ছায়াগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই একটা ছোট্ট বাড়ি। সেই বাড়িতে ১৫ অগস্টের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণ পর ব্রজেশ্বর বুঝতে পারল, সে পাগল হয়ে • গিয়েছে। সে দিন স্বাধীনতা দিবস। বেশ ভোর ভোরই তার ঘুম ভেঙেছে। মাইকে লতা মঙ্গেশকরের 'অ্যায় মেরে ওয়তনকে লোগো' গান বাজছে। সব ঠিকই আছে এমনিতে। ব্রজর ঘরের জানলা খোলা। সামনেই স্কুলের মাঠ। বিছানাতে বসেই সে হাই তোলে একটা। মশারির ভিতর কয়েকটা মশা পেটমোটা হয়ে বসে ছিল। ব্রজেশ্বর সাবধানে সেগুলোকে মশারি তুলে মুক্ত করে দেয়। সে নিজে কোনও দিন না-পারুক, তার দু'-চার ফোঁটা রক্ত যে এ ভাবে উড়ে বেড়াতে পারে— সেটা ভেবে তার আজ ভারী ভাল লাগে। কয়েক দিন থেকেই ব্রজেশ্বর বুঝতে পারছিল যে, সে পাগল হয়ে যাবে । কিন্তু সেটা যে একদম ১৫ অগস্টের দিনই হবে, তা তার ধারণায় ছিল না। বিছানা ছেড়ে নেমেই ব্রজর নজর যায় দেওয়ালের পেরেকে ঝোলানো তার ব্রাশের দিকে। পাগলেরা দাঁত মাজে না। ভালই হল, একটা কাজ কমল। দাঁত মেজে আর কাজ নেই। কী আর হবে ও সব মাজামাজি করে। পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি দাঁত হল গিয়ে হাতির। সে-ই নাকি দাঁত মাজে না! গালের কাঁচা-পাকা দাড়ির গোড়া চুলকোতে চুলকোতে এ সব গভীর তত্ত্ব চিন্তা করে ব্রজেশ্বর। বাইরে বেশ ঝলমলে রোদ উঠেছে। স্কুলের মাঠে ছেলে-মেয়েরা লাইন করছে।
কুচকাওয়াজ করবে। দু'জন স্যর লাঠি হাতে মেলা দৌড়োদৌড়ি করছেন। ব্রজ মাঠের ধারে নিতাইয়ের চায়ের দোকানে গিয়ে বাঁশের মাচায় বসে পা দোলাতে থাকে নিঃশব্দে। নিতাই উবু হয়ে বসে গুলের উনুনের ফুটোয় ফুঁকুড়ি দিয়ে বাতাস দিচ্ছিল। নীল ধোঁয়া ছড়াচ্ছে মাঠের দিকে। সে ঘাড় ঘুরিয়ে ব্রজকে এক বার দেখে মুচকি হেসে বলে, “কী ব্রজবাবু, বেশ চিন্তিত মনে হচ্ছে?” ব্রজ কিছু বলে না। পা নাচিয়েই চলে। শেষে হঠাৎ দুলুনি থামিয়ে উদাস ভাবে বলে, “জীবনটা আজ থেকে পাল্টে গেল রে ভাই!” “কেন কেন? বৈষ্ণব ধম্মে দীক্ষে নিলে নাকি?”
নিতাইকে তার গোপন কথাটা বলবে কিনা ভাবতে থাকে ব্রজেশ্বর। শুনে যদি হইচই বাধিয়ে বসে। ওই তো স্কুলের মাঠে বাচ্চাগুলো হুটোপুটি করছে, যা বিচ্ছু!
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 5 Sep, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 5 Sep, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।