মানেবাজার হয়ে মংপু
Bhraman|May 2024
বাজারে জৈব সারে ফলানো টাটকা সবজি, মাশরুম, রাইশাক, মুলো, পাহাড়ি আলু আর ডলে খুরসানি (ছোট ছোট পাহাড়ি লঙ্কা) ঝকঝক করছে। ড্রাইভার বাড়ির জন্য বেশ কিছু সবজিপাতি খরিদ করে নিলেন।
লেখা ও ছবি: শান্তনু চক্রবর্তী
মানেবাজার হয়ে মংপু

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ। কলকাতা গরমে নাজেহাল। তখন উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে বেশ কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির ঘনঘটা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাণ্ডব চালিয়ে গিয়েছে। বেশ ঠান্ডা! পূর্ব-পরিচিত আবহাওয়া গাড়িচালক, অভিষেক দাজু স্টেশনে আগেভাগে উপস্থিত ছিলেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই স্টেশন চত্বর ছেড়ে, শহর পিছনে ফেলে মহানন্দা স্যাংচুয়ারির মধ্যবর্তী পথ ধরলাম। মাঝে প্রাতরাশ সেরে নেওয়া হল সেবকে, লেভেল ক্রসিংয়ের আগে পরিচিত দোকানে। আকাশ মেঘলা, দূরে পাহাড়ের বুকে সবুজ অরণ্যে মেঘেদের ভেসে চলার মোহিত করা দৃশ্য! রান্তি বাজারে হালকা যানজটে গ্রামের মেয়েরা ছোট টুকরিতে করে সান্তারা ফিরি করতে এলেন। বাজারে জৈব সারে ফলানো টাটকা সবজি, মাশরুম, রাইশাক, মুলো, পাহাড়ি আলু আর ডলে খুরসানি (ছোট ছোট পাহাড়ি লঙ্কা) ঝকঝক করছে। ড্রাইভার বাড়ির জন্য বেশ কিছু সবজিপাতি খরিদ করে নিলেন।

ঝিঁঝিঁ আর পাখিদের কলতানে মুখর শালের জঙ্গল, তারই ফাঁকে রুপোলি ফিতের মতো তিস্তা! এঁকেবেঁকে অনেকটা দূর চলে গিয়েছে। নেমে ছবি তুলব তার উপায় নেই, এক ফালি রাস্তায় যানজট লেগে যাবে। এ পথের সৌন্দর্য তুলনাহীন। দু'পাশে চা-বাগান। তার উপর ছাতা ধরেছে আকাশছোঁয়া গাছের দল। বাগান থেকে বেরিয়ে এক দল ময়ূর রাস্তার উপর পেখম মেলে নাচছে। পাহাড়ের ধাপে সবুজের ঢেউ। এই পাহাড়ের ঢালে মেঘ, তো ওই পাহাড় কুয়াশার চাদরে জড়ানো। এ পথেই বিভিন্ন নামী চা-বাগানগুলি। পাইনের ছায়ায় দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারছেন চা-বাগানের মহিলা কর্মীরা। গেইল চা-বাগানের কাছে গিয়ে দেখলাম বেশ কিছু সেনা জওয়ানের আবক্ষ মূর্তি। অভিষেক দাজু বললেন, কার্গিল যুদ্ধের সময় এই গ্রামের অনেক ছেলে যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন, এই সব মূর্তি তাঁদেরই স্মৃতিসৌধ।

চলে এলাম সুন্দর পাহাড়ি গঞ্জ রংলি-রংলিয়টে। পাহাড়ের ঢালে চা-বাগান আর তারই খাঁজে খাঁজে বাড়িঘর। ছোট্ট বাজার। পাইন আর ফার্নের বন ঢেকে আছে ঘন কুয়াশায়। মাথার উপর পাহাড়ের ঢালে ব্রিটিশ আমলের আবছা বাংলো। একটানা ঝিঁঝিঁর কনসার্টে কান পাতা দায়। মাঝেমাঝে ফগলাইট জ্বালিয়ে দু'-একটা স্থানীয় জিপ পাশ কাটিয়ে চলেছে। রাস্তায় ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন বাঁক। মিনিট পনেরো পর কেটে গেল কুয়াশা। শেষ কয়েকটা বাঁকে সুন্দর গ্রাম, অর্কিড আর রঙিন ফুলে সাজানো বাড়িঘর পার করে গাড়ি এসে থামল সুপ্রাচীন এক বাংলোর সামনে।

Denne historien er fra May 2024-utgaven av Bhraman.

Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.

Denne historien er fra May 2024-utgaven av Bhraman.

Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.

FLERE HISTORIER FRA BHRAMANSe alt
উমরুকুঠির অতিথি
Bhraman

উমরুকুঠির অতিথি

শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।

time-read
4 mins  |
November 2024
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
Bhraman

পথের বাঁকে তিলওয়ারা

তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।

time-read
1 min  |
November 2024
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
Bhraman

কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন

কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।

time-read
10+ mins  |
November 2024
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
Bhraman

নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ

পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।

time-read
3 mins  |
November 2024
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
Bhraman

সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন

বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।

time-read
3 mins  |
November 2024
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
Bhraman

ওমানের মরুতে মরূদ্যানে

ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।

time-read
6 mins  |
November 2024
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
Bhraman

ওড়িশার জলে জঙ্গলে

নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।

time-read
5 mins  |
November 2024
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
Bhraman

গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ

দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।

time-read
6 mins  |
November 2024
কানাকাটা পাস
Bhraman

কানাকাটা পাস

কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।

time-read
8 mins  |
November 2024
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
Bhraman

ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক

আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.​com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।

time-read
1 min  |
November 2024