গে লাসটা নিয়ে ড্রয়িং রুমের আরামকেদারায় গা এলিয়ে দিল সুশান্ত। সারা দিনের ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা আর অবসাদগ্রস্ত শরীর থেকে বিষ ধুয়ে ফেলার এটাই অব্যর্থ ওষুধ। বিষে-বিষে বিষক্ষয়। ঢাকুরিয়ার এই ফ্ল্যাটে সুশান্ত একাই থাকে। বিয়ে অবশ্য করেছিল একটা, কিন্তু বেশি দিন টেকেনি। আজকালকার বৈবাহিক জীবন ওই চাইনিজ জিনিসের মতোই— বেশি দিন টেকে না। বিয়ে না করেই বোধহয় মানুষ বেশি সুখে আছে। সুশান্তর অবশ্য বিয়ে ভেঙে গেলেও জীবনে সুখ এখনও ফেরেনি। মাঝে মাঝে এই প্রকাণ্ড ফ্ল্যাটে নিজেকে বড় একলা মনে হয়। নিঃসঙ্গ সুশান্তকে শূন্যতা গ্রাস করছিল তিলে তিলে। পরক্ষণেই মনে পড়ে যায় অশান্তিময় দাম্পত্য দিনগুলির কথা। তখন মনে হয়, নাহ্, এ ভাবেই সে ভাল আছে। হাজারো ঝুট-ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছে সে। এই মুক্তির দাম অবশ্য একাকিত্ব। সাড়ে তিন বছরের বৈবাহিক জীবনে সুখের দিন বলতে গেলে হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র। বিয়ের পর পর সিমলা বেড়াতে গেছিল। ব্যস, ওইটুকুই সুখের স্মৃতিমাখা। বাকিটা বড়ই তিক্ত। মৌ চেয়েছিল বেঙ্গালুরুতে সেটলড হতে। ভাল অফারও এসেছিল ওর কাছে। কিন্তু সুশান্তর পক্ষে এই চাকরিটা ছেড়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। মৌ বলেছিল, “চিন্তা কী, যত দিন না নতুন চাকরি পাচ্ছ, আমার রোজগারেই সংসার চলে যাবে।”
সুশান্ত রাজি হয়নি। তার পৌরুষত্বে এত বড় আঘাত কেউ কখনও দেয়নি। বউয়ের টাকায় বসে খাবে! ইমপসিবল! মৌ উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়ে। তার চোখ সব সময় উপরের দিকে। সুশান্তর এই টু বি এইচ কে অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি থাকার মতো মেয়েই নয় মৌবনী সাহা। বিচ্ছেদটা তাই ছিল অবধারিত। হুইস্কির গ্লাসে প্রাণভরে চুমুক দিয়ে কিছুক্ষণ চোখ বুজে বসে রইল সুশান্ত। অনুভব করতে চাইল, কী ভাবে ওই সর্বনাশা তরল চুঁইয়ে পড়ছে পাকস্থলীর গা বেয়ে, মিশে যাচ্ছে রক্তের সঙ্গে, আর শিরা-উপশিরা বেয়ে পৌঁছে যাচ্ছে শরীরের কোনায় কোনায়। মাথাটা বেশ হালকা লাগতে শুরু করেছে। তার অগোছালো জীবন চোখের
This story is from the April 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।