চা করি থেকে অবসর নেওয়ার পর ঝাড়া হাত-পা হয়ে জীবন কাটানোর চিন্তা করেন অধিকাংশ মানুষ। আবার কারও ক্ষেত্রে অবসরের পরেই শুরু হয় প্রকৃত জীবন। তাঁদের কাছে বয়স শুধুমাত্র একটা সংখ্যা। এই দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষের কাছে কাজই হল জীবনের একমাত্র ব্রত। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সমাজের সেবাই হল একমাত্র লক্ষ্য। এর জলজ্যান্ত উদাহরণ ডাঃ লীলা যোশী। রেলের প্রধান মেডিক্যাল অফিসারের চাকরি থেকে অবসরের পর গত দু'দশক ধরে মধ্যপ্রদেশের রতলামের আদিবাসীদের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করেছেন অশীতিপর এই সমাজকর্মী। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের স্বার্থে তাঁর অদম্য লড়াইয়ের এই কাহিনি সত্যিই প্রশংসনীয়। দুর্বল শরীর এবং বাড়ন্ত বয়স সত্ত্বেও, তিনি নিয়মিত আদিবাসী এলাকায় রক্তাল্পতা ও গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত ,সমস্যা এবং মহিলা ও শিশুদের অন্যান্য অসুস্থতার জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন। এই অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ‘মালওয়ার মাদার টেরেজা’ নামেও অত্যন্ত পরিচিত তিনি।
ডাঃ লীলা যোশীর জন্ম উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলায়। বাবা ছিলেন ভারতীয় রেলের আধিকারিক। মা পার্বতী গৃহবধূ। ছেলেমেয়েদের উপর কখনওই নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেননি পার্বতী। তাঁর মনে চাপা ছিল দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণের ইচ্ছা। ১৪ বছর বয়সেই বুঝেছিলেন গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতা গুরুতর এক সমস্যা। সঙ্গী রয়েছে আবার অপুষ্টি। আর এসব কারণেই যে মহিলাদের অকালমৃত্যু হয়, তাও তিনি বুঝেছিলেন ওই সামান্য বয়সেই। সর্বদা উন্নত স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদানের জন্য একজন ডাক্তার বা নার্স হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে তা হয়নি। তাই, চেয়েছিলেন সন্তানদের মধ্যে একজন অন্তত পেশা হিসেবে চিকিৎসাকে বেছে নিক। এমন একটি পেশা যাকে সবসময় নিঃস্বার্থ এবং মহৎ বলে মনে করতেন পার্বতী। হয়তো মায়ের অপূর্ণ ইচ্ছের কথা জানতে পেরেছিলেন লীলা। পরবর্তীতে তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর মা সর্বদা এই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ করেছিলেন যে গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত সমস্যার কারণে হাজার হাজার মহিলা মারা যান। সঠিক চিকিৎসা পেলেই যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে নিজে ডাক্তার বা প্যারা মেডিকেল স্টাফ হতে না পারায় সাহায্য করতে পারেননি রোগীদের। লীলার কথায়, ‘মায়ের ভাবনাটি সবসময় মনে ছিল। আমি সবসময় রক্তাল্পতার মতো সাধারণ রোগে মৃত্যু রুখতে মহিলাদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।'
Bu hikaye Sarir O Sasthya dergisinin March 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Sarir O Sasthya dergisinin March 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়