‘যা বলতে চাই’

কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগামন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন ঋতা দত্ত চক্রবর্তী৷

• জানো তো আমাদের চেহারায় একটা মিল আছে। আমাদের রানিও মানায়, চাকরানিও মানায়’, আমাকে বলেছিলেন তৃপ্তি মিত্র। আমি বালুরঘাটের মেয়ে। কলকাতায় পড়তে এসেছিলাম। তখন নাচ শিখতাম শম্ভু ভট্টাচার্যের কাছে। কলকাতায় থাকার অনিয়মে পেটে একটা ব্যথা হতে শুরু করল। ডাক্তার বললেন, অ্যাপেনডিক্স জড়িয়ে গিয়েছে। পায়ের মুভমেন্ট করা যাবে না। শম্ভুদা তখন পার্ক সার্কাসে একটা বাড়ির দোতলায় নিয়ে গেলেন। বেল বাজাতেই শুনলাম, “ওমা! শম্ভু তুমি এসেছ!’ গলাটা খুব চেনা। তাকানোর সাহস নেই। শম্ভুদা বললেন, ‘ঋতা আমার ছাত্রী। আমার ধারণা ওর দ্বারা ভালো অভিনয় হবে। তুমি ওর দায়িত্ব নেবে?’ সেই জেঠিমার (তৃপ্তি মিত্র) সঙ্গে প্রথম আলাপ। তারপর থেকে উনি যতদিন বেঁচেছিলেন, ওঁর সঙ্গে থাকা, শেখা। রান্না, মেকআপ, শাড়ি পরা, অভিনয় জীবনে যা কিছু শিখেছি, সব ওঁর কাছেই।