ফড়িং-বিশু এ বছর পাশ করেছে। গত বার ক্লাস এইটে আটকে গিয়েছিল। এ বার সে কত নম্বর ফ পেয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। বিশু পাশ করেছে, এটাই বড় কথা। স্কুলে সকলে খুশি। বিশেষ করে রমাপদ স্যর। বিশু জানে, রমাপদ স্যরের তিরস্কার অনেকটা জলভরা সন্দেশের মতো। উপরে একটু শক্ত, ভিতরে স্নেহরসে টইটম্বুর। বন্ধুরা মজা করলেও, বিশুকে খুব ভালবাসে। নানা ভাবে সাহায্য করে। ফার্স্ট বয় সুজয় সামন্ত তো ওর সব প্রোজেক্টের কাজ করে দেয়। কারণ, ফড়িং-বিশু স্কুলের সেরা খেলোয়াড়। আন্তঃস্কুল সাঁতার আর দৌড়ে পটাশপুর বয়েজ স্কুলকে অনেক ট্রফি এনে দিয়েছে। ফড়িং-বিশু যখন সাঁতার কাটে, মনে হয় একটা স্পিডবোট জল কেটে এগিয়ে চলেছে। আর যখন রেসে দৌড়য়, মনে হয় যেন চিতাবাঘ। দুই হাত শূন্যে দু'দিকে ছড়িয়ে দিয়ে ভিক্ট্রি ল্যাপে যখন ওর গতিবেগে মন্দন আসে, ওর সহপাঠী বন্ধুরা উল্লাসে চিৎকার করে ওঠে, “ফড়িং-বিশু! আমাদের ফড়িং-বিশু!”
বিশুর ব্যবহারও চকলেটের মতো। ফড়িং-বিশু তাই অজাতশত্রু। ফড়িংবিশুর আসল নাম বিশ্বদেব মাইতি। নামটাই যা ভারী। ছিপছিপে চেহারায় সারা ক্ষণ ফড়িংয়ের মতো তিড়িংবিড়িং করছে। পঁয়তাল্লিশ মিনিটের ক্লাসে চুপচাপ বসে থাকা ওর কাছে কষ্টকর। বসে থেকেও সারা ক্ষণ নড়াচড়া করতে থাকে। তাই বিশু ক্লাসে শেষ বেঞ্চে বসে। তবে ওই জন্য ওর নাম ফড়িং-বিশু হয়নি। রমাপদ স্যর এক বার বিশুকে এ প্লাস বি হোল কিউবের ফরমুলা জিজ্ঞেস করেছিলেন। বিশু বি কিউবকে বি স্কোয়্যার বলেছিল।
স্যরও নিখুঁত নিশানায় একটা চকের টুকরো ছুড়ে বলেছিলেন, “সারা ক্ষণ ফড়িংয়ের মতো ছটফট করলে কিউব স্কোয়ার হয়ে যায়, হতচ্ছাড়া।” সেই থেকে বিশ্বদেব মাইতি ওরফে বিশু হয়ে গেল ফড়িং-বিশু।
পটাশপুর ছোট্ট মফস্সল শহর। সকলে সকলকে চেনে। বিশুর বাবা হরিদেব মাইতির মুদি ও স্টেশনারি দোকান। রমাপদ স্যর ওই দোকান থেকে মাসকাবারি জিনিস কেনেন। হরিদেববাবু স্যরকে বলেন, “ছেলেটার জন্য চিন্তা। পড়ে কম। হয় ব্যাট ঘোরাচ্ছে, নয় তো ঘরের মধ্যেই বল নিয়ে খেলছে। আর না হলে পুকুরে সাঁতার কাটছে ঘণ্টার পরঘণ্টা। ওর দিদি নজর রাখে। মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেলে তখন কে যে দেখবে ওকে! মা মরা ছেলে। বেশি শাসন করতে পারি না।” রমাপদ স্যর হেসে বলেন, “কার জীবনের অঙ্ক কোন খাতে বইবে, কেউ বলতে পারে না। সকলে কি সায়েন্টিস্টডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়? স্যরেরা ওর উপর নজর রাখেন। চিন্তা করবেন না।”
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 20 Sep, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 20 Sep, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
মার্শাল আর্টসের প্রাচীন ইতিহাস
অনেকে মিলে, অনেক হাজার বছর ধরে নিখুঁত করেছেন এই রণকৌশলকে। লিখেছেন অচ্যুত দাস
মার্শাল আর্টসের রকমফের
ক্যারাটের সঙ্গে মুই তাইয়ে কী তফাত? কতগুলো ধাপ পেরোলে এক জন ব্ল্যাক বেল্ট হতে পারে? লিখেছেন শুভশ্রী মুহুরী
আত্মরক্ষার সহজ উপায়
কী ভাবে ক্যারাটে বাড়াতে পারে আত্মবিশ্বাস ও মনোবল? প্রশিক্ষক সৌমেন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
এলএমইটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল
লেখাপড়া, খেলাধুলো, সংস্কৃতিচর্চা সবই পাশাপাশি চলছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের এই স্কুলে।
ফড়িং-বিশু
মানিক খুব চটপটে। স্কুলে যোগ দিয়েই কাজ শুরু করে দিলেন। মূলত ক্লাস এইট থেকে ইলেভেন, এই চারটে ক্লাস থেকে কিছু ছেলেকে বেছে নিলেন। তার পর শুরু হল প্রশিক্ষণ। প্ৰথমে শুধু দৌড় আর নানা রকম শারীরিক কসরত। প্ৰথম এক-দেড় মাস ফুটবল নিয়ে মাথা ঘামালেন না ৷
ইউএফও নয়, ইউএপি
‘উড়ন্ত চাকি দেখেছি,' বললে বিজ্ঞানীরা আর হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কেন? লিখেছেন অচ্যুত দাস
আদিম মানুষের ডেরা
দ্বীপ থেকে ফিরে এসে প্রত্যেককে হাজিরা দিতে হয় জেটির কর্মকর্তাদের সামনে।
মধ্য রাতের ঝড়
সোনার কণাগুলো যখন এত ছোট আকারে ভেঙে যাচ্ছে, তখন তার ভৌত ধর্মই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে আর সে বদলে ফেলছে রং।”
ক্যামেলিয়া
পড়িমরি করে ছুটে এসেছিলেন দু'জন। প্রবাহ আঙুল তুলে শুধু দেখিয়েছিল ক্যামেলিয়ার দিকে, যার পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটে ছিল অনেকটা গোলাপের মতো দেখতে গোটা দুই-তিন রক্তলাল ফুল।
টেনিস জগতে নতুন তারা
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের পুরুষ এবং মহিলা বিভাগে টেনিস পেল নিজের নতুন চ্যাম্পিয়ন। লিখেছেন সায়ক বসু