সদীপ রায়ের ‘রয়্যাল বেঙ্গল রহস্য’ সিনেমার মহীতোষ সিংহ রায়কে আপনাদের মনে আছে? যিনি একসঙ্গে রাজবংশীয়, ব্যবসায়ী, লেখক এবং দুর্ধর্ষ শিকারি। সেই চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন তিনি হলেন প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বাসুদেব মুখোপাধ্যায়। এই ক্ষেত্রে তাঁরা চার প্রজন্ম ধরে যুক্ত। বাসুদেববাবুর জেঠামশাই ছিলেন ডাঃ শম্ভুপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তবে এই ধারার উৎসমুখ হলেন তাঁর পিতামহ ডাঃ বামনদাস মুখুটি থুড়ি মুখোপাধ্যায়। অভিনয় ও ডাক্তারি, দুই ক্ষেত্রেই বাসুবাবুর সব্যসাচী হওয়ার কৃতিত্বের অনেকটাই তিনি পেয়েছেন ঠাকুরদার কাছ থেকেই। তবে ডাঃ বামনদাস শুধু অভিনয় নয়, সমাজকল্যাণের ক্ষেত্রেও একজন দিশারি ছিলেন।
মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার বর্ধমান সীমান্তবর্তী অঞ্চল সালার। সেখানকার সিমুলিয়া গ্রামেরই সুসন্তান ছিলেন বামনদাস। সেই গ্রামে দুর্গাপুজোর পরদিন হতেই আরও এক পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরা। চর্চিকা নামে
দক্ষিণাকালীর ধ্যানে পুজো পান চামুণ্ডা মূর্তি। অষ্টভুজাদেবীর অস্থিপেশি অর্থাৎ অ্যানাটমি স্পষ্ট লক্ষ করা যায়। অর্থাৎ তার সঙ্গেও রয়েছে চিকিৎসাবিদ্যার যোগ!
গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় বাস করতেন পাঠক বংশ। ক্ষুদিরাম পাঠকের কন্যা ভবসুন্দরীকে বিয়ে করে গ্রামেই ঘরজামাই হন শিবচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। তাঁদের পুত্র তারিণীপ্রসাদই বামনদাসবাবুর পিতা। মায়ের নাম জগদীশ্বরী। ১৮৭৮ সালে জন্ম বামনদাসের।
ন মায়ের গ্রাম সোনারুন্দিতেই ছিল। বনোয়ারিবাদ রাজবংশের প্রতিষ্ঠিত বনোয়ারিবাদ রাজ হাই স্কুল। ১৮৬৪ সালে এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৯০০ সালে এখান থেকেই বামনদাস প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করেন। সেই বছরেই মহেঞ্জোদাড়োর আবিষ্কর্তা ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সদরের বহরমপুর কলেজ স্কুল থেকে ওই পরীক্ষা পাশ করেছিলেন। সদর থেকে রাখালদাস পড়তে চলে যান মহানগরী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। আর গ্রাম থেকে বামনদাস এফএ বা ফার্স্ট অব আর্টস পড়তে আসেন
বহরমপুর কলেজে। কলেজটি ১৮৫৩ সালে অর্থাৎ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চার বছর আগে স্থাপিত হয়। দেশের প্রথম কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে ১৯০৬ সালে বামনদাস এলএমএস অর্থাৎ লাইসেনসিয়েট ইন মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি পাশ করেন। তিনিই অন্তিম এলএমএসদের অন্যতম। কারণ ওই বছর থেকেই ওই ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় তুলে দিয়েছিল।
Denne historien er fra October 2023-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra October 2023-utgaven av Sarir O Sasthya.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়