এখন তো স্মার্টওয়াচের জমানা! ডিজিটাল আলোয় একের পর-এক ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড, মাইক্রো সেকেন্ডের হিসেব ভেসে উঠছে ছোট্ট চৌকো স্ক্রিনে। সেই সঙ্গে সারা দিনে ক'পা হাঁটা হল, হৃৎপিণ্ডে কত বার লাবডুব হল, সেই সবের বিস্তারিত হিসেবনিকেশ। ঘড়ি নয়, ওটা ছোটখাটো একটা যন্ত্রই।
কিন্তু তোমরা তো দম দেওয়া ঘড়িও দেখেছ? আজ সেই ঘড়ির কথা বলব। তাতে ছোট ডায়ালের উপর থাকে মিনিট ও সেকেন্ডের দুটো কাঁটা, সেই সঙ্গে আবার ঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে আরও একটি কাঁটা। টিক টিক শব্দে তারা জানান দিতে থাকে, কত কত সময় পেরিয়ে গেল। পনেরো শতকে জার্মানির পিটার হেনলিন উদ্ভাবন করেছিলেন প্রথম হাতঘড়ি।
তবে হাতঘড়ির ইতিহাস, ভবিষ্যৎ নয়, বরং আজ জানব এমন কিছু ঘড়ির কথা, যন্ত্রপাতির কারসাজিতে যারা রীতিমতো রহস্যময়! আচ্ছা, এই ডায়ালে আমরা সাধারণত কী দেখি? কাঁটাগুলো একটা অন্যটার সঙ্গে যুক্ত থেকে ঘুরতে থাকে, তাই তো? কিন্তু ধরো, যদি হাতে এমন একটা ঘড়ি আসে, যার একটি কাঁটার সঙ্গে অন্য কাঁটার, এমনকি কাঁটা দুটোর সঙ্গে ঘড়ির ডায়ালেরও কোনও সংযোগ নেই। যেন হাওয়ায় ভাসছে দুটো কাঁটাই। অথচ সময় দেখাচ্ছে এক্কেবারে নির্ভুল! কী ভাবে সম্ভব? রহস্যময়, না? এমন ঘড়ির ডায়াল তাই পরিচিত ‘মিস্ট্রি ডায়াল' নামে।
কেন রহস্যময়? তখন উনিশ শতক। ফ্রান্সে থাকতেন জিন ইউজিন রবার্ট হাউডিন নামে এক জাদুকর, যিনি জগতে বিখ্যাত ‘হুডিনি’ নামে। ইতিহাস বলে, তিনিই প্রথম তৈরি করেছিলেন এই রকম মিস্ট্রি ডায়ালের ঘড়ি। জিন তখনও জাদুকর হননি। বাবার দেখাদেখি সদ্য হাত পাকাতে শুরু করেছেন ঘড়ি তৈরির কাজে। জিন অবশ্য হাতঘড়ি তৈরি করতে চাননি। চেয়েছিলেন দেওয়ালঘড়ি বা টেবিলঘড়ি তৈরি করতে। তো যাই হোক, সেই সময় ঘড়ির প্রত্যেকটি উপাদান নির্মাতারা আলাদা আলাদা করে তৈরি করতেন। কিন্তু জিনের তো জাদুকর হওয়ারই কথা ছিল, সে তিনি হোন না যতই ঘড়ির কারিগর! শুরুর দিন থেকেই তাঁর মাথায় ছিল অন্য রকম কিছু করার, যা মানুষকে তাক লাগিয়ে দেবে। তাই তিনি তৈরি করতেন গান গাওয়া পাখির মতো নানা আকৃতির অটোমেটন বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আর তাদের জুড়ে দিতেন ঘড়ির সঙ্গে। আসলে এ সব তিনি ব্যবহার করতেন তাঁর ম্যাজিক দেখানোর মঞ্চে। সেই জন্য তিনি
This story is from the 5 Aug, 2024 edition of ANANDAMELA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 5 Aug, 2024 edition of ANANDAMELA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।