ক্ষমতা এমনই এক সর্বজনীন শক্তি যে, তা নিজেও একটা ‘সংস্কৃতি' বা ‘ধারা” তৈরি করে। ভাল-মন্দ বিচার তো পরের কথা, আগে আসে তার প্রকাশ। ‘হুমকি' বা 'থ্রেট' তারই একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কোনও শব্দ বলার সঙ্গে-সঙ্গে তার গলার স্বর, বাচনভঙ্গি, শরীরী ভাষা বদলে যায়, তাকে গ্রাস করে ক্ষমতা নামক শব্দটির অভিঘাত, তা থ্রেট হয়ে যায়। অনুরোধ বা প্রস্তাবের চেয়ে সে তখন পৃথক। সদিচ্ছাকে প্রতিস্থাপিত করে সেখানে চলে আসে ভয়, রাগ, ক্ষোভ। পৃথিবীর ইতিহাস এর কোনও ব্যতিক্রম দেখেনি আজ অবধি, দেখবেও না নিশ্চিত। কারণ যত দিন মানুষ ক্ষমতার দাসত্ব করবে, এই হুমকির সংস্কৃতি তাকে সহ্য করতেই হবে। তবে সবটাই এরকম একপেশেভাবে বিচার করা হয়তো ঠিক হবে না। কারণ, এরও কিছু রকমফের রয়েছে। এই ক্ষমতার অর্জন নিজের পরিশ্রমে হলে তার ভাষা যা হবে, অন্যের পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে তা অর্জন করলে তা এক হবে না। নিজস্ব অর্জনকে মানুষ অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়, অপরের এনে দেওয়া বস্তু যেন ফেলে ছড়িয়ে নষ্ট করাই যায়। মানুষ নামক প্রজাতির স্বভাব-প্রকৃতি তো অন্তত সেই কথাই বলে। তাই থ্রেট বা হুমকির ভাষাও সেখানে অনেক জোরালো, কারণ ক্ষমতা একবার হাতের মুঠোর বাইরে বেরিয়ে গেলে তাকে ফের মুষ্টিবদ্ধ করার সংগ্রাম তার জানা নেই। তাই সতর্কতার বার্তাও সেখানে 'হুমকি' শোনায়।
This story is from the September 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।