‘বি ষ্টি, এই বিষ্টি, সেই কখন থেকে বলছি, মেঘ করে এসেছে জামাকাপড়গুলো তুলে ফেল। কথা কানে যাচ্ছে না, নাকি?' মায়ের চিৎকার শুনে টনক নড়ল বৃষ্টির। মোবাইল ফোন থেকে চোখ সরিয়ে আকাশের দিকে তাকাল ও। আকাশের গায়ে খানিকটা ধূসর মেঘ জমাট বাঁধতে শুরু করেছে। তবে এখনই বৃষ্টি পড়বে না। তাই মায়ের কথায় ও কোনও সাড়া দিল না। এখনই আধ-শুকনো জামাকাপড়গুলোকে ঘরের ভেতর তুলে এনে কোনও লাভ নেই। যদি মেঘ কেটে গিয়ে আবার রোদ্দুর ওঠে তাহলে ওকেই আবার ওইসব আধভেজা জামাকাপড় শুকোতে দিতে হবে।
“কি রে, কথা কানে গেল না? তখন থেকে বলছি জামাকাপড়গুলো তুলে ফেল। এখনও তুললি না কেন? ফের যদি দেখি মোবাইল নিয়ে পুটুর পুটুর করছিস তাহলে—' আবার শুরু হল মায়ের গজগজানি। কেন যে এই ছুটির দিনগুলো আসে? সারাদিন বাড়িতে থাকতে থাকতে আর মায়ের ফাইফরমাশ খাটতে খাটতে হাঁপিয়ে ওঠে বৃষ্টি। বিকেলের দিকে যে কোথাও একটু ঘুরে আসবে তারও উপায় নেই। ঘুরতে গেলেই কিছু না কিছু খরচ হবে। আর তাতেই মায়ের মুখ হাঁড়ি হয়ে যাবে। এইভাবে কি আর বেঁচে থাকা যায়? অথচ ওর বন্ধুরা; পিঙ্কি, টুম্পা, সিতারা, ওরা সবাই কত আনন্দে থাকে। রোজ নতুন নতুন নেলপলিশ, লিপস্টিক, সিনেমার হিরোইনদের মতো ড্রেস, দামি মোবাইল, কী নেই ওদের? ওদের দেখে খুব হিংসে হয় বৃষ্টির। ওদের আরও একটা জিনিস আছে যেটা বৃষ্টির নেই। সেটা হল বয়ফ্রেন্ড। ওদের সবার বয়ফ্রেন্ড আছে। শুধু বৃষ্টির কোনও বয়ফ্রেন্ড নেই। ওরা ছুটির দিনে ‘বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছি' বলে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘুরতে যায়। মোবাইলে ফটো তুলে এনে সবাইকে দেখায়। বৃষ্টি জানে ওর কোনও বয়ফ্রেন্ড জুটবে না এখন। কারণ বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘুরতে যেতেও পয়সা লাগে। বৃষ্টির হাতে কি আর ইচ্ছেমতো খরচা করার জন্য পয়সা আছে। ওর হাত তো সবসময়ই খালি। এক প্লেট দই-ফুচকা খেতে হলেও মায়ের কাছে টাকা চাইতে হয়।
Denne historien er fra July 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra July 2024-utgaven av Sukhi Grihakon.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।