মহাকাশে সুরক্ষা কবচ স্পৈস স্যুট বিভাস মজুমদার

এখন প্রশ্ন হল মহাকাশযানের মধ্যে স্পেস স্যুটের প্রয়োজনীয়তা কতটা? ১৯৭১ সালে সয়্যুজ ১১ মিশনের রাশিয়ান তিনজন মহাকাশচারী মহাকাশযানে বায়ুর চাপ জনিত কারণে মারা গিয়েছিলেন।

চ ন্দ্রযান ৩ এর পর আদিত্য এল ওয়ানকেও সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে পেরেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরো। গগনযান নামে একটি মহাকাশযানকে মহাকাশচারী সহ পৃথিবীর বাইরে প্রদক্ষিণ করে আসার জন্য পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মহাকাশযান পাঠানোর ব্যাপারটা ইসরোর আয়ত্তের মধ্যে এসে গেলেও মহাকাশচারী পাঠানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। আর এই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মহাকাশচারীদের পোশাক বা স্পেস স্যুট। স্পেস স্যুট আর পাঁচটা সাধারণ পোশাকের মতো নয়। এটাকে ঠিক স্যুট বলা চলে না। বলতে গেলে এটা একটা ছোটখাট মহাকাশযান। আসলে মহাকাশে বা পৃথিবীর বাইরে যাওয়া মানে সেখানে জীবন ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা অক্সিজেনের অভাব। দ্বিতীয়ত, সেখানে কোনও বায়ু চাপ নেই। পৃথিবীতে আমাদের শরীরের ভেতর ও বাইরে বায়ুর চাপ পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ায় দেহের ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু মহাকাশে গেলে সেখানে বাইরে কোনও বায়ু নেই তাই বায়ু 

চাপের প্রশ্নও ওঠে না। এটাই সমস্যার বিষয়। কারণ এর ফলে শরীরের ভেতরে থাকা বায়ু ও গ্যাসের চাপ মহাকাশে গেলে অত্যধিক বেড়ে গিয়ে সেকেন্ডের মধ্যে গোটা শরীরের স্নায়ু সহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ফাটিয়ে দেবে। তৃতীয় সমস্যা হল ধূমকেতু সহ বিভিন্ন গ্রহাণু তীব্র গতিতে মহাকাশে ছুটে বেড়াচ্ছে। ফলে সাধারণ পোশাক পরে থাকলে তা নিমেষের মধ্যে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। শুধু পোশাকই ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে তা নয়, শরীরকেও তা ঝাঁঝরা করে দেবে। চতুর্থ সমস্যা হল সূর্যের তেজস্ক্রিয় কণা। সূর্যের তেজস্ক্রিয় কণাও নিমেষে মানুষকে ভস্মীভূত করে দিতে পারে। সূর্যের সামনে থাকলে