• মহানায়ক উত্তমকুমারের সঙ্গে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কি কখনও ভুল বুঝেছিলেন সুপ্রিয়াদেবী? উত্তমসুচিত্রার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কী চোখে দেখতেন বেণুদি? এই নিবন্ধের শুরুতেই এরকম দু'একটি প্রশ্নের অবতারণা করার পিছনে কারণ আছে। একদিন দুপুরে সুপ্রিয়াদেবী বাড়িতে বসে গল্পের বই পড়ছেন। এমন সময় ঝনঝন করে ফোন বেজে ওঠে। সেদিন সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ ভেঙে বৃষ্টি। বেণুদির ফোন তুলতেই মনে হল, রমাদির (সুচিত্রা সেন) গলা। অন্য প্রসঙ্গে না গিয়ে সরাসরি উত্তমকুমারের কথা জিজ্ঞাসা করলেন— উতু আছে বাড়িতে? সুচিত্রা সেন কখনও খেয়ালের বশে বা দারুণ মুডে থাকলে উত্তমকুমারকে ‘উতু’ বলতেন।
বেণুদি বললেন, “উত্তম তো বাড়িতে নেই।' সুচিত্রা সেন রীতিমতো অবাক হয়ে বললেন, ‘সে কী, এই বৃষ্টিতে বাড়িতে নেই? কলকাতা প্রায় ভেসে যাচ্ছে।' বেণুদি একটু যেন অভিমানের সুরেই বললেন, 'শ্যুটিংয়ে গিয়েছে। তুমি তো জানো রমাদি, শ্যুটিং থাকলে কোনওভাবেই ওকে বাড়িতে আটকে রাখা মুশকিল। উত্তম শ্যুটিংয়ে যাক আমার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু ওকে শেষ পর্যন্ত বেরতেই হল। পৃথিবী রসাতলে যাক, উত্তম শ্যুটিংয়ে যাবেই।'
ফোনের অন্যপ্রান্তে কয়েক মুহূর্তের নীরবতা। তারপর মহানায়িকা বললেন, ‘উতু শ্যুটিংয়ে গিয়েছে? ভীষণ চুমু খেতে ইচ্ছে করছিল!' বেণুদি বললেন, ‘ভালোই তো। তুমি বাড়িতে আছ তো। ও যেখানে শ্যুটিং করতে গিয়েছে সেখানে ফোন করে আমি বলে দিচ্ছি। শ্যুটিং প্যাকআপ হয়ে যাওয়ার পর তোমার বাড়ি চলে যায় যেন। এরপর রমাদি খুব অবাক হয়ে বললেন, “আমার কথা শুনে হিংসে হচ্ছে না তোমার? তুমি এত শান্তভাবে কথাগুলো বলতে পারলে?”
This story is from the September 2024 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September 2024 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।