ্মা নন্দিনী
রামায়ণে অহল্যা এবং ঋষি গৌতমের গল্পে, অহল্যাকে অভিশাপ দিয়ে পাথরে পরিণত করা হয়। ব্রহ্মার আদেশে গৌতম তাঁকে পালন করে বিবাহ করেন, কিন্তু দেবরাজ ইন্দ্রের ষড়যন্ত্রে অহল্যা অপবিত্র হন। শেষে গৌতমের শাপে অহল্যা নদী রূপে রূপান্তরিত হন এবং শাপমুক্ত হন।
বাঙালি জাতি-সত্তার খোঁজে
বাঙালি জাতিসত্তার মূল ভিত্তি তার ভাষা, সংস্কৃতি, এবং ঐতিহ্য। ধর্ম কখনোই জাতির পরিচয় হতে পারে না, কারণ বাঙালি জাতি বহু ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে। তপোধীর ভট্টাচার্য এই বইয়ে বাঙালি জাতির ঐক্য এবং পরিচিতি রক্ষার জন্য লড়াইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, যেখানে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সংগ্রামও স্পষ্ট।
ইতিহাস ও কল্পনার যুগলবন্দি
বাংলা কথাসাহিত্যের জগতে গজেন্দ্রকুমার মিত্রের শুরুটা হয়েছিল ছোটগল্পের হাত ধরেই। উপন্যাস লেখার সময় অবশ্য বিশাল ক্যানভাস এবং নানা চরিত্রের আনাগোনা সেই সময়ের লেখক গোষ্ঠী থেকে তাঁকে আলাদা করেছিল। ঔপন্যাসিক গজেন্দ্রকুমার মিত্রের প্রথম উপন্যাস ‘মনে ছিল আশা'। সাহিত্যের নানা শাখায় তিনি কলম বিস্তার করেছেন। তিনি যখনই কাহিনি নির্মাণ করেছেন সেই কাহিনি নিপাট হয়েছে। সামাজিক উপন্যাস থেকে ভৌতিক কাহিনি সাহিত্যের সব ধারায় তিনি অবাধ বিচরণ করেছেন। সাহিত্যের সেই রকমই একটি ধারা ঐতিহাসিক। গজেন্দ্রকুমার মিত্র এই ধারাতে সার্থক কাহিনি বিস্তার করে পাঠকের জন্য পরিবেশন করেছেন। ‘ঐতিহাসিক সমগ্র' বইটিতে সাতটি উপন্যাস রয়েছে। যাকে সপ্তগাথাও বলা চলে। ঐতিহাসিক রচনার অন্তরে থাকে ইতিহাসের সত্য। আর ভিতরাঙ্গে থাকে সম্ভাবনা। ইতিহাসের আকর ভূমিতে দাঁড়িয়ে লেখক যেমন তথ্যের প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন, তেমনই নিজের বিবেকের টানে চরিত্র নির্বাচন করেন। ঘটনা নির্মাণে যেমন আবেগ-অনুভূতির প্রকাশ থাকে তেমনই সত্যের সঙ্গে কল্পনার সঠিক লাগামে গল্প হয়ে ওঠে উপভোগ্য। যেখানে কল্পনার অভাব থাকে সেখানে রূপকল্পনা ঐতিহাসিক উপন্যাসের অলংকার হয়ে ওঠে। গজেন্দ্রকুমার মিত্রের উপন্যাসগুলিতে তথ্য ও তত্ত্ব সুনিপুণভাবে প্রতিফলিত। গল্পগাথা কখনও কিংবদন্তির আদলে লোকমুখে প্রচারিত হয়। সেই কাহিনিকেই ঐতিহাসিক তথ্যের সঙ্গে মিশিয়ে উপন্যাসের বিষয় করে তুলেছেন গজেন্দ্রকুমার মিত্র। ‘ঐতিহাসিক সমগ্র’ কিছু কাহিনি আমাদের চেনা আর কিছু অজানা। সমগ্রের প্রথম উপন্যাস ‘নাগকেশরের মধু’। মুঘল হারেমের ভেতরকার এক অপূর্ণ প্রেম আর ত্যাগের কাহিনি। শাহজাহান, দারা, জাহানারা, রৌশনারার মতো ঐতিহাসিক চরিত্রকে নিয়ে লেখক কাহিনি নির্মাণ করেছেন। অবশ্যই এসেছে সম্রাট আলমগীর অর্থাৎ আওরঙ্গজেবের কথা। প্রেম, হারেমের রাজনীতি, ষড়যন্ত্র সবই এসেছে কাহিনিতে। আবার ‘দহন ও দীপ্তি ' উপন্যাস সুপুরুষ মারাঠা পেশোয়ার বাজিরাও আর মস্তানির প্রেম কাহিনি। পেশোয়ার বাজিরাও প্রেমে পড়েন মস্তিবাঈ বা মস্তানির বাজিরাও বিবাহিত। পেশোয়ার মা রাধাবাঈ এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেন না। মস্তানিকে বন্দি করার নির্দেশ দেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন বাজিরাও। প্রহরী রঘুজি মস্তানিবাঈকে লুকিয়ে মুক্তি দেন কারাগার থেকে। অকালেই বাজিরাওয়ের মৃত্যুর পর সহমরণে গেলেন মস্তানি। চিতা যখন সেজে ওঠেছে তখন কাঁদতে কাঁদতে মস্তানি উপস্থিত হন সেই স্থানে। আকুল অনুরোধ করেন পেশোয়ার সঙ্গে সহমরণে যাওয়ার। কারণ বাজিরাও ছাড়া তাঁর বেঁচে থাকা অর্থহীন। সবাই যখন তাঁকে অপমানিত করে সরিয়ে দিতে যায়। সেই সময় এগিয়ে আসেন। বাজিরাওয়ের পত্নী কাশীবাঈ। তিনি মস্তানিকে সহধর্মিণীর স্বীকৃতি দেন। তারপর মস্তানি বাঈকে এগিয়ে নিয়ে যান রাওয়ের চিতার দিকে। মস্তানি চিতায় প্রবেশ করেন। তথ্যকে কাহিনির বেড়াজালে বন্দি করে গজেন্দ্রকুমার মিত্র পরিবেশন করেন। ‘রাখাল ও রাজকন্যা’ প্রেমের উপন্যাস। গজেন্দ্রকুমার মিত্র উপন্যাসের শুরুতেই বলেছেন, ‘এই উপন্যাসটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত হলেও এর মূল কাহিনি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। ইতিহাস যেখানে সুপ্রত্যক্ষ— সেখানে অবশ্যই ইতিহাসের মর্যাদা রক্ষিত হয়েছে, কিন্তু তৎসত্ত্বেও একে ঠিক ঐতিহাসিক উপন্যাস বলা সঙ্গত হবে না।' সিপাহি বিদ্রোহের পটভূমিকায় লেখা এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র পাঠান মুলুক থেকে পালিয়ে আসা কৃষক যুবক আগা। আগা মহম্মদ পোষ মানায় বাহাদুর শাহের নাতনি মেহেরের ঘোড়াকে। সে সম্রাটের রক্ষী। এই রক্ষীর প্রেমে পড়ে মেহের। একসময় ভালোবাসার টানে রাজকীয়া হারেমের সুখ শান্তি ছেড়ে আগা মহম্মদের সঙ্গে ঘর বাঁধে মেহের। গরিব যুবকের সঙ্গে সাধারণের মতো দিন গুজরানেও জেগে থাকে প্রেম। সিক সমগ্র মুঘল রাজবংশের হতভাগ্য শাহজাদা মুরাদ। তাঁকে নিয়ে ‘নারী ও নিয়তি' উপন্যাসে কল্পনার জাল বুনেছেন লেখক। তবে সেই কাল্পনিক কাহিনিতে অবশ্যই বিশেষভাবে উপস্থিত ইতিহাস। মদ্যপ, নারীআসক্ত মুরাদকে কারাগারে বন্দি করেন আওরঙ্গজেব। মুরাদ কারাগারে যাওয়ার সময় চেয়েছিলেন সরস্বতী নামের এক হিন্দু নর্তকীকে। আওরঙ্গজেব সেই অনুরোধ রেখেছিলেন। এরপর মুরাদ ও সরস্বতী একে অপরের প্রেমে আবদ্ধ হন। সরস্বতী মনে করে আগের জন্মে মুরাদ তার স্বামী ছিল। এ জন্মে মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করায় সরস্বতী তাঁকে সম্পূর্ণ রূপে পেল না। এই অপ্রাপ্তি থেকেই পরের জন্মে মুরাদকেই স্বামী হিসেবে পাওয়ার আশায় সে আত্মহত্যা করে। পরিখায় ঝাঁপ দেয়। নিয়তির নামে এই আত্মহত্যা মেনে নেননি মুরাদ। ঠিক যেভাবে সরস্বতীবাঈ আত্মহত্যা করেছিল সে ভাবেই পরিখায় ঝাঁপ দেন মুরাদ। মুঘল শাহজাদার মৃত্যুর পর দেহটি কার তাই নিয়ে রক্ষীদের মধ্যে আলোচনা চলেছে। এমনকী মৃত ব্যক্তি পাগল কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এই কাহিনির শুরতেই ভূমিকায় গজেন্দ্রকুমার মিত্র লিখেছিলেন, 'যতটক ইতিহাস পাওয়া যায়, ততটুকুকে আমি অনন্ত জেনেশুনে কোথাও বিকৃত করিনি—যেখানে ইতিহাস নীরব সেখানেই কল্পনার শরণ নিয়েছি।' ইতিহাস বলছে জনৈকা বাঁদী মুরাদকে ঘুম পাড়িয়ে তাঁর অস্ত্রশস্ত্র অপহরণ করেছিল। লেখক এই দুই ভূমিকায় থাকা নারীকে এক চরিত্র করে সরস্বতী নাম দিয়ে কাহিনিতে উপস্থাপিত করেছেন। সিপাহি বিদ্রোহের পটভূমিকায় লেখা 'বহ্নিবন্যা' উপন্যাসে বহু চরিত্র। কাহিনি কানপুর ও লখনউকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত। নানাসাহেব ও তাঁতিয়া টোপির মতো ঐতিহাসিক চরিত্রের পাশাপাশি আমিনা ও আজিজান এই চরিত্র দু'টি আলাদা মাত্রা পায়। তারই প্রমাণ বিবিঘর ও নাচারগড়ের যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছে। এই দুই বারবণিতা সিপাহি বিদ্রোহের পরিকল্পনায় ইন্ধন জুগিয়েছিল। উপন্যাসের কাহিনি বিকৃতি না করে এই দুই বোনের ভূমিকাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন গজেন্দ্রকুমার মিত্র। ইতিহাস ও কল্পনার মিশেলে কাহিনি হয়ে উঠেছে বিশ্বাসযোগ্য। খুঁটিয়ে লেখা তাঁর লেখনীর বৈশিষ্ট্য। তিনি ইতিহাস লিখতে গিয়ে নারীকেই প্রধান চরিত্র করেছেন বার বার। ‘দহন ও দীপ্তি' উপন্যাসের মস্তানিবাঈ, ‘রাখাল ও রাজকন্যা'-র মেহের, ‘নারী ও নিয়তি'-র সরস্বতীবাঈ তার উদাহরণ। ‘রানি কাহিনি' উপন্যাস বেড়ে উঠেছে এই বাংলার জল মাটিতে। বাংলাদেশের নয়নাভিরাম পাহাড়— পুরাকালে কোনও কবি নাম দিয়েছিলেন ময়নামতী। এই ময়নামতী পর্যন্ত বিস্তৃত যে পরগনা সেই পরগনাই স্বাধীন পট্টিকারা রাজ্য। এই রাজ্যেরই এক রাজার মধুর প্রেমকাহিনি উপন্যাসের বিষয়। সাতটি উপন্যাসই রয়েছে প্রেমের অন্যস্বাদের ধারা। গজেন্দ্রকুমার মিত্র ঐতিহাসিক উপন্যাসকে জটিল ও কাহিনির ভারে ন্যুব্জ করেননি। বহু চরিত্র থাকলেও গতিময় গল্পে ইতিহাসের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন গজেন্দ্রকুমার মিত্র। ঐতিহাসিক রচনাসমগ্র ৷ গজেন্দ্রকুমার মিত্র ৷ মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স ৷৷ ১৬০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি