CATEGORIES
Kategorier
খাদ্যে ডায়েটারি ফাইবারের ভূমিকা
শরীরে শক্তি জোগানাে, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, গঠন ও রােগ প্রতিরােধের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য অপরিহার্য। যে সব খাদ্য ও পানীয় আমরা গ্রহণ করি, তা থেকে শরীর বিশেষ কিছু । রাসায়নিক পদার্থ অন্ত্রের মাধ্যমে শােষণ করে নেয় এবং এগুলি থেকে পুষ্টিসাধন করে। এই পৌষ্টিক উপাদানগুলি ছয় শ্রেণীর, যেগুলি হল, প্রােটিন, শর্করা, তৈল চর্বিজাতীয় পদার্থ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও জল।
ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস। বাংলা ২০২০
গনগনে গ্ল্যামার আর বিচিত্র বিনােদনে ঠাসা ‘ ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২০' অবশেষে দেখা যাবে কালারস বাংলা চ্যানেলে। আগামী ৯ মে, সন্ধে ছ’ টা থেকে। এবার চতুর্থ বর্ষ। নানা কারণে দু’বছর স্থগিত রাখা হয়েছিল বাংলা বিনােদন জগৎকে ঘিরে আয়ােজিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি। এবার ফিরল স্বমহিমায়। আরও
প্রয়াগরাজ ছুঁয়ে খসরুবাগ
প্ৰয়াগস্য প্রভেসেসূ পাপম নাশ্যতি তৎক্ষণম’, তীর্থরাজ প্রয়াগ-নগরীতে প্রবেশেই সকল পাপস্খলন হয়। ডিসেম্বরের এক কনকনে শীতের রাতে এলাহাবাদ পদার্পণে এই সাধুবাণী স্মরণে এল।
কার্ড প্রবণতা থেকে মুক্তির আশায় প্রণয়
ফে শয়ার প্লে’ শব্দটা তাঁর খেলার ধরনের সঙ্গে একেবারেই বেমানান। প্রণয় হালদার মানেই কার্ড অবধারিত। তাঁর জন্য দেশ বা ক্লাবকে বারবার। খেসারত দিতে হয়েছে। কীভাবে এই রােগমুক্তি ঘটবে? এটিকে মােহন বাগান তথা ভারতীয় দলের এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার বলছিলেন, কার্ড দেখার জন্য কোনও ফুটবলারই খেলে না। কিন্তু এটা হয়ে যায়। অনিচ্ছাকৃত ভাবে। এই সমস্যা কীভাবে কাটিয়ে উঠব জানি না। তবে চেষ্টা করছি। ।
জীবন থাকলে আক্ষেপও থাকবে: সােনালি কুলকার্নি
বড়পর্দায় নায়িকা হিসেবে হামেশাই সাফল্য পেয়ে এসেছেন সােনালি কুলকার্নি। মারাঠি ও হিন্দি ছবিতে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অভিনয় করছেন। বহুদিন বাদে এবার ছােট পর্দায় এক অন্য রূপে হাজির হলেন সােনালি। সােনি চ্যানেলের জনপ্রিয় শাে ‘ক্রাইম পেট্রল’-এর সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এবং প্রথম থেকেই নতুন ভূমিকায় যথেষ্ট দাপটও দেখাচ্ছেন। এক সাক্ষাৎকারে সােনালি জানালেন তাঁর এই নতুন সফরের কথা।
ক্রিকেটের স্বার্থেই স্থগিত রাখা হােক আইপিএল
ক রানা আতঙ্কের মধ্যে আইপিএল চালু রাখা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। কারণ, বিভীষিকার মতাে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। চারিদিকে শুধুই হাহাকার। আর তার মধ্যে আলাে ঝলমলে স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধােনিরা কোটিপতি লিগে খেলে চলেছেন, যা এই পরিস্থিতির সঙ্গে মােটেও খাপ খায় না। এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের। সেই কারণেই সমাজের বিভিন্ন স্তরে দাবি উঠছে, আপাতত কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখা হােক আইপিএল। পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হলে না হয় বিনােদনের এই ক্রিকেট ফের উপভােগ করা যাবে।
এ যেন মধ্যযুগীয় শাসনকাল...
বিশ্রান্ত মিথ্যাভাষণকে প্রায় দৈববাণীর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যিনি, সেই অ্যাডলফ হিটলারের পড়াশােনায় কোনওদিন মন বসেনি। ভবঘুরে জীবন কাটিয়ে সেনাবাহিনীতে প্রথমে আর্দালি, পরে পিওন। পদে কাজ করা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সেনাবাহিনীতে গুপ্তচর হিসেবে যােগদান। গুপ্তচর বৃত্তি করতে জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টিতে যােগদান ও সেনাবাহিনীতে খবরাখবর পাচার করা। এই পার্টিতে থেকেই প্রচণ্ড ইহুদি বিদ্বেষী, কমিউনিস্ট বিদ্বেষী ও গণতন্ত্র বিরােধী হয়ে ওঠা। ক্রমে পার্টির প্রধান হয়ে পার্টির নাম পরিবর্তন করে, ন্যাশনাল সােশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি সংক্ষেপে নাৎসি পার্টি গড়ে তােলা। নতুন দলের কর্মসূচি ছিল (১) ইহুদি বিদ্বেষী (২) কমিউনিস্ট বিদ্বেষ (৩) আর্যদের প্রাধান্য (৪) গণতন্ত্রের বিরােধিতা (৫) উগ্র জাতীয়তাবাদ। জার্মানির পুঁজিপতিরা ও ব্যবসায়ী মহল, এমনকী ইহুদি ব্যবসায়ীরাও হিটলারকে। সেদিন সমর্থন করেছিল। সঙ্গে টাকার স্রোত বইতে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বেকার হয়ে যাওয়া উগ্র কমিউনিস্ট বিরােধী সেনাদের নিয়ে হিটলার তৈরি করল ব্রাউন শার্ট ইউনিফর্মের কুখ্যাত এসএ বাহিনী। আর এদের উপর নজরদারি ও নিজের দেহরক্ষী হিসেবে তৈরি হয়েছিল। ‘ব্ল্যাক শার্ট’ নামে আর একটি বাহিনী। নাৎসি পার্টিতে সর্বেসর্বা হিটলার। শুরু হয় ফ্যাসিবাদ।
কলকাতা মহানগরীর প্রথম বাঙালি শেরিফ
ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর তিয়াত্তর বছর উত্তীর্ণ, | অর্থাৎ ভারত আজ স্বাধীন। তবুও ব্রিটিশ শাসন ও শােষণের নানা অত্যাচারের ঐতিহাসিক কথা যেমন ভুলতে পারিনি, তেমনি তাদের শাসনেরও নানা কলাকৌশল উদাহরণও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। তার একটা উদাহরণ সহ ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়েই আলােচ্য প্রবন্ধের অবতারণা। দেশে তখন ইংরেজদের রাজত্ব। সেই সময় রাজধানী শহর কলকাতাকে গড়ে তুলতে এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে প্রশাসনিক স্তরের একজন প্রতিনিধি-শেরিফ পদের সৃষ্টি হয়েছিল। ১৭৭৫ সালে প্রথম তৈরি হয় শেরিফ পদ। সেই সময় এই বিশেষ পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন ম্যাকরাবে। প্রথম ভারতীয় হিসেবে এরপর ১৮৭৪ সালে এই আসনে বসেন মানেকজি রুস্তমুজি। ১৮৭৫-এ কলকাতা প্রথম পায় বাঙালি শেরিফকে তিনি রাজা দিগম্বর মিত্র।
আফগানিস্তান ছাড়ছে আমেরিকা
কুড়ি বছর পর আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছে আমেরিকা। সেপ্টেম্বর থেকে তাদের মার্কিন সেনারা ওখানে আর থাকবে না। এই ঘােষণার প্রতিক্রিয়ায় আফগানদের মধ্যে কোনও উৎসব চোখে পড়েনি। বরং সবাই উদ্বিগ্ন। দেশবাসী এবং প্রতিবেশীদের কোনও ভরসা দিতে পারছে না তালিবান নেতারা। উল্টে কাবুলে গাড়িবােমা এবং আত্মঘাতী হামলা ইদানীং বেশ বেড়ে গিয়েছে।
কদমতলা
য -ষ্ঠীতলাটা গ্রামের লােকমুখে বােলতলা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল পাশের প্রাচীন বকুল গাছটার জন্য। ‘বেঁচে থাক বাপ হারাধন, বেঁচে থাক বাপ বদর’ বলতে বলতে যােগাপিসি সূর্য ওঠার আগেই বাড়ি ফিরছিল এই বােলতলার পাশ দিয়ে। একশাে দিনের কাজে বেনেপুকুরে মাটি কাটা চলছে—হারাধন সেই কাজের সুপারভাইজার, বদর পঞ্চায়েতের মেম্বার। ওরা বলেছিল— “পিসি, তােমাকে বেশি চাপের কাজ দিইনি গাে, দু-চারবার এসে হাজিরা দেবে, দেখবে লােকজনের তিয়ে লেগেছে কি না, শুধু বােতলে করে খাবার জল দেওয়ার কাজ। আর কিছুটিনা। ঠিক সময়ে তােমার পাশবইয়ে টাকা ঢুকে যাবে পিসি।
আমাজন অরণ্য কি বিপদের মুখে?
অসুস্থ ‘পৃথিবীর ফুসফুস। ব্রাজিলের রেইন ফরেস্ট আমাজন। ৫৫ হাজার বর্গ কিলােমিটার স্থান জুড়ে অবস্থান করা এই বিশাল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃষ্টি অরণ্য পৃথিবীর প্রায় কুড়ি শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদন করে এবং এক-চতুর্থাংশ কার্বন-ডাইঅক্সাইড শােষণ করে। তবে এই অক্সিজেন। জোগান নিয়েই শুরু হয়েছে সংশয়। গত এক দশকের হিসেব সামনে এনেছে এক ভয়ঙ্কর সত্য। দেখা গিয়েছে, আমাজন অরণ্য যতটা না কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করেছে, তার থেকে ২০ শতাংশ বেশি ত্যাগ করেছে। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পরিবেশবিদদের কপালে।
আঙুল ছোঁয়ালেই হাজির মনপসন্দ খাবার
গুপি গাইন আর বাঘা বাইনকে ভূতের রাজা বর দিয়েছিল, যা চাইবে তা-ই খেতে পারবে তারা। তাদের হুকুম পেলেই মুখের সামনে লােভনীয় সব পদ থালা ভরে সাজিয়ে দিয়ে যেত ভূতেরা।
অতিমারীর কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় খতরাে কে খিলাড়ি'
প্রতিদিনের মেগা এবং সঙ্গীত ভিড়ে দর্শকদের চাই নতুন কিছু। দীর্ঘদিন ধরেই বিনােদন পিপাসু দর্শকদের মনােরঞ্জন জুগিয়ে চলেছে। জনপ্রিয় হিন্দি স্টান্ট রিয়েলিটি শাে ‘খতরাে কে খিলাড়ি'।
অনীশ দেব এক নক্ষত্র
১৯৯৮ সাল। বিজয়া করতে বাড়িতে এলেন শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে করে নিয়ে এলেন অনীশ দেবকে। শান্তিদা বললেন, মাসিমা (আমার শাশুড়িমা, সাধনা চট্টোপাধ্যায়), আপনার হাতের পায়েসের লােভ দেখিয়ে অনীশকে ধরে আনলাম। মা বললেন, “বেশ করেছ। এসাে বাবাবােসাে। তৃপ্তি করে পায়েস খেলেন প্রফেসর অনীশ দেব। সেই শুরু। অনীশ দেব নামক চুম্বকে লৌহচূর্ণের মতাে আকৃষ্ট হলাম আমরা, গােটা পত্ৰভারতী পরিবার। অনীশ দেব হয়ে গেলেন আমাদের সকলের অনীশদা।
অ স্টি নে হেনরির সঙ্গে সাক্ষাৎ
খু বই বিস্ময়ে মগ্ন হয়ে গিয়েছি! ভাবতেই পারছি না। আমি বিশ্বখ্যাত গল্পকার ও হেনরির একদা বাসস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। স্থান অস্টিন, টেক্সাসের রাজধানী শহর। উইলিয়াম সিডনি পাের্টারের ছদ্মনাম ও হেনরি। একথা উল্লেখ করা প্রয়ােজন, কারণ তাঁর জীবন ছিল অতি বিচিত্র।
বরণ
অন্যায়ের প্রতিবাদ, না ঝামেলা এড়িয়ে নিরাপদ জীবন্যাপন? কোনটা বেছে নেবেন আপনি? তিথি কিন্তু বেছে নিয়েছিল প্রতিবাদের পথ। স্টার জলসায় শুরু হওয়া নতুন। ধারাবাহিক ‘বরণ’-এর প্রােটাগনিস্ট তিথি। তার জন্য তাকে দিতে হয়েছে চরম মূল্য। তাতেও দমে যায়নি মেয়ে। সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে তামাম সামাজিক শিষ্টাচারের উদ্দেশ্যে। কী সেই প্রশ্ন ?
স্পিকটি নট, কুম্ভমেলা চলছে!
ম্পিকটি নট, কুম্ভমেলা চলছে। গত বছর প্রায় এই সময়েই দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগি জামাতের ২৩৬১ জনের ধর্মীয় জমায়েতকে দেশে করােনা সংক্রমণের জন্য দায়ী করে খুব গালমন্দ করা হয়েছিল। মুড়িমিছরির এক দরে আপামর মুসলিম সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তােলা হয়েছিল। দেশে করােনা পরিস্থিতির জন্য তবলিগি জামাতের সমাবেশকে দায়ী করেছিল নরেন্দ্র মােদির সরকার। কোনও রাখঢাক না-করেই সংসদে লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেছিলেন, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করেই তবলিগি জামাত সমাবেশ করেছিল। পারস্পরিক দূরত্ব মানা হয়নি। ছিল না মাস্ক স্যানিটাইজারের ব্যবহারও। ২৯ মার্চ ওই জমায়েতে অংশ নেওয়া ২৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিস। জামাত প্রধান মৌলানা মহম্মদ সাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্র। জানা গিয়েছিল, ওই জমায়েতে যােগ দিয়েছিলেন ৩৬টি দেশ থেকে আসা ৯৫৬ জন বিদেশি নাগরিক। তাঁদের বিরুদ্ধে ৫৯টি চার্জশিট জমা দিয়েছিল দিল্লি পুলিস। আমি-আপনি, সবাই বলেছিলাম, ঠিক পদক্ষেপ! টুইটারে, হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড হয়েছিল #CoronaJihad। মােদি সরকারের পেটোয়া সঞ্চালকরা বলেছিলেন ‘Human Bomb'।
চতুষ্কোণেই বাজিমাত
গা ছের উপর থেকে নেমে এসেছে চারটি দড়ি। তাতে একজন মানুষের হাত-পা বাধা। স্পাইডারম্যানের ভঙ্গিমায় ঝুলছে, আর পরিত্রাহি চিৎকার করছে। বারবার বলছে আর সে এমন ভুল করবে না। নীচে ততক্ষণে বড় কড়াইতে টগবগ করে তেল ফুটছে। ধীরে ধীরে নেমে আসছে দড়ি। দূরে ততক্ষণে সুখটানে ব্যস্ত বাবলু ভাইয়া। কড়ার প্রায় কাছাকাছি এসে গিয়েছে ঝুলন্ত মানুষটি। তখনও ক্ষমার আর্জি জানিয়ে চলেছে সে৷ জ্বলন্ত সিগারেটে শেষটান দিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ভাইয়াজি। জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়। বলে, তােমায় দেওয়া এই শাস্তি সকলকে চিরজীবন মনে করাবে বাবলু ভাইয়ার স্ত্রীর দিকে বাজে নজরে তাকালে কী পরিণাম হতে পারে।
আলােক বর্তিকা
শঙ্খ ঘােষ কেমন ছিলেন, কত বড় কবি ছিলেন, বলার মতাে আমার কোনও সাহস নেই। অথবা বলতে পারি, ক্ষমতা নেই। খুব সহজ করে বলতে পারি, তিনি আমার বন্ধু ছিলেন। ছিলেন প্রাণের মানুষ। আমার সঙ্গে তাঁর ৪২ বছরের সম্পর্ক। সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বিষাদে। আমি তাঁকে রাত এগারােটার সময়ও ফোন করেছি, কোনও একটি বিষয় জানার জন্য। আমার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে, তা আমি বুঝতে পেরেও প্রশ্ন করে যাচ্ছি, তিনিও উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন। এই হচ্ছে আমার বন্ধু। শঙ্খ ঘােষ। তখন টিভির এক চ্যানেলে ঋতুপর্ণ ঘােষের সিরিয়াল ‘গানের ওপারে’ নিয়মিত দেখতাম। শঙ্খবাবুও তাঁর পরিবার নিয়ে ধারাবাহিকটির দর্শক। সিরিয়ালটি শেষ হলেই, এপার থেকে আমার সঙ্গে তাঁর আলােচনা। হাসি ও গল্প। কোনও কোনও দিন। আমার কান্না। উনি কখনওই বিরক্ত হতেন না। কখনও কখনও কোনও বিষয়ে অনুযােগ করেছি। অভিযােগ। অভিমানের সঙ্গে কথা বলেছি। শঙ্খবাবু শান্ত হয়ে শুনেছেন। কখনও চুপ। কখনও উত্তর দিয়েছেন।
রােগহর সূর্য এবং ভিটামিন ডি
কথিত আছে, কৃষ্ণপুত্র শাম্ব অভিশাপের কারণে আক্রান্ত হয়েছিলেন কুষ্ঠ রােগে। তাহলে এখন রােগমুক্ত হওয়ার উপায় কী? বিহিত হল, সূর্যদেবের উপাসনা করতে হবে শাম্বকে তবেই হবে রােগমুক্তি। অভিশাপ প্রকট অসুখের চিহ্ন শরীরে নিয়ে, শাম্ব চন্দ্রভাগা নদী যেখানে সাগরের সঙ্গে মিশেছে, সেই মােহনায় অর্কদেবের আরাধনায়বসলেন। “হে জগঞ্জোতি, হে বিশ্ব-নয়ন, হে সর্বপাপতারণ! তােমার প্রদ্যোতে আমাকে উদ্ধার কর দেব। আমাকে মুক্তি দাও। তপনদেব প্রসন্ন হলেন, শাম্ব রােগমুক্ত হলেন।
ক্রুজে ভেসে বারমুডা দ্বীপে
আমার বােন রত্না নিউজার্সিতে থাকে। সেই সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল, নিউইয়র্ক থেকে সমুদ্রপথে আট দিনে বারমুডা দ্বীপে ঘুরে আসার। কুইজ’ আমি বললাম। রত্না শুধরে দিল ‘ক্রুজ’! জোগাড়যন্ত্র আগে থেকেই। করা ছিল। আগে থেকে ব্যবস্থা না করলে টিকিট পাওয়া যায় না। জেটি থেকে জাহাজে ঢােকার পর মনে হল ভেতর-বার একাকার। এ যুগে দেশ-দেশান্তর, জল-স্থল, অন্তরীক্ষ যেন কোনও তফাতই নেই। আমাদের কেবিন দশতলা জাহাজের আটতলার উপরে। পায়ের নীচে সাততলা। তারও নীচে পাঁচ হাজার ফুট গভীর জল। দার্জিলিং পর্যন্ত না হলেও কার্সিয়াং ডুবে যাবে। হলেই বা আটতলা জাহাজ, এই চরাচর বিস্তৃত জলে সে তাে মােচার খেলা!
আমি কখনওই ভাবিনি যে অভিনেত্রী হব: পাওলি দাম
চ রিত্রটির নাম ‘বাসুকী। রহস্যে | মােড়া এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন টলিউড নায়িকা পাওলি দাম। শুভ নববর্ষের সময় জি ফাইভে মুক্তি পেয়েছে ক্রাইম-থ্রিলার ধর্মী হিন্দি ছবি ‘রাত বাকি হ্যায়'। ছবির মূল চরিত্রে পাওলি ছাড়া আছেন অনুপ সােনি, রাহুল দেব সহ আরও অনেকে। এই ছবিটিকে। ঘিরে দারুণ উচ্ছ্বসিত পাওলি। এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এই ছবিটি নিয়ে পাওলি শােনালেন অনেক কথা।
আইপিএলের নতুন তারা
আ ইপিএল নাকি ভারতের ‘ক্রিকেট উৎসব’! তা মানতে অবশ্য আপত্তি নেই। কোটি টাকার লিগ। বিশ্বের সব নামীদামি ক্রিকেটারদের সমাগম। গ্ল্যামারে ভরপুর। তবে এ সবের বাইরেও আলাদা এক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে আইপিএলের। প্রতিভা বিকাশের মঞ্চ হিসেবে। যশপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার বা যুজবেন্দ্র চাহাল, রবীন্দ্র জাদেজার মতাে অনেক নামী ক্রিকেটারের আবির্ভাব ঘটেছে এই টুর্নামেন্ট থেকে। প্রতিবছর বেশ কিছু নতুন প্রতিভা আইপিএলে নজর কেড়ে জাতীয় দলের ঢােকার সম্ভাবনা জাগায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতিমধ্যে বেশ কিছু তরুণ তুর্কি নিজেদের জাত চিনিয়েছেন। যেমন হার্শল প্যাটেল, চেতন। সাকারিয়া, অর্শদীপ সিং ও আবেশ খান। তারকাদের ভিড়েও আলাে কেড়েছেন।
অ্যাথলেটিকসের আতুড়ঘর
শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতাে গজিয়ে ওঠা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের মতােই পরিবেশ। সন্তানরা প্র্যাকটিস করছে। আর মা-বাবারা বাইরে বসে গল্প করছেন। সােদপুর স্টেশন থেকে বড়জোর এক কিলােমিটার। দূরত্ব। মাঠের ভিতর প্রবেশ করার পর ভুল ভাঙল। আরে এ তাে ক্রিকেট নয়, অ্যাথলেটিকস ট্রেনিং সেন্টার! পিছিয়ে পড়া এই খেলাকে নিয়ে অভিভাবকদের এতটা উৎসাহ থাকতে পারে! তাও আবার অর্থ ও গ্ল্যামার সর্বস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট-ফুটবল লিগের যুগে! সােদপুর অ্যাথলেটিক্স কোচিং ক্যাম্প। যাকে সারা দেশ চেনে ‘সােদপুর এসিসি’ নামেই। উত্তর ২৪ পরগনার এই অঞ্চলে না এলে বােঝা যাবে না, অ্যাথলেটিকসও পারে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছতে।
হাম্পির স্থাপত্য-ভাস্কর্য
একটি প্রচলিত কথা আছে, গঙ্গানদীতে অবগাহন করলে যে পুণ্য হয়, নর্মদা দর্শন এবং তুঙ্গভদ্রা নদীর জল পান করলে সেই একই পুণ্য হয়। শাস্ত্র অনুসারে। দক্ষিণ ভারতের এই তুঙ্গভদ্রা নদীর জল পীযূষতুল্য মৃতসঞ্জীবন। কিন্তু গঙ্গা-নর্দার পরিচয় কিছুটা জানা থাকলেও তুঙ্গভদ্রার কিংবদন্তিময় উৎপত্তির ইতিহাস অনেকটাই অজানা। পুরাণ মতে দক্ষযজ্ঞের পরে সতী দেহত্যাগ করে আবার জন্মগ্রহণ করেন ব্রহ্মার কন্যা রূপে। নাম হয় পম্পা। কেউ কেউ আবার বলেন পম্পা দেবী নয় সে এক আদিবাসী কন্যা। যাই হােক, যৌবনে পৌঁছে ঘাের তপস্যার পর শিবকে পতি রূপে লাভ করেন। পম্পা। তাঁদের বিবাহ হয় যেখানে তার নাম হয় পম্পাক্ষেত্র। সংস্কৃত পম্পে শব্দই কন্নড়ে রূপান্তরিত হয়ে হাম্পে শব্দের সৃষ্টি হয়। ইংরেজিতে হাম্পে বদলে হয় হাম্পি। রামায়ণে উল্লেখিত ঋষিমুখ, হেমকূট, অঞ্জনাদ্রী এবং গন্ধমাদন পর্বতে ঘেরা এই জায়গাকেই আমরা চিনি বালি ও সুগ্রীবের রাজধানী কিষ্কিন্ধ্যা নামে। তবে পুরাণের পাশাপাশি বর্তমান হাম্পির আকর্ষণও কিছু কম নয়। আর সেই সব কারণ মিলিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাম্পি।
স্ক্যাম১৯৯২'-এর ছায়ায় ঢেকে ‘বিগবুল'
বিলাসবহুল হােটেলের কনফারেন্স রুমে বসে রয়েছে বিশিষ্ট সাংবাদিক মীরা রাও (ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ)। উপলক্ষ বই প্রকাশের অনুষ্ঠান। প্রবীণ এই সাংবাদিক একটি বই লিখেছে। নাম দ্য বিগ বুল। যার মুখ্য চরিত্রকে বম্বের সকলে এক ডাকে চেনে। নাম হেমন্ত শাহ (অভিষেক বচ্চন)। এই মানুষটি আশির দশকে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের রাজা ছিল। তার কথায় স্টকের দাম ওঠানামা করত। রাজনৈতিক নেতা, নামীদামি কোম্পানির মালিক সকলেই যােগাযােগ রাখত তার সঙ্গে। বিগবুলের পরামর্শে শেয়ারে লগ্নি বাড়াত। কিন্তু আচমকাই বিরাট স্ক্যামে নাম জড়িয়ে যায় তার। সেই অঙ্কের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা। আইনি পদ্ধতিতে লড়াই করার চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষে শ্রীঘরে ঠাঁই হয় তার। অবশেষে বন্দি অবস্থাতেই হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। কিন্তু জেলে যাওয়া যখন প্রায় নিশ্চিত তখন একদিন মীরাকে ডেকে পাঠায় হেমন্ত। জানায়, তার জীবনের কাহিনি সকলের সামনে আসা উচিত। অনুরােধ করে তাকে নিয়ে বই লিখতে। সেই কথাই রেখেছে প্রবীণ সাংবাদিক। হেমন্তের মৃত্যুর পর বই লেখে। তাকে কাছ থেকে জানার সুবাদে বহু অজানা তথ্য রয়েছে সেই বইতে। তাই সামনে সার সার চেয়ারে বসে থাকা সকল শ্রোতাই লেখিকার মুখ থেকে হেমন্তের জীবনের সেই গুপ্ত কাহিনি শুনতে চায়। আচমকাই বই রিলিজ নিয়ে বলতে শুরু করে মীরা। বলে, আপনারা যাকে স্ক্যামস্টার বলে চেনেন, সেই সময়ে সে কিন্তু সকলের কাছে হিরাে ছিল। এই সময়ে এক শ্রোতা মীরাকে। জিজ্ঞাসা করে বসে, আপনার কাছেও কি সে হিরাে ছিল? হেসে লেখিকা বলে, স্বাধীনতার পরবর্তী ৪০ বছরে ভারতে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এটা অন্যায়। হেমন্ত শাহ যেটা করেছে সেটাও অন্যায়। কিন্তু এই অন্যায়ের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য হয়তাে আমাদের এইরকমই একটা কিছুর দরকার ছিল। হেমন্ত যদি ধীরে চলতে পারত তাহলে বােধহয় বেশ কিছুদিনের জন্য মার্কেটে টিকে থাকতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। যদিও সে ছিল স্বপ্নের সওদাগর। তাই তার কাহিনি সকলের সামনে আসা উচিত।
শ্রীফল।
বেলি পাকলে কাকের কী?’ বা ‘ন্যাড়া একবার বেলতলায় যায়’—অনেকেই তাঁদের অতীতের কোনও বিশেষ অভিজ্ঞতাকে বর্তমানে প্রকাশ করেন এভাবেই। সাধারণ মানুষ বেলকে তাই খুব বিশেষ একটা স্থান দেন না—তাঁদের কাছে বেলগাছ, আর পাঁচটা গাছের মতােই; ফলটিও সেই প্রকার। ‘বজাদপি কঠরাণী মৃদুনানী কুসুমাদপি—'। বজ্রের মতাে কঠিন কিন্তু ফুলের মতাে নরম— এটাই হল বেলের প্রকৃতি। বাইরে কঠিন প্রাচীর তুলে ভেতরের ক্ষীর সিন্ধু সৃষ্টির বীজকে বাঁচিয়ে রেখেছে। শাস্ত্র বলছেন, বেলগাছকে বেষ্টন করে শত হস্ত পরিধি ব্যাপী স্থান হল শিবক্ষেত্র। জ্ঞানীর চোখে বেলগাছ শিব-শিবা স্বরূপ। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, সাধারণ জীবের পক্ষে যা অন্ধকারময় রাত্রি, জ্ঞানীর কাছে তা উজ্জ্বল আলােকময় দিন। স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব, শ্রীবিষ্ণু ব্ৰহ্মাদি সহ সকল দেবতা, ঋষি-মুনি থেকে শুরু করে আচার্য শঙ্কর পর্যন্ত সবাই বেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সংসার গার্হস্থ্য থেকে সন্ন্যাস-সাধনা, উপনয়ন থেকে বিবাহ। বেলকে অনেকে বলেন ‘ব্রহ্মফল। যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণদেব ব্রহ্মের স্বরূপ বােঝাতে এই উপমা ব্যবহার করেছেন, ‘বেলের খােলাটা যেন জগৎ। জীবগুলি যেন বিচি।...যে সত্তাতে শাঁস সেই সত্তা দিয়েই বেলের খােলা আর বিচি হয়েছে। বেল বুঝতে গেলে সব বুঝিয়ে যাবে।
মঙ্গলে কি আদৌ বসবাস করা যাবে? চিন্তিত নাসার বিজ্ঞানীরা
মঙ্গলের মাটিতে মহাকাশযান নামানাের পর থেকে সেখানে জীবনের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য, আগামীদিনে সেখানে মানুষের উপযােগী উপনিবেশ গড়ে তােলা। কিন্তু মঙ্গলে অভিযানের আগে থেকেই এখন একটা প্রশ্ন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে। তা হল, মহাকাশচারীরা লালগ্রহে আদৌ নিরাপদ কি না।
জে ত ব ন
রাজগীর নগরের প্রধান শ্রেষ্ঠী অনাথপিণ্ডদ বুদ্ধের জীবন ও বাণীর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। আজীবন দান-ধ্যানে রত অনাথপিণ্ডদ স্থির করলেন তথাগতের জন্য একটি বিহার নির্মাণ করে দেবেন। বন্ধুদের জানালেন, ‘তথাগতের জন্য আমি একটি বিহার নির্মাণ করে দেব স্থির করেছি। যে বিহারে বসে তিনি বহু মানুষের জীবনে শুভ পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন এবং তাঁর সন্ন্যাসী সঙ্ সেই বিহারের মধ্যেই পরিপুষ্ট হয়ে উঠবে। কিন্তু এই সাধু ইচ্ছা। মনে এলেও সেটি ঠিক কীভাবে রূপায়িত হবে এবং কোন স্থান বিহারের জন্য নির্ধারিত হবে—এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না।
জিজুর মগজাস্ত্র
ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন বিশ্বকাপ। পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলে রয়েছে একাধিক * ট্রফি। তা সত্ত্বেও সাফল্যের খিদে তাঁর এতটুকু কমেনি। বুটজোড়া তুলে রাখার পর কোচের ভূমিকাতেও যথেষ্ট সফল জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের কোচের পদে প্রথম ইনিংসটা কেটেছিল স্বপ্নের মতাে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি লা লিগা, ক্লাব বিশ্বকাপ—সব ট্রফির স্বাদ পেয়েছিলেন জিজু। ক্রিশ্চিয়ানাে রােনাল্ডাের সঙ্গে তাঁর রসায়ন মাদ্রিদের ক্লাবটিকে পৌঁছে দিয়েছিল সাফল্যের চূড়ায়। তবে ২০১৮-১৯ মরশুমে পর্তুগিজ মহাতারকা ও জিদান দল ছাড়তেই মুখ থুবড়ে পড়ে রিয়াল। প্রমাদ গােনেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনাে পেরেজ। ছ'মাসের মধ্যেই ফের কোচের পদে ফিরিয়ে আনা হয় জিজুকে। তখন অনেকেই বলেছিলেন, রােনাল্ডােহীন দলকে সাফল্য দেওয়ার মতাে ধার ফরাসি কোচের মগজাস্ত্রে নেই। কিন্তু জিনেদিন জিদান যে অন্য ধাতুতে গড়া। গত মরশুমে রিয়ালকে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন করার পর এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শােনা গিয়েছিল, ‘ফুটবল দলগত সংহতির খেলা। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দু-তিনটি ম্যাচ জেতা যেতে পারে। কিন্তু কোনও টুর্নামেন্ট নয়।