সুস্থ কথার অর্থ শুধুমাত্র রোগবিহীন বা নীরোগ শরীর নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী শারীরিক, • মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বয়স, ওজন ও উচ্চতার মধ্যে প্রত্যাশিত সমন্বয় রক্ষা, কর্মদক্ষতা ও জীবনীশক্তিতে ভরপুর, দেহের ত্বক, চুল, দাঁত, হাড়, রক্ত, বায়ু, জিভ, নখ ইত্যাদি সকল বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখা দরকার। বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার সক্ষমতা, সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্যগ্রহণ, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম, বিশ্রাম ও সঠিক জীবনশৈলী সহ বিবিধ বিষয়ের যথাযথ সমন্বয় বা নিয়মানুবর্তিতা থাকলে তবেই তা সুস্থ বলে গণ্য হতে পারে।
ছোটবেলায় স্বাস্থ্য বইয়ের পাতায় লেখা থেকে সবারই জানা যে সুস্থ থাকতে হলে সঠিক সময়ে খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম, বিশ্রাম, খেলাধুলা বা শারীরিক পরিশ্রম করা ছাড়াও নিয়মিত দাঁত মাজা, স্নান করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরিধান করা, চুল কাটা, নখ কাটা, বাইরে থেকে এসে হাত-পা মুখ ধোওয়া ইত্যাদি অত্যন্ত আবশ্যক। আর এখন সুস্থ থাকার সেইসব শাশ্বত নিয়মাবলির পাশাপাশি আরও কিছু হেলদি টিপস যোগ হয়েছে। যেমন— আপনার বয়স, ওজন, উচ্চতা, শারীরিক কর্মক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যালান্সড ডায়েট অনুসরণ করে চলা। ঋতু অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের উপযুক্ত খাদ্যগ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা।
খাদ্য মাধ্যমে দেহের অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা। পথ্য সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা বা কুসংস্কারকে পরিহার করা। অতিরিক্ত চা, কফির নেশা বাদ দেওয়া। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, প্রসেসড ফুড, লবণদার খাবার, রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার অতিরিক্ত ভাজাভুজি, মিষ্টি, চিনি, রেডমিট, অস্বাস্থ্যকরভাবে সংরক্ষিত খাবার বর্জন করে চলা। দৈনন্দিন খাবারে তাজা শাক-সব্জি, মরশুমি ফল, ডিম, পোল্ট্রির মাংস, ফ্যাট ফ্রি দুধ ও ফ্যাট ফ্রি দুধজাত খাবার, বিভিন্ন ধরনের ডাল হোলগ্রেন, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত সামুদ্রিক মাছ, তিল, সূর্যমুখীর বীজ, আমণ্ড, আখরোট ইত্যাদি রাখতে হবে।
Denne historien er fra 9 November 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra 9 November 2024-utgaven av Saptahik Bartaman.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
শিশু সাহিত্য ও সুকুমার রায়
প্রয়াণ শতবর্ষে সুকুমার রায় | সম্পাদনা: জয়দেব মাইতি ৷ কবিতিকা (খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর-৭২১৪৩২) ৷৷ ৩০০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
অসম্ভবের জগতে হেমেন্দ্রকুমার
অ্যাডভেঞ্চার সংগ্রহ ৷৷ হেমেন্দ্রকুমার রায় ৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ৮০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন রোগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “শরীরং ব্যাধি মন্দিরম”। শরীর আমাদের রোগের আশ্রয়স্থল, তাই রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এই সময় শুষ্ক ত্বক, খুশকি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা, এমনকি মানসিক অবসাদও বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রা, এবং আয়ুর্বেদিক পন্থার সঠিক প্রয়োগ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ত্বকের যত্নে সর্ষের তেল মালিশ, ঠান্ডার প্রতিরোধে আদা-গোলমরিচের চা, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। আয়ুর্বেদের সহজ পন্থায় সুস্থ জীবন যাপন করুন এবং শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন!
প্রাচীন মিশরের নারীদের কথা
প্রাচীন মিশরে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। নারীরা আইনের চোখে দক্ষ ও সক্ষম হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যবসা পরিচালনা, এবং আইনি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করতেন। ফারাওদের মধ্যে অনেক নারীর শাসনকাল ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ। মিশরীয় নারীরা চিকিৎসক, পুরোহিত, বয়নশিল্পী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতেন। এই অধিকার ও মর্যাদা মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে নারীর এমন শক্তিশালী অবস্থান বিরল।
পাথর কাব্যের দেশ খাজুরাহ
খাজুরাহ মন্দির, মধ্য ভারতের স্থাপত্যকলার এক অতুলনীয় নিদর্শন। চান্দেল রাজাদের শিল্প-সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক এই মন্দিরগুলো ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরগুলোর দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি, অপ্সরা এবং মানবজীবনের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাজুরাহর মন্দিরগুলো পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ— এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। কামশিল্প ও তন্ত্রচর্চার নিদর্শন হিসেবে পশ্চিম প্রান্তের মন্দিরগুলো বিশেষ পরিচিত। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করা এই মন্দির আজও পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!
বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?
ফেরা
মঞ্জুলার ফিরে যেতে যেতে অমলেন্দুর জীবন যায়। শহরের বাসতা ছেড়ে অমলেন্দু মঞ্জুলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাঞ্চা, মঞ্জুলার স্বামী, এবং গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করার জন্য এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুর কথা বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সরল জীবনযাত্রা অমলেন্দু নতুন করে বাঁচার মধ্যে খুঁজে পান। এই গল্পটি মানুষে মানুষে সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা এবং নতুন শুরু শক্তি এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
বিখ্যাত দুই অসম বিবাহ
১৮৮৩ সালে কাদম্বিনী বসু ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অংশও ছিল। কাদম্বিনী, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং চিকিৎসক, তাঁর স্বামীর সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেন।
বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় ছড়া সাহিত্য বাংলায় একটি অমূল্য ধন। 'খোকা ঘুমাল' ছড়াটি ১৭৪০ সালের বর্গি আক্রমণকালের এক ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি, যা সারা বাংলাদেশে একাধিক রূপে প্রচলিত। এই ছড়াটি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নানা প্রজন্মে বাচ্চাদের মুখে মুখে বহমান।
আইপিএল নিলামে ইতিহাস ঋষভের
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ঋষভ পন্থের জীবনে শুরু হয় নতুন লড়াই। জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্ব পেরিয়ে ১২ মাসের মধ্যেই তিনি ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এবার ২০২৫ আইপিএলের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।