দোল, বসন্ত উৎসব পেরিয়ে দেশের মানুষের সামনে এখন ভোট, নির্বাচন উৎসব। দুই উৎসবই বর্ণময়। এই বর্ণময়তার আবাহনে ‘সিনেসথিজিয়া'য় (সম্পাদকীয় নিবন্ধ, ১৭ মার্চ 2024) এক অনুভূতি থেকে অন্য বোধে পৌঁছে যাওয়ার কথা একটা দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিল। ভারতের বাইরে নানা দেশে নানারকম যুদ্ধ লেগে আছে। ভারত সে তুলনায় শান্ত। ৭৮৯ কোটি মানুষের বিশ্বে ১৪২ কোটি মানুষ ভারতের বাসিন্দা। নানা বর্ণের, নানা রঙের মানুষ ভারতে বসবাস করছে। ভারতে বেকারত্ব, দারিদ্র আছে। অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক ব্যর্থতা আছে। অনেক মূল্যবান ঐতিহ্যের বর্ণ, রং
হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভারত তার অমূল্য গণতন্ত্ৰ বজায় রেখেছে বিগত প্রায় ৭৭ বছর ধরে। বিশ্বরাজনীতির চালচিত্রে এ এক দুর্দান্ত সাফল্য। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এই গণতন্ত্রের উজ্জ্বল, স্বাভাবিক, সহনশীল সাফল্যের রং রাখতেই হবে। বরং তা আরও উজ্জ্বল করতে হবে। এবার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভারতে ভোট দেবেন ৯৭ কোটির বেশি লোক। অসাধারণ শ্রম, নিষ্ঠা, দায়িত্ব ও অধিকার রক্ষার ব্যাপার। ভোটদাতা পুরুষ ৫০ কোটি, মহিলা ৫৭ কোটি, এই সংখ্যা ভারতীয় গণতন্ত্রে লিঙ্গসাম্যের স্বাক্ষর। তৃতীয় লিঙ্গ ৪৮ হাজার ভোট দেবেন। গণতন্ত্রের এই স্বীকৃতি মানবাধিকারের উজ্জ্বল চিহ্ন। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, ভোট শান্তিপূর্ণ করার চেষ্টা করা হবে, কড়া হাতে হিংসা, কালো টাকা, ভুয়ো তথ্যের মোকাবিলা করা হবে। অর্থাৎ নির্বাচনী উৎসবের বর্ণময় উপস্থিতি সুনিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আগামী পৃথিবী বা প্রজন্মকে আসন্ন ২০২৪ লোকসভার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চয়ই এক নতুন জীবনের রং দেবে। চারজন প্রচ্ছদনিবন্ধকার চারটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছেন বিষয়টিকে কিন্তু যে ভাবেই ভাবি না কেন, ভোটের রং বা দোলের রং, উদ্দেশ্য সাধারণ ভাবে এক। যে-কোনও মূল্যে শান্তি, ভালবাসা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, মানবিকতা ইত্যাদি আরও বিকশিত করতে হবে। উপায় আলাদা হতেই পারে। শুভ্রাংশুকুমার রায়, হুগলি-৭১২১৩৬
This story is from the April 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the April 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।