
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে বিকেলে চেন্নাই পৌঁছে, ট্রেন বদলে ম্যাঙ্গালোর মেলে পরদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নামলাম উত্তর কেরলের কোঝিকোড় স্টেশনে। এক কাপ চা খেয়ে, অটো ধরে চলে এলাম কে এস আর টি সি-র ওয়েনাদ যাওয়ার বাসস্ট্যান্ডে। কোঝিকোড় থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাস যাচ্ছে ওয়েনাদ। সাধারণ বাসের ভাড়া ৯৮ টাকা। জানালার পাশের সিট দখল করে বসলাম। সময়সূচি অনুযায়ী বাস ছাড়তে এখনও একটু দেরি। হাতে সময় থাকায় বাসস্ট্যান্ডের পাশেই, সাগর রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভরপেট খেয়ে নিলাম।
কেরল রোড ট্রান্সপোর্টের সাধারণ বাসগুলিও যথেষ্ট আরামদায়ক। ভাস্কো দা-গামার স্মৃতি বিজড়িত কালিকট বা বর্তমানের সাজানো কোঝিকোড় শহর ছাড়িয়ে বাস নারকেল গাছে ছাওয়া হাইওয়ে ধরল। ঘণ্টাখানেকে সবুজ গ্রামাঞ্চল ছাড়িয়ে পৌঁছলাম জঙ্গলময় পাহাড়ের পাদদেশে। সবুজ পশ্চিমঘাট পর্বতমালার গা বেয়ে বাস উঠতে লাগল। পরপর হেয়ার পিন বেন্ড। এ পথের বিখ্যাত বাঁক লক্কিডি।
লকিডি হেয়ারপিন বাঁক পেরিয়ে উঠে এলাম পাহাড়ের মাথায়। এ পথে প্রথমে ভাইথিরি, তারপর চুন্ডেল মোড় থেকে বাঁহাতি রাস্তা চলে গেছে ওয়েনাদের জেলাসদর কালপেট্টা হয়ে এক দিকে সুলতান বাথেরি ও অন্য দিকে বানাসুর সাগর ও কর্নাটকের কুর্গের দিকে। আর ডানহাতি পথ মেপ্পাড়ি পেরিয়ে চলে গেছে তামিলনাড়ুর উটির দিকে। আমার থাকার ব্যবস্থা মেপ্পাডির কাছে ওয়েনাদ জোস্টেলে, চেম্ব্রা পাহাড়ের একদম পায়ের কাছে। বাস মেপ্পাড়ি যাবে না, যাবে সোজা কালপেট্টা। কন্ডাক্টরকে বলতে সে চুন্ডেল মোড়ে বাস থামিয়ে, দাঁড়িয়ে থাকা মেপ্পাডিগামী বাসে আমাকে তুলে দিল। ভাইথিরি থেকে মেপ্পাডির রাস্তায় সারাক্ষণ ডান দিকে দেখা যায় চেন্দ্রাকে। ওয়েনাদের উচ্চতম বিন্দু চেম্ব্রা পিক (উচ্চতা ৬,৮৯০ ফুট)। উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথের দু'পাশের ঢালে সবুজ চা-বাগান। এছাড়া নানা মশলা ও কফির বাগানও। বন-জঙ্গলও ঢের। আধঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম মেপ্পাড়িতে। ছোট জনপদ। বাসস্ট্যান্ডে অটোচালক উমেশের সঙ্গে রফা হল, দেড়শো টাকার বিনিময়ে পৌঁছে দেবে আমার আস্তানায় ।
Dit verhaal komt uit de November 2024 editie van Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Al abonnee ? Inloggen
Dit verhaal komt uit de November 2024 editie van Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Al abonnee? Inloggen

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।