১৮৪৭ সাল। গ্রীষ্মের এক সকালে কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে স্টিমার থেকে নামল বড়সড় একটি কাঠের প্যাকিং বাক্স। বিলেতের মেকের কোম্পানির ঘড়ির দোকান থেকে পেনিনসুলার অ্যান্ড ও ওরিয়েন্টাল স্টিম নেভিগেশনের জাহাজে এসেছে, যাবে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ঠিকানায়। ঠাকুরবাড়ির দু'জন কর্মচারী অনেক সকাল থেকে ঘাটে হাজির। প্রায় দুপুর নাগাদ বাক্স পৌঁছে গেল দ্বারকানাথ লেন দিয়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনের বিশাল চত্বরে। চত্বরের ভিড়ে জমায়েত সবাই দেখতে চায় বিলেত থেকে আসা এই বস্তুকে। দেবেন্দ্রনাথ তাঁর দুই ভাই গিরীন্দ্রনাথ আর নগেন্দ্রনাথকে নিয়ে উপস্থিত হতে ভিড় সরে গেল। গিরীন্দ্র আর নগেন্দ্ৰ দাদাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন। দ্বারকানাথের পর দেবেন্দ্র বাড়ির কর্তা, তাঁর কথাই শেষ কথা। দেবেন্দ্রনাথ আগেই চিন্তা করে রেখেছিলেন ঘড়ি কোথায় বসানো হবে। লন্ডনে তখন মেকেব সাহেবের খুব নাম ঘড়ি তৈরির ব্যাপারে। যদিও লন্ডনের পার্লামেন্ট হাউসের বিগবেন ঘড়ি মেকের লাগাননি, মেকেবের তৎকালীন প্রচণ্ড নামডাকের সঙ্গে এই ভুল তথ্যটিও জড়িয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ডে যাওয়ার পর ওখানে মেকেব কোম্পানির বড় বড় ঘড়ি দেখে দ্বারকানাথের খুব পছন্দ হয়। কলকাতার জোড়াসাঁকোর বাড়ির জন্য একটি বড় পেন্ডুলাম ঘড়ি তিনি অর্ডার দেন। তবে দ্বারকানাথ তাঁর জীবদ্দশায় সাধের অর্ডার দেওয়া মেকের কোম্পানির ঘড়ি দেখে যেতে পারেননি। ঘড়ি তৈরি হওয়ার আগেই ১৮৪৬ সালে লন্ডনে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর প্রায় বছরখানেক বাদে লন্ডন থেকে ঘড়ি উপস্থিত হল খাস কলকাতায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। বৈঠকখানা বাড়ির দেউড়ি দিয়ে ঢুকে একটা লম্বা প্যাসেজ ছিল, দেবেন্দ্রনাথের নির্দেশে প্যাসেজের সামনের দেওয়ালে একটা ব্র্যাকেটে বসল ওই ঘড়ি। শৌখিন আর অসামান্য শিল্পরুচি সম্পন্ন দ্বারকানাথের বৈঠকখানা বাড়ির বহু জিনিসের পরবর্তীকালে ঠাঁই হয়েছিল একতলার সিঁড়ির নীচে এক ঘরে, ব্যতিক্রম ওই ঘড়ি।
সেকালে দ্বারকানাথের তুলনা ছিলেন স্বয়ং দ্বারকানাথ। ঊনবিংশ শতাব্দীতে তাঁর মতো ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষায় সুপণ্ডিত, সুগভীর আইনজ্ঞ, সঙ্গীতকলায় পারদর্শী বাংলায় এমনকী গোটা ভারতবর্ষে কমই ছিল। রাজা রামমোহন রায়ের পরম বন্ধু দ্বারকানাথ প্রথম বাঙালি যিনি ইউরোপীয়দের সঙ্গে সমান তালে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে গেছেন। নিজেকে তাদের সমান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
Denne historien er fra 29 June 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 29 June 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
শিশু সাহিত্য ও সুকুমার রায়
প্রয়াণ শতবর্ষে সুকুমার রায় | সম্পাদনা: জয়দেব মাইতি ৷ কবিতিকা (খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর-৭২১৪৩২) ৷৷ ৩০০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
অসম্ভবের জগতে হেমেন্দ্রকুমার
অ্যাডভেঞ্চার সংগ্রহ ৷৷ হেমেন্দ্রকুমার রায় ৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ৮০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন রোগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “শরীরং ব্যাধি মন্দিরম”। শরীর আমাদের রোগের আশ্রয়স্থল, তাই রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এই সময় শুষ্ক ত্বক, খুশকি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা, এমনকি মানসিক অবসাদও বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রা, এবং আয়ুর্বেদিক পন্থার সঠিক প্রয়োগ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ত্বকের যত্নে সর্ষের তেল মালিশ, ঠান্ডার প্রতিরোধে আদা-গোলমরিচের চা, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। আয়ুর্বেদের সহজ পন্থায় সুস্থ জীবন যাপন করুন এবং শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন!
প্রাচীন মিশরের নারীদের কথা
প্রাচীন মিশরে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। নারীরা আইনের চোখে দক্ষ ও সক্ষম হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যবসা পরিচালনা, এবং আইনি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করতেন। ফারাওদের মধ্যে অনেক নারীর শাসনকাল ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ। মিশরীয় নারীরা চিকিৎসক, পুরোহিত, বয়নশিল্পী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতেন। এই অধিকার ও মর্যাদা মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে নারীর এমন শক্তিশালী অবস্থান বিরল।
পাথর কাব্যের দেশ খাজুরাহ
খাজুরাহ মন্দির, মধ্য ভারতের স্থাপত্যকলার এক অতুলনীয় নিদর্শন। চান্দেল রাজাদের শিল্প-সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক এই মন্দিরগুলো ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরগুলোর দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি, অপ্সরা এবং মানবজীবনের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাজুরাহর মন্দিরগুলো পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ— এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। কামশিল্প ও তন্ত্রচর্চার নিদর্শন হিসেবে পশ্চিম প্রান্তের মন্দিরগুলো বিশেষ পরিচিত। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করা এই মন্দির আজও পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!
বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?
ফেরা
মঞ্জুলার ফিরে যেতে যেতে অমলেন্দুর জীবন যায়। শহরের বাসতা ছেড়ে অমলেন্দু মঞ্জুলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাঞ্চা, মঞ্জুলার স্বামী, এবং গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করার জন্য এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুর কথা বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সরল জীবনযাত্রা অমলেন্দু নতুন করে বাঁচার মধ্যে খুঁজে পান। এই গল্পটি মানুষে মানুষে সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা এবং নতুন শুরু শক্তি এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
বিখ্যাত দুই অসম বিবাহ
১৮৮৩ সালে কাদম্বিনী বসু ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অংশও ছিল। কাদম্বিনী, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং চিকিৎসক, তাঁর স্বামীর সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেন।
বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় ছড়া সাহিত্য বাংলায় একটি অমূল্য ধন। 'খোকা ঘুমাল' ছড়াটি ১৭৪০ সালের বর্গি আক্রমণকালের এক ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি, যা সারা বাংলাদেশে একাধিক রূপে প্রচলিত। এই ছড়াটি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নানা প্রজন্মে বাচ্চাদের মুখে মুখে বহমান।
আইপিএল নিলামে ইতিহাস ঋষভের
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ঋষভ পন্থের জীবনে শুরু হয় নতুন লড়াই। জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্ব পেরিয়ে ১২ মাসের মধ্যেই তিনি ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এবার ২০২৫ আইপিএলের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।