নকুলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পথ হারিয়েছেন। বিকেলে রোদ পড়ে এলে বেড়াতে বেরোনো তাঁর অভ্যেস। গত ছাব্বিশ বছর ধরে এই কাজটা তিনি করে আসছেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে এখানে এসে বসবাস শুরু করার পর থেকেই তাঁর এই অভ্যেস। তাঁর বাসস্থান শহরের বাইরে। অবশ্য ঠিক গ্রামও বলা যাবে না। তবে প্রথম যখন বাড়ি করেছিলেন, তখন এলাকাটি ছিল পঞ্চায়েতের অধীন। বছর কয়েক আগে জায়গাটা মিউনিসিপ্যালিটির অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। সুতরাং এখন আর ওটাকে গ্রাম বলা যায় না। আশপাশের জায়গাগুলি এখনও গ্রামই থেকে গেছে। প্রতিদিন নিয়ম করে বিকেলে বেড়াতে বের হন নকুলেশ্বর। এখন তাঁর বয়স ছিয়াশি। মেদহীন রোগা পাতলা চেহারা। এই বয়সেও অনেকটা রাস্তা বেশ হাঁটতে পারেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি এখানে বাড়ি করে চলে আসেন। তিনি একা নন, তাঁর কয়েকজন সহকর্মীও তাঁর সঙ্গে এখানেই বাড়ি করেছিল। শহরে জমি কেনার মতো আর্থিক সামর্থ্য ছিল না তাঁদের কারও। তাই ওই রকম জায়গা বেছে নিতে হয়েছে।
প্রথম প্রথম তাঁদেরই মধ্যে দু'জন তাঁর বৈকালিক ভ্রমণের সঙ্গী ছিলেন। কিন্তু সেই দু'জনের কেউই আর ইহধামে নেই। এখন তিনি একা একাই বৈকালিক ভ্রমণে যান। আজ হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা দূরেই এসে পড়েছেন। এই অঞ্চলটি পিছিয়ে থাকা একটি গ্রাম। মাটির রাস্তা। চারপাশে অনেক গাছগাছালি। বাঁশঝাড়ও আছে কয়েকটা। একটা এঁদো পুকুরও দেখা গেল। আগে কোনও দিন এ দিকটায় আসেননি
তিনি। এই রকম গাছগাছালি ভরা একটা জায়গা যে এ দিকে আছে, জানা ছিল না তাঁর। এ যেন তাঁর বাল্যকালে ছেড়ে আসা সেই গ্রাম। অদ্ভুত এক ঘোরের মধ্যে অপ্রশস্ত মাটির পথ ধরে এগিয়ে চললেন তিনি। রাস্তার দু'পাশে ঝোপঝাড়। একটা বুনো গন্ধ আসছে নাকে। বেশ জোরে শ্বাস টানলেন নকুলেশ্বর। বুক ভরে শ্বাস নিলেন। অনেক দিন পরে এই গন্ধটা পেলেন তিনি। আর-একটু এগিয়ে যেতেই আরও একটা গন্ধ নাকে এল। বড় চেনা গন্ধ। মাথা ঘুরিয়ে এপাশ-ওপাশ তাকালেন। না, কোথাও দেখতে পেলেন না তিনি গন্ধের উৎস সেই বৃক্ষটিকে। কোথায়, কোথায় সে? তাঁর শৈশব, বাল্য, কৈশোর—সব কিছু যে গচ্ছিত আছে তার কাছে। চারপাশে তাকাতে তাকাতে অপ্রশস্ত মাটির পথ ধরে এগিয়ে চললেন তিনি।
Denne historien er fra September 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra September 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।