বড়ই হাই স্কুলের হেড মাস্টার হওয়ার পর পরই সাধনবাবু পেল্লায় একটি বাস কিনে ফেললেন। বাড়ির লোকেরা ছাড়া আগে কেউ জানত না। তাঁরা এই উদ্ভট বুদ্ধির প্রবল বিরোধিতা করেও সাধনবাবুর জেদের কাছে হার মানেন। পাড়ায় নতুন বাস দেখে সবাই চমকে উঠল। প্রশ্নের পর প্রশ্ন, “আরে, সাধনদা কি হেডমাস্টারি ছেড়ে বাস ব্যবসা শুরু করলে নাকি?” এই প্রশ্নের কারণ আছে। সাধনবাবু হেডমাস্টার হওয়ার পর চেঁচামেচি শুরু করেছিলেন, “হেডমাস্টার হয়ে কী বোকামিটাই না করলাম। আগে বেশ সুখে ছিলাম। যখন ইচ্ছে স্কুলে যেতাম। যখন ইচ্ছে বাড়ি আসতাম। মন হলে ক্লাস করতাম। ইচ্ছে না হলে কিছু একটা লিখতে দিয়ে টাইম পাস করতাম। সব দিন কি আর পড়ানোর মুড থাকে? এখন দশটার মধ্যে চলে যাই, ফেরার কোনও ঠিক নেই। সত্যি কী ভুল করলাম! কাজ আর কাজ। এক দিন ছুটি পর্যন্ত নিতে পারি না। এ বার মাস্টারি ছেড়ে স্বাধীন ব্যবসা করব।”
সে যাই হোক, সাধনবাবু এ বার হেসে বললেন, “না হে বিরূপাক্ষ, আমার বহু দিনের শখ, আমি একা বাসে চড়ে ঘুরে বেড়াব।”
“তা হলে তো একটা সুন্দর দেখে মোটরগাড়ি কিনলেই পারতেন। একা ব্যবহারের জন্য আস্ত বাস! বাপের জন্মে শুনিনি। ফিল্মস্টারদের থাকে, শুনেছি। বাসের মধ্যেই খাওয়া, শোয়া, অফিস, লাইব্রেরি, বাথরুম। বড়লোকদের বড় বড় ব্যাপার।”
“না রে, আসলে ছোটবেলার একটা প্রতিজ্ঞা...” শুনেই পাড়ার প্রশান্তকাকা বললেন, “প্রতিজ্ঞা? কেন? কী এমন ঘটেছিল শুনি। কার কাছে এমন উদ্ভট প্রতিজ্ঞা করেছিলি?”
“কার কাছে আর! নিজের কাছে। নিজের কাছে করা প্রতিজ্ঞা বড় কঠিন কাকা। অন্য লোকের কাছে করা প্রতিজ্ঞা আমরা ভুলে যাই, কিন্তু নিজের কাছে করা প্রতিজ্ঞা ভোলার জো নেই। মনের ভিতর খচ খচ করতে থাকবে।”
জগদীশজেঠা সব শুনে জানতে চাইলেন, “তা কারণটা এ বার বল। কী এমন ঘটেছিল যে নিজের জন্য বাহান্ন সিটের গোটা বাস কিনলি?” “তেমন কিছুই ঘটেনি। আবার তেমন কিছু ঘটে যেতেও পারত। হয়তো এই পৃথিবীতেই আজ থাকতাম না!”
“এ কী ভয়ানক কথা! তোর জীবনে এমন কিছু ঘটেছিল বলে তো শুনিনি। কী জগদীশদা, শুনেছি?” প্রশান্তকাকার কথায় সায় দিয়ে জগদীশজেঠাও অবাক হয়ে বললেন, “আমরা পাড়ার লোক। তেমন কিছু হলে অবশ্যই জানতে পারতাম। কী তোমরা যারা উপস্থিত আছ, বলো, কেউ তেমন কিছু শুনেছ?” সকলে সমস্বরে বলল, “না।”
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 5 Sep, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 5 Sep, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।