আমাকে ভুলে যেও না —তুমি এগিয়ে যাও, সবকিছু করো। শুধু আমাকে ভুলে যেও না' – মামি সব সময় এমনটাই বলতেন বাবিকে। ‘মামি' অর্থাৎ আমাদের শাশুড়িমা, গৌরীদেবী। তিনি ছিলেন সকলের ‘মামি’। কারণ নবমিতা (মহানায়কের বড় নাতনি), গৌরব (মহানায়কের নাতি), মৌমিতার (মহানায়কের ছোট নাতনি) বাবা গৌতম চট্টোপাধ্যায় মাকে ‘মামি' বলতেন। সকলে সেটাই অনুসরণ করত। আর ‘বাবি' মানে আপনাদের মহানায়ক। আমাদের শ্বশুরমশাই। কাছের মানুষের প্রচুর আত্মত্যাগ না থাকলে একজন সফল মানুষ তৈরি হয় না। গৌরীদেবীর প্রচুর আত্মত্যাগ ছিল বলেই উত্তমকুমার ‘মহানায়ক' হতে পেরেছিলেন। ভাবুন তো, মামির গর্ভে তখন গৌতম। বাবি এসে বলছেন, ‘আমি চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। তুমি সংসার চালাতে পারবে তো?' সেই সময়ও মামি বলেছিল, ‘যেটা ভালো বোঝো, সেটা করো। শুধু আমাকে ভুলে যেও না...।' বাবি আসবেই বাবি সত্যিই মামিকে ভুলে গিয়েছিলেন।
কি না, তা নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। আমাদের শিক্ষা, রুচি এমন নয় যে, গুরুজনদের নিয়ে এই আলোচনা করব। কিন্তু যেটা চোখের সামনে দেখেছি, তা হল মামি আমৃত্যু বাবিকে ভুলতে পারেননি। বাবি যে আর নেই, এটা মামি মেনে নিতে পারেননি। যতদিনে এই সত্যিটা বুঝতে পারলেন, ততদিনে মামিও শেষ হয়ে গিয়েছিলেন। বাবির মৃতদেহ ভবানীপুরের বাড়িতে এনে যে জায়গায় রাখা হয়েছিল, মামি প্রায় প্রতিদিন সেখানেই শুয়ে থাকতেন। মামি ভাবতেন, রাত হলে বাবি আসবে। বাবি বেঁচে থাকাকালীনও আমাদের শাশুড়ি মায়ের তেমন ধারণা ছিল। রাতে ঘুমোতেন না। আর বাবি চলে যাওয়ার পর তো ভাবতেন, এই বুঝি বাবি আসবে....। মামির ড্রেসিং টেবিলের উপর বাবির ছবি রাখা থাকত। খবরের কাগজ থেকে কেটে রাখা ছবি।
সেগুলো বাঁধিয়ে রাখা থাকত। ঠিক রাত ১২টার পর ওখানে ধুপ-ধুনো দিতেন মামি। আর মুখে খালি একটাই কথা, উত্তম আসবেই। বাড়ির কেউ সে সময় মামিকে বাধা দিতে পারত না। জানেন, মামির ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়েছিল বাবি মারা যাওয়ার আগেই। কিন্তু উনি কাউকে বলেননি। চেপে রেখেছিলেন। এতটাই অভিমানী ছিলেন আমাদের শাশুড়িমা।
この記事は Sukhi Grihakon の September 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Sukhi Grihakon の September 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
পুরানো জামা
তারপরেই কাঁদো কাঁদো গলায় শ্রেয়সী বললেন, 'কিন্তু আমার আর একটি জিনিস কি আর ফিরে পাব? সেটাও আমার কাছে খুব মুল্যবান!
পুজোয় খাওয়া জমজমাটি
দুর্গাপুজোয় বাড়িতেই রেঁধে ফেলুন ভালোমন্দ বাঙালি পদ। রেসিপি জানালেন দেবারতি রায়।
সেরার সেরা গিনি
আমার কাঁধে পড়া দু-ফোঁটা গরম জলের অনুভূতি যেন আমাকে সারা জীবনের শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি এনে দিল!
আপনার Recipe
আপনার রেসিপি রান্না করতে ভালোবাসেন? বাংলায় রেসিপি পাঠান আপনারাও। নিজের তৈরি কোনও আমিষ বা নিরামিষ পদ উপকরণ, প্রণালী (অনধিক ১০০ শব্দে) লিখে ও রান্নার ছবি সহ পাঠিয়ে দিন আমাদের দপ্তরের ঠিকানায় বা sukhigrihakon@bartamanpatrika. com-এ। শিরোনামে ‘আপনার রেসিপি' কথাটা লিখবেন। বছরের সেরা রেসিপির জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। লেখার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও ছবি পাঠাতে ভুলবেন না ।
পুজোর ভোজে মাংস
পুজোর ভোজে মাংস পুজোয় বাড়িতে মাংস রাঁধুন ভিন্ন স্বাদে। রেসিপি জানালেন শেফ রঞ্জন বিশ্বাস।
সমাদ্দারের স্কটি
তুই আর মা মিলে বরং বাইরে থেকে ভালো খাবার আনা ডিনারের জন্য।'
জন্মদিনে মা তৈরি করতেন ফ্রুট কাস্টার্ড।
খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ছোটবেলার গল্প ভাগ করলেন অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে৷ সাক্ষাৎকারে স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
টেক্কা
টলিউডে নানা ধরনের ছবি তৈরি হচ্ছে। তেমনই একটি ছবির কথায় স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
‘যা বলতে চাই’
কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগামন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়।
‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার’
সেপ্টেম্বর মাসের অণুগল্পের বিষয় নিয়ে দপ্তরে এসেছিল অসংখ্য লেখা। তা থেকে বাছাই করে সম্পাদকমণ্ডলীর বিচারে সেরা লেখাটি প্রকাশ করা হল।