ব্যা পারটা জানাজানি হতে বাড়িতে দক্ষযজ্ঞ বাধল! যদিও তিন্নি এমনটাই আশঙ্কা করেছিল আগে থেকেই। জানত, সত্য গোপন থাকবে না। একদিন জানাজানি হবেই ওদের কৃষ্ণলীলা রাসলীলা। সে দিন অবধারিত ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হতে হবে তাকে। কী ভাবে সামাল দেবে তখন, তা অবশ্য ভেবে দেখেনি কখনও। এখন ভাবতে বসে চোখে সর্ষেফুল বেচারির। মাথা বনবন। কেমন দিশাহারা পাগলপাগল লাগছে যেন। “গালে হাত দিয়ে কী ভাবছিস? ভাল চাস তো মনে-মনে ওই ভুল-সম্পর্কের কবর দে। সমাধি রচনা কর। নইলে কপালে অঢেল দুঃখ আছে, এই বলে রাখলাম।”
“চুপ করো! বেশি বকবক করবে না, বুঝলে! একদম চুপ!” ঘাড় উঁচু করে মায়ের দিকে বড়-বড় চোখ করে তাকায় তিন্নি। “চুপ মানে! কী বলতে চাস তুই? তেড়েফুঁড়ে ওঠেন তপতী। নিজে ভুল করে আবার এত বড় চোখ করে তাকাচ্ছিস? গরম দেখাচ্ছিস? চোখ দুটো গেলে দেব, বুঝলি? একদম গলা উঁচিয়ে কথা বলবি না। একটু লজ্জাবোধ থাকে তো, গলা নামা। অসভ্য মেয়ে কোথাকার!” “তুমি চুপ করো। কোনও ভুল করিনি আমি।” “কী! ভুল করিসনি? তবে ভুলটা কে করেছে শুনি? পাশের বাড়ির হরির মা?” “ভুল করছ তোমরা।” “আমরা! হতভম্ব হয়ে তাকান তপতী। আমরা ভুল করছি? এ-কথার মানে কী?” “তোমরা যা জানো, সব ভুল জানো। ভুলভাল লোকের কাছ থেকে ভুলভাল কথা শুনে দু'জনে নাচনকোঁদন শুরু করেছ। সাহস বা সদিচ্ছা থাকে তো সত্যটা জানার চেষ্টা করো।”
“সত্যটা কী শুনি?” “ও কখনওই অ্যালকোহোলিক নয়। অশিক্ষিত নয়। চালচুলোহীন-বেকারও নয়। ওরা যথেষ্ট ধনী।”
“তাই নাকি? দু’-দিন ওই বদমাশটার পেছন পেছন ঘুরঘুর করে সবজান্তা হয়ে গেছিস?” বলে পুনর্বার তেড়েফুঁড়ে ওঠেন তপতী। রক্তচক্ষু মেলে তাকান। পাগলা হাতির মতো মাথা ঝাঁকান, “পাড়ার লোকজন কিছুই জানে না তবে? সবাই মিথ্যে বলছে?”
“হ্যাঁ, সবাই মিথ্যে বলছে,” তিন্নির দৃঢ়স্বর। “চুপ! একদম চুপ! বেহায়া বেশরম নির্লজ্জ মেয়ে কোথাকার! প্রেমে একেবারে হাবুডুবু খাচ্ছেন উনি। সত্যিটাও দেখতে পাচ্ছেন না। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র সেজেছেন। তোর কপালে বহুত দুঃখ আছে রে তিন্নি, এই বলে রাখলাম। এমন হাঁদা-বোবা-কালা সাজিস না। কেঁদে কূল পাবি না রে। জীবনটা অনেক বড়। একটিবার ভুল করে ফেললে আজীবন সইতে হবে সে জ্বলন।” “কোনও উপদেশ শুনতে চাই না।” “তবে কী চাস, শুনি? মনে-মনে কী প্ল্যান এঁটেছিস?” “জানি না, যাও।”
This story is from the April 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।