নানা কথকতা সকালে আকাশে মেঘ রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে! তবু সবাই সদরঘাটে অপেক্ষা করছে। কখন আসবে সোনার তরী, মেঘনা বা ঈগল। এলেই তড়িঘড়ি উঠে পড়তে হবে। এখন ভরা বর্ষার মরশুম। এই সময়ে যেতে হবে ওদের বাড়ি। ‘ইলিশের বাড়ি’ চাঁদপুরে, তিন নদীর মোহানায় — পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া। এই মোহানা থেকে অনায়াসে সাইকেল, রিকশা করে যাওয়া যায় চাঁদপুর মাঝ ঘাট। রুপোলি ইলিশের পাইকারি বাজার। তবে যেতে যেতে সাইকেল, রিকশার চালক শোনাতে থাকে ইলিশের নানা কথকতা।
নিত্য আসা যাওয়া উজানবায়ী মাছ ইলিশ। তার নিত্য আসা-যাওয়া মিষ্টি এবং নোনা জলে। আশ্বিনের প্রথমে আমরা যখন মহিষাসুরমর্দিনীর অপেক্ষায় থাকি তখন ইলিশরা প্রথমে আসে কৃষ্ণা নদীতে। কার্তিক মাসে আসে বউকে সঙ্গে নিয়ে গোদাবরী আর ইরাবতী নদীতে। ফাল্গুন-চৈত্রে সিন্ধু নদ হয়ে ওঠে তাদের ঠিকানা। আর গঙ্গা এবং পদ্মায় তাদের পাওয়া যায় বর্ষায় আর শীতে। বছরে দু'বার ডিম দেয় ইলিশ। অধিকাংশরা সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এবং বাকিরা মার্চ এবং এপ্রিলে। একটি পূর্ণ ইলিশমাছ প্রতি মরশুমে ১০ লক্ষ থেকে ২৩ লক্ষ ডিম পাড়ে। সদ্য পাড়া ডিমগুলোকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে মুখে করে ঘুরে বেড়ায় ইলিশ। ডিম থেকে বাচ্চা হওয়া ও সাঁতার শেখা পর্যন্ত তাদের পরিচর্যা করে মা ইলিশ। সাঁতার শিখে গেলে বাচ্চারা মায়ের সঙ্গে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ায়। শিশু ইলিশের লালন-পালনে বাবা ইলিশেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। মা ইলিশ যখন বাচ্চাদের রেখে খাবার খুঁজতে যায় তখন বাবা ইলিশ তাদের দেখভাল করে। এত যত্ন নেওয়ার পরও ১০ থেকে ২০ শতাংশ সমুদ্রের নোনা জলে বেঁচে ওঠার সুযোগ পায়। ডিমের প্রায় ৩০ শতাংশ অন্যান্য মাছ এবং প্রাণী খেয়ে নেয়। আর শুরুতেই নষ্ট হয়ে যায় ১০ শতাংশ। যদি ৫০ শতাংশ ডিমও যথার্থভাবে বেড়ে উঠতে পারত তাহলে বঙ্গোপসাগরের অর্ধেকটা বেদখল হয়ে যেত।
This story is from the June 2024 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the June 2024 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।