ডাক্তার হবেন, ঠিক করেই রেখেছিলেন? কিছুটা আত্মগোপন করেই ডাক্তারি পড়া। দাদু ছিলেন বিধানবাবুদের আমলের নামকরা ফিজিশিয়ান। জানি না, কোনওদিন তাঁকে না দেখলেও হয়তো সেটা রক্তের ভিতরে কাজ করত। আমাদের সময়ে ছেলেরা হয় অঙ্ক নিত, নয়তো বায়োলজি পড়ত। আমি বায়োলজি নিয়েছিলাম এক্সট্রা সাবজেক্ট হিসেবে। প্রথমে আইআইটিতে অ্যাডমিশন পাই। তারপর মেডিসিন জয়েন্টে পেলাম। মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারিতে ঢুকলাম। এমবিবিএস শেষ করে সার্জারিতে ঢুকব— এমন একটা বিষয় মাথায় ছিল। প্লাস্টিক সার্জারিতে খুব আগ্রহ ছিল। জানেন, দু’বছর প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে পড়াশোনাও করেছি। তখন আটের দশকের শেষ, নয়ের শুরু। চিকিৎসাতেও নতুন কিছু করার হাওয়া বইছে। বি এম বিড়লাতে হার্ট সার্জারির কিছু কিছু কাজ শুরু হয়েছে। আমি বিদেশে। এইসব খবর পাচ্ছি। সিনিয়র দাদারা বলছেন, চর্বিতচর্বন না করে, এইসব নতুন কিছু কর না! নববিস্ময়ের আনন্দ নিয়ে ইংল্যান্ডেই হার্ট সার্জারির পড়াশোনা শুরু করলাম। বলতে পারেন বড় ঝুঁকি নিলাম। কারণ, ওদের পড়াশোনাও ছকে চলে। ফসকে গেলেন তো ট্রাপিজের খেলার একেবারে উপর থেকে নীচে! যাই হোক, ফসকে যাইনি।
পড়াশোনার পর্ব শেষ করে ১৯৯৬-এ । দেশে ফিরলাম। তখন পিজিতে কিছু কাজ হচ্ছে। আর বি এম বিড়লাতে ডাঃ দেবী শেঠি কাজ করছেন। সত্যি বলতে কী, দেশের এই প্রান্তে হার্ট সার্জারির কাজকে প্রথম একটা সিস্টেমের মধ্যে আনলেন ডাঃ শেঠিই। প্রথম ব্যাকরণ দিলেন। বছর তিনেক এদিকওদিক কাজ করে তারপর ওঁর সঙ্গে আর এন টেগোরে কাজ শুরু করলাম। সেটা ২০০১। সদ্য সদ্য আর এন টেগোর শুরু হয়েছে। উনি, আমি আর ডাঃ আশুতোষ রঘুবংশী নতুন ভেঞ্চারে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ফলও মিলল। তিন-চার বছরে আর এন টেগোর হার্টের চিকিৎসা ও অপারেশনে দেশের প্রথম তিন-চারটি সেন্টারের মধ্যে চলে এল। ২০১৩ তে যোগ দিলাম মেডিকায়।
আপনাদের প্রধান কাজ তো হার্টের রক্তবাহী ধমনী ও শিরা নিয়ে। বাঙালিদের হার্টের ধমনী কি সরু? আমাদের সমস্যা আছে। ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব, অল্পবয়স থেকেই ধূমপান এবং ছোটখাট শারীরিক কাঠামো হওয়ায় আমাদের হার্টের শিরা-ধমনীও ছোট, সরু। তার মধ্যে অল্পবয়স থেকেই সুগার হানা দেওয়ায় সেগুলি ক্ষয়ে ক্ষয়ে সুতোর মতো হয়ে যায়।
Denne historien er fra March 2023-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra March 2023-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়