বাচ্চুকাকু সার্বজনীন কাকু। এখনকার স্কুলের পড়ুয়ারা তাকে কাকা বলে। তাদের বাবারাও কাকা বলে। কোনও কোনও ঠাকুরদা, যাঁরা এখনও জীবিত, তাঁরাও তাকে কাকা বলেন। বাচ্চুকাকুর বয়স কত প্রশ্ন করলে উত্তর আসে, “ঠিক জানা নেই। চুয়ান্ন হতে পারে, আবার চুরানব্বই হতে পারে।
বাচ্চুকাকুর ভাষায় বললে উত্তর হবে এ রকম, “তোদের সময়ের মতো আমাদের আঁধারে রাখত না। আমরা থাকতাম আঁধারে।”
তখনই গল্পের ইশারায় বাচ্চারা ঘিরে বসে বাচ্চুকাকুকে। শুধু একটা বড় কাপে কালো কফি। তাতেই তিনি খুশি। কুহু এক বার চেখে দেখেছিল। পরিণামে তার রাতের খাওয়া বরবাদ হয়ে গিয়েছিল। আজ বান্টি তার মামার আনা হায়দরাবাদের বিখ্যাত বিস্কুট নিয়ে এসেছিল। বাচ্চুকাকু বেশ খুশি হয়েছিলেন। অন্তত মুখ দেখে তা-ই মনে হয়েছিল। এর পর গল্প আসার কথা। বদলে কাকার পাক ধরা ভ্রু কুঁচকে গেল ঠোঙায় নজর দিয়ে।
সামু মজার ছলে বলেছিল, “কাকা, আপনি ঠোঙার খবর পড়েন? ”
কাকা হঠাৎ রেগে উঠে বললেন, “তিন দিনের ছোকরা, ঠোঙার মর্ম তুই বুঝবি কী করে?”
সামু থমকে গিয়েছিল। কুহু ছাড়ার পাত্রী নয়। সে বলে উঠল, “ঠোঙায় কী এমন পেলেন যে রেগে গেলেন?”
“আমার জীবনে ঠোঙার ভূমিকা, কতটুকু তোরা জানিস?” আবার গল্পের গন্ধে ওরা কোরাসে বলে উঠল, “জানি না। বলন না।”
এক টিপ নস্যি নিয়ে বাচ্চুকাকু শুরু করলেন ঠোঙাকাহিনি।
“তখন আমি গ্র্যাজুয়েট হয়ে চাকরির সন্ধানে। এমন সময় এক দিন ঝালমুড়ি খেতে খেতে চোখে পড়ল একটা বিজ্ঞাপন। দেখলাম চাকরিটা হলে রথ দেখা আর কলা বেচা দুটোই হবে। সঙ্গে সঙ্গে টাইপ করে একটা দরখাস্ত আর আমার গুণাবলি ডাকে পাঠিয়ে দিলাম। সে সময় কম্পিউটার স্বপ্নতেও দেখা যেত না।”
“মানে আপনার সিভি পাঠালেন?” “ওই রকম। তবে তোদের মতো রোবোটিক লেখা নয়। সাহেবদের কাছে শেখা ইংরেজি।” বান্টির বোধ হয় গায়ে লাগল। ইংলিশে ও ক্লাসে ফার্স্ট হয়। বলল, “ও সব ইংরেজি এখন চলে না।”
“তোরা জানিস না, তাই।” “পরখ করুন না।”
চ্যালেঞ্জ পেয়ে কাকা নড়েচড়ে বসলেন। তার মাথার কয়েক গাছা অবশিষ্ট চুল খাড়া হয়ে গেল।
“বল তো, “টারি আ লিটল, মিলর্ড,' এর মানে কী?” বান্টি চুপ “পারবি না, জানতাম। তোরা তো শেক্সপিয়র পড়িসনি। বোধ হয় পড়বি ও না।”
“মানেটা কী?” “একটু অপেক্ষা করুন, হে মহামান্য বিচারক।” “কাকা আপনি তো বাংলাও ভাল জানেন।”
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 5 Sep, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 5 Sep, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
মায়াবী মরু
মরুভূমির বালির গভীরে কত যে রহস্য! বিশ্বের প্রথম মাকড়সার ভাস্কর্য থেকে প্রাচীনতম ধারালো অস্ত্র! লিখেছেন সুদেষ্ণা ঘোষ
টাকার গাছ
সে প্রথমে ভাবল, মাকে ডেকে দেখাবে। কিন্তু মা বড্ড সরল। কথা চেপে রাখতে পারে না। বাবা অনেক গোপন কথা মাকে বলতে বারণ করার পরেও মা মনের ভুলে সবাইকে বলে দিয়েছে। তাই এই খবরটা মাকে না বলাই শ্রেয়।
ঠোঙ্গা
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
এক শালিক
বিল্টু বুঝে গেছে, শালুক খুব সাধারণ শালিক নয়৷ সে মাথা নাড়িয়ে বলল, “শালুক, তোমার যখন এত জ্ঞান, তখন আমাকে একটা বুদ্ধি দাও। যাতে বিকেলের এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাই । তিন মাস বাদে, বাৎসরিক অতুলকৃষ্ণ স্মৃতি চ্যালেঞ্জ শিল্ডের ফুটবল ফাইনাল খেলা। ব্যাঁটরা বয়েজ স্কুলের সঙ্গে আমাদের চন্দনপুর বয়েজ স্কুলের খেলা।”
তাইল্যান্ডের তাকলাগানো দ্বীপ
দ্বীপ নয়, দ্বীপপুঞ্জ। ফুকেট ও ক্রাবির মনোরম, নির্জন সব দ্বীপ ঘুরে এসে লিখেছেন রামেশ্বর দত্ত
এক বল তিন ছক্কা
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
ছায়াগ্রামে পুষ্পবৃষ্টি
আমাদের ভাগ্য ভাল, ব্রজবাবু আজও পাগল হননি। যদিও রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে উনি... যাক সে সব কথা।”
আশ্চর্য লাঠি
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
সাধনবাবুর সাধের বাস
মা বেঁচে থাকতে অনেক সাহায্য করেছেন। তখন ঘন ঘন আসতেন। এখন উৎসব-অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করলে আসেন। মালতীজেঠি এলে সুষুনি শাক নিয়ে আসতেন।
সায়েন্স সঙ্গী
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানের নানা শাখায় নিরন্তর ঘটে চলেছে নানা ঘটনা। তারই কিছু খবর রইল এই পাতায়।