কমলা বনাম ট্রাম্প

সবাই জানেন, কমলা হ্যারিস প্রশাসন যেমন স্থিতিশীল হবে, তেমনই হবে অনুমানযোগ্য। আর ট্রাম্প জিতলে তো ওভাল অফিসে আবার বন্যতা ও অস্থিরতা ফিরিয়ে আনবেন। নিশ্চিত!

- মৃণালকান্তি দাস

ইউরোপে বসে এটা বিশ্বাস করা বেশ সহজ, গোটা দুনিয়াই আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের জয় চাইছে। না, মোটেই তা নয়। বরং বিশ্বের অনেক শক্তিশালী সরকার মনেপ্রাণে চাইছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতে আসুন।

যেমন ধরুন, ট্রাম্পের দল জয়ী হোক, রাশিয়া তা মনেপ্রাণে চায়। কেন? তাহলে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের সাহায্য কমিয়ে দেবে। যা ভ্লাদিমির পুতিনকে সেই জয়টাই এনে দেবে, যা তিনি এতদিন পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পাননি। পুতিনের যা স্বপ্ন, তা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-র জন্য দুঃস্বপ্ন। যদি ইউক্রেন পরাজিত হয়, তাহলে ইইউ ও ন্যাটোর পূর্ব দিকে রুশ আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়বে। তাছাড়া ট্রাম্প তো বলেই রেখেছেন, তিনি আমেরিকাকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন।

ইউরোপের কথা ধরুন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির রাজনৈতিক শিকড় লুকিয়ে রয়েছে চরম দক্ষিণপন্থায়। আদর্শগতভাবে তিনি কখনওই ট্রাম্পের পরাজয় চাইবেন না। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান পশ্চিমের দুনিয়া থেকে তাঁর অনুকূলেই মতাদর্শগত হাওয়া বয়ে যাচ্ছে— ট্রাম্পের জয়কে এভাবেই দেখতে চাইবেন। ফ্রান্সের ন্যাশনাল র‍্যালি ও জার্মানির অলটারনেটিভ ফর জার্মানির মতো জনতুষ্টিবাদী ও চরম দক্ষিণপন্থী ইউরোপীয় রাজনৈতিক দলগুলিও একই প্রত্যাশার অপেক্ষায়। ট্রাম্প আমেরিকার শাসনক্ষমতায় ফিরে আসার মানে হল, ইউরোপের উদার গণতন্ত্রের বড় ধরনের বিপদের মধ্যে পড়া।