বুলবুলিরা ছবিতে ভিনগ্রহীদের দেখে ট্যাক্সিতে বাড়ি ফিরছিল। জিজ্ঞেস করল, “এলিয়েনরা সত্যি আছে অন্য গ্রহে, “নিশ্চয়ই, থাকতেই পারে,” আশ্বাস দেন বুলবুলির বাবি। “তারা কি আজকের মুভিটার মতো নীল রঙেরই হবে?”
“তা কেন? এই যেমন মঙ্গলগ্রহ থেকে আসে সবুজ নেডুমুন্ডি এলিয়েনরা, প্যাঁকাটির মতো হাত-পা নিয়ে...” চশমা ঠিক করে নিয়ে বাবি বলতে থাকেন। বুলবুলিও আগ্রহ পেয়ে বাবার গা ঘেঁষে বসে। “আবার অনেক সিনেমায় মানুষরূপী এলিয়েনও দেখিয়েছে।” “কী! বাবি, তুমি সিরিয়াস?” বুলবুলির চোখ গোলগোল, “এলিয়েনরা মানুষ সেজে থাকতে পারে?” “রাক্ষসরা যখন থাকতে পারে, এলিয়েন কেন পারবে না?” বাবির কথাটা যুক্তিসঙ্গত।
আনোয়ার শাহ কানেক্টরের আলোআঁধারির মধ্যে দিয়ে ওদের ক্যাব গড়িয়ে যাচ্ছে। বুলবুলি জানলার বাইরের লোকজনগুলোকে ঠাহর করার চেষ্টা করে। ‘ওই মোড়ের মাছওয়ালা কি এলিয়েন? জাপানি রেস্তরাঁরা সামনে যে কাকুটা সুট পরে দাঁড়িয়ে আছে, তার কানটা একটু ফড়ফড় করছিল না? যাহ, এত তাড়াতাড়ি গাড়ি চললে কি কিছু বোঝা যায়?' দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুলবুলি।
“আচ্ছা, কাউকে এলিয়েন বলে সন্দেহ হলে, বা শিয়োর হয়ে গেলে, আমাদের তাকে ধরিয়ে দেওয়া উচিত, না?”
“না, কী প্রয়োজন? কেউ কোন খারাপ কাজ করলে তখন ধরিয়ে দেওয়া দরকার। এমনি এমনি ঘাঁটাতে যাব কেন, ওরা ওদের মতো থাক।”
এই প্রস্তাবটাও যুক্তিসঙ্গত, তবে ততটা রোমাঞ্চকর নয়। পরের প্রশ্ন ভাবার আগেই বাড়ি এসে গেল। কখন যে ক্যাবটা বাড়ির গলিতে ঢুকে পড়েছে, খেয়ালই করেনি বুলবুলি। ওই যে পেঁয়াজি পিসির বন্ধ ঝুপড়ি আর এই যে গোলাপিরঙা অনুপমা অ্যাপার্টমেন্ট, যার তিন তলায় দিদাই আর বাবির সঙ্গে থাকে বুলবুলি।
রাতে সে খেয়েদেয়ে বিছানায় শুয়ে দিদাইয়ের কাছে ভিনগ্রহের জীবের গল্প শুনতে চেয়ে বসল। দিদাই তো রাজপুত্রকে সবে পক্ষীরাজে তুলেছেন, বিপাকে পড়ে পক্ষীরাজ এমন টিকিয়া-উড়ান দিল যে, দিদাইয়ের রাজপুত্র সোজা জুপিটারে গিয়ে পড়ল। দিদাই যাকে বলেন বৃহস্পতি। “তার পর? তার পর?” করতে করতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিল বুলবুলি। পরের দিন স্কুলে সায়েন্স বইয়ের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে বুলবুলি দেখে ‘হায় ভগবান, জুপিটারে তো মাটিই নেই! পুরোটাই নাকি গ্যাস। তা হলে পক্ষীরাজটা দাঁড়িয়েছিল কোথায়?' এই সমস্যাটা নিয়ে মনের এক কোনায় ভাবতে ভাবতে বিকেল হয়ে গেল।
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 20 Aug, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 20 Aug, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।