এক মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে তৃষিত নয়নে রাত্রি জাগরণে কলকাতা মহানগরী। শহর ছাড়িয়ে জেলা-সদর মফস্সল টাউনে আছড়ে পড়েছে এই আন্দোলন। সমগ্র বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। তদন্তের দায়িত্ব বর্তেছে সিবিআই-এর ওপরে। বর্তমান সংখ্যাটি যেদিন প্রকাশিত হচ্ছে, সেদিনই সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য আছে। নির্যাতিতার নির্মম পরিণতি এবং তৎপরবর্তী সময়ে সমগ্র ঘটনা ঘিরে যে-পরিমণ্ডল, তা প্রতিদিন নিয়ম এবং গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। কাজেই সে বিষয়ে নতুন করে কোনও মন্তব্য করা এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। বরং অশান্ত এবং বিষাদে ভরা এই সময়ের গণ-আন্দোলন আমাদের মুখ্য প্রতিপাদ্য।
ចិ জওহরলাল নেহরু একদা কলকাতা নগরীকে মিছিল নগরী আখ্যা দিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর কথায় বামপন্থীরা রুষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু ইতিহাসের আশ্রয়ে ফিরলে তো প্রমাণ সুস্পষ্ট— ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে আন্দোলনের এক দীর্ঘ ইতিহাস রচিত হয়ে আছে এই বাংলায়। তখন অবশ্য অখণ্ড বাংলা। সে আন্দোলনের প্রকৃতি ছিল কোথাও সশস্ত্র, বিপ্লবী কার্যকলাপ— গুপ্তহত্যা ছিল এর অংশবিশেষ। আবার গান্ধীজির পথে অহিংস আন্দোলনও কলকাতা ছাপিয়ে জেলায় জেলায় সংঘটিত হয়েছে। মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরার নেতৃত্বে আন্দোলন তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিদেশি শক্তির প্রতি এক বিবমিষা ক্ষোভ ক্রোধ থেকে ক্রমশ ঘৃণা— সে আন্দোলনের উদ্দেশ্য এবং অভিমুখ নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। ইতিহাসও তাকে তার মতো করে ব্যাখ্যা দিয়ে এসেছে। আন্দোলনের চরিত্র নিয়ে মতভেদ থাকলেও কার বিরুদ্ধে আন্দোলন তা নিয়ে কোনও সংশয় বা দ্বিমত ছিল না যেমন, তেমনই ব্রিটিশকে যে-কোনও উপায়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে— এই ছিল সমস্ত আন্দোলনের এক এবং একমাত্র উদ্দেশ্য। স্বাধীন ভারতবর্ষ দেখতে চেয়েছিলেন সেদিন যাঁরা ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা নিয়ে ছুটে বেরিয়েছেন গলি থেকে রাজপথে।
Denne historien er fra September 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra September 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।