ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য
কে৷ নিখাদ্য স্বাস্থ্যকর, কোন খাদ্য অহিতকর, কোন খাদ্য রোগ প্রতিরোধক এবং কোন খাদ্য রোগ বর্ধক এই সম্পর্কে আয়ুর্বেদের নানা গ্রন্থে লিখিত বিবরণ আছে। ডায়াবেটিস রোগের উৎপত্তির জন্য খাদ্যাভ্যাস, পরিশ্রমহীন অলস জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, অন্য কোনও জটিল রোগ এবং জিনগত প্রভাব প্রভৃতি দায়ী। আয়ুর্বেদের সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কিত বই হল ‘চরক সংহিতা’। এতে ডায়াবেটিসের কারণ হিসেবে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন—অতিরিক্ত মিষ্টি, টক এবং নোনতা খাবার। তেল মশলাদার খাবার, হাই প্রোটিন (যেমন, মাংস, তৈলাক্ত মাছ), যে কোনও ধরনের মিষ্টি, বা চিনি দিয়ে তৈরি খাবার, অ্যালকোহল বা মদ্যজাত পানীয়। এই ধরনের খাদ্য ডায়াবেটিস-এর সমস্যায় খাওয়া চলবে না। এবার কিছু সাধারণ খাদ্য ও পানীয় যা সুস্থ ব্যক্তি এবং রোগাক্রান্ত ব্যক্তি উভয়ের জন্যই উপকারী তার একটি তালিকা দেওয়া হল, ১) জল: বিশুদ্ধ পানীয় জল শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখে। ২) মধু: পেশি, অস্থি, স্নায়ুর ভেঙে যাওয়া অথবা ছিঁড়ে যাওয়া অংশকে মেরামত করে। ৩) ঘৃত: দেহকে স্নিগ্ধ করে। ৪) দুগ্ধ: আয়ুবর্ধক, শক্তি ও বলবর্ধক এবং প্রাণশক্তি বর্ধক। ৫) আসব: অরিষ্ট-ক্ষুধা বর্ধক, স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন কমায়। ৬) মাংস: পুষ্টিবর্ধক।
ডায়াবেটিস রোগীর অবস্থা বিচার করে চিকিৎসক উপযুক্ত খাদ্য তালিকা তৈরি করবেন। চরক সংহিতায় খাদ্যদ্রব্যকে বিভিন্ন বর্গ ও গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এই প্রতিটি বর্গে শ্রেষ্ঠ এবং নিকৃষ্ট খাদ্য দ্রব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অনেকগুলিই উৎকৃষ্ট ভেষজ গুণ যুক্ত এবং ডায়াবেটিস রোগে প্রযোজ্য। • সমস্ত ধরনের চালের মধ্যে রক্তশালী ধানের চাল শ্রেষ্ঠ। এতে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, জিঙ্ক থাকে। ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া রোগ ও ডায়াবেটিস রোগে খুব উপকারী।
• মুগ ডাল সবচেয়ে ভালো। গ্যাস্ট্রাইটিস, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, অ্যানিমিয়া, জন্ডিস, ইনফেকশান, হার্টের অসুখ, ডায়েরিয়া, ডিসেন্ট্রি, স্কিন ডিজিজ, আর্থ্রাইটিস এবং ভার্টিগোর সমস্যায় খেতে পারেন।
Denne historien er fra 22 April 2023-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 22 April 2023-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
শিশু সাহিত্য ও সুকুমার রায়
প্রয়াণ শতবর্ষে সুকুমার রায় | সম্পাদনা: জয়দেব মাইতি ৷ কবিতিকা (খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর-৭২১৪৩২) ৷৷ ৩০০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
অসম্ভবের জগতে হেমেন্দ্রকুমার
অ্যাডভেঞ্চার সংগ্রহ ৷৷ হেমেন্দ্রকুমার রায় ৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ৮০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন রোগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “শরীরং ব্যাধি মন্দিরম”। শরীর আমাদের রোগের আশ্রয়স্থল, তাই রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এই সময় শুষ্ক ত্বক, খুশকি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা, এমনকি মানসিক অবসাদও বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রা, এবং আয়ুর্বেদিক পন্থার সঠিক প্রয়োগ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ত্বকের যত্নে সর্ষের তেল মালিশ, ঠান্ডার প্রতিরোধে আদা-গোলমরিচের চা, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। আয়ুর্বেদের সহজ পন্থায় সুস্থ জীবন যাপন করুন এবং শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন!
প্রাচীন মিশরের নারীদের কথা
প্রাচীন মিশরে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। নারীরা আইনের চোখে দক্ষ ও সক্ষম হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যবসা পরিচালনা, এবং আইনি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করতেন। ফারাওদের মধ্যে অনেক নারীর শাসনকাল ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ। মিশরীয় নারীরা চিকিৎসক, পুরোহিত, বয়নশিল্পী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতেন। এই অধিকার ও মর্যাদা মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে নারীর এমন শক্তিশালী অবস্থান বিরল।
পাথর কাব্যের দেশ খাজুরাহ
খাজুরাহ মন্দির, মধ্য ভারতের স্থাপত্যকলার এক অতুলনীয় নিদর্শন। চান্দেল রাজাদের শিল্প-সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক এই মন্দিরগুলো ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরগুলোর দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি, অপ্সরা এবং মানবজীবনের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাজুরাহর মন্দিরগুলো পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ— এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। কামশিল্প ও তন্ত্রচর্চার নিদর্শন হিসেবে পশ্চিম প্রান্তের মন্দিরগুলো বিশেষ পরিচিত। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করা এই মন্দির আজও পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!
বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?
ফেরা
মঞ্জুলার ফিরে যেতে যেতে অমলেন্দুর জীবন যায়। শহরের বাসতা ছেড়ে অমলেন্দু মঞ্জুলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাঞ্চা, মঞ্জুলার স্বামী, এবং গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করার জন্য এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুর কথা বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সরল জীবনযাত্রা অমলেন্দু নতুন করে বাঁচার মধ্যে খুঁজে পান। এই গল্পটি মানুষে মানুষে সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা এবং নতুন শুরু শক্তি এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
বিখ্যাত দুই অসম বিবাহ
১৮৮৩ সালে কাদম্বিনী বসু ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অংশও ছিল। কাদম্বিনী, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং চিকিৎসক, তাঁর স্বামীর সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেন।
বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় ছড়া সাহিত্য বাংলায় একটি অমূল্য ধন। 'খোকা ঘুমাল' ছড়াটি ১৭৪০ সালের বর্গি আক্রমণকালের এক ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি, যা সারা বাংলাদেশে একাধিক রূপে প্রচলিত। এই ছড়াটি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নানা প্রজন্মে বাচ্চাদের মুখে মুখে বহমান।
আইপিএল নিলামে ইতিহাস ঋষভের
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ঋষভ পন্থের জীবনে শুরু হয় নতুন লড়াই। জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্ব পেরিয়ে ১২ মাসের মধ্যেই তিনি ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এবার ২০২৫ আইপিএলের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।