CATEGORIES
فئات
দৈত্যাকার শিংয়ের বাহার
তা এক দেখবার মতো দৃশ্য। প্রসঙ্গত, ৬০ থেকে ৩২০ কিলোগ্রাম ওজনের বিশালদেহী প্রাণীটি দৌড়তে পারে কিন্তু ঝড়ের বেগে। গতি ছোঁয় ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
মাহালদিরাম
মাহালদিরামের আকাশ জুড়ে সপার্ষদ কাঞ্চনজঙ্ঘা। পথের দু'পাশে চা-বাগানের ঢেউ।
হিল পার্ট্রিজ
হিল পার্ট্রিজের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭-৩০ সেমি এবং এদের ওজন হয়ে থাকে প্রায় ৩৫০ গ্রাম। সাধারণত পশ্চিম হিমালয় থেকে উত্তর ভিয়েতনাম পর্যন্ত হিল পার্টিজের আবাসস্থল
ভয়েতনামের সাপা গ্রামে
ভিয়েতনামের হ্যানয় থেকে রাতের ট্রেনে লাও কাই পৌঁছে, সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে সাপা। পাহাড়ের গায়ে ধাপচাষময় চিরসবুজ গঞ্জ। বেড়ানোর সেরা সময় সেপ্টেম্বর থেকে মে।
সিমলা ছুঁয়ে চ্যানসেল পাস
অপূর্ব সুন্দর স্টেশন। যাত্রীরা কামরা থেকে নেমে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এরপর সোলান, সোঘি, তারাদেবী, সামারহিল স্টেশন পার হয়ে ট্রেন সিমলায় পৌঁছল।
মানেবাজার হয়ে মংপু
বাজারে জৈব সারে ফলানো টাটকা সবজি, মাশরুম, রাইশাক, মুলো, পাহাড়ি আলু আর ডলে খুরসানি (ছোট ছোট পাহাড়ি লঙ্কা) ঝকঝক করছে। ড্রাইভার বাড়ির জন্য বেশ কিছু সবজিপাতি খরিদ করে নিলেন।
এভারেস্টের পায়ের কাছে
১৯৫৩-র ২৯ মে এভারেস্ট শৃঙ্গ স্পর্শ করেছিলেন এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে। সেই অভিযানের সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে এই এভারেস্ট বেস ক্যাম্প যাত্রা । যাত্রার সেরা সময় এপ্রিল-মে এবং সেপ্টেম্বর-নভেম্বর।
মিজোরামের আনাচেকানাচে
টুইপুই গ্রামে ছিমপুইটুই নদী দেখে, ব্লু মাউন্টেনে ট্রেক করে, কোলোডিন নদীতে নৌকোয় ভেসে ক্যানিয়ন দর্শন। ফেরার পথে তুইরিহিয়াউ ঝরনা দেখে হুমুইফাংয়ে রাত্রিবাস। রেইক পিকে ওঠার পথে তুমুল ঝড়জল। দু’সপ্তাহের মিজোরাম ভ্রমণ শেষ হল আইজল ফিরে।
কেল্লা ও মসজিদ নগরী জৌনপুর
লেখা ও ছবি: রঙ্গন দত্ত গোমতী নদীর তীরে প্রাচীন শহর জৌনপুরের পথে ঘাটে সেতুতে মসজিদে হাজার বছরের ইতিহাস জেগে আছে।
কাবিনির জঙ্গলে লেখা ও ছবি: সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
কর্নাটকের নাগারহোলে টাইগার রিজার্ভের দক্ষিণে কাবিনি নদীর তীরে কাবিনির জঙ্গল। এই অরণ্যে যাওয়া চলে সারা বছর। তবে, ঘোর বর্ষায় কাবিনি অপরূপ।
সম্রাট বাবরের জন্মস্থান আন্দিজান লেখা ও ছবি: এলিজা বিনতে এলাহী
উজবেকিস্তানে ফারগানা উপত্যকার আন্দিজান শহর সম্রাট বাবরের জন্মস্থান। আন্দিজান মানে, এখানেই আমার প্রাণ। সম্রাট বাবরের কথা ভেবেই নাকি শহরের এমন নামকরণ।
পূর্ণিমাসন্ধ্যায় পঞ্চচুল্লি
কুমায়ুন হিমালয়ের দারমা উপত্যকায় দুই গ্রাম দুগতু আর দান্ত। গাড়ি পৌঁছয় দুই গ্রামেই। দান্তু থেকে পঞ্চচুল্লি যেন হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। দুগতু থেকে হাঁটাপথ গেছে পঞ্চচুল্লি বেস ক্যাম্পে। বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্ম আর শরৎকাল।
পুরাকীর্তি আর জল-জঙ্গলের গুজরাত
গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে ভ্রমণ শুরু। পাটনের অপূর্ব কারুকার্য খচিত রানি কি ভাব দেখে চলুন মধেরার সূর্যমন্দিরে। তারপর জলের পাখি দেখতে চলুন থল আর নল সরোবর। সেখান থেকে সোজা কচ্ছের ক্ষুদ্র রণ। ধু ধু রণে বুনো গাধা, পেলিক্যান, ফ্লেমিঙ্গোর ঝাঁক দেখে মন ভরে যাবে। এই যাত্রায় হাতে সময় থাকলে এশিয়াটিক লায়নের একমাত্র বাসস্থান গির অরণ্যে ঘুরে আসতে পারেন।
এক সফরে তিন রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ তেলঙ্গানা ছত্তিশগড়
দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ আর তেলঙ্গানা আর মধ্যভারতের ছত্তিশগড়— তিন রাজ্যের সমুদ্রসৈকত, অরণ্য, গুহা, জলপ্রপাত, দুর্গ-প্রাসাদ দিয়ে সাজানো জমজমাট এক শারদ সফর।
দুর্গাপুজোয় বিহার
গৌতমবুদ্ধের বোধিলাভ, পৃথিবীর প্রথম প্রজাতন্ত্রের উন্মেষ, সম্রাট অশোক, মগধ সাম্রাজ্য, জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীরের জন্ম ও মহানির্বাণপ্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বহু পতন-অভ্যুদয়ের সাক্ষী বিহার। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের পীঠস্থান এই রাজ্য। বিহারের প্রতিটি জেলায় দুর্গাপুজো হয়। মন্দির, মঠ ছাড়াও বারোয়ারি পুজোর জাঁকজমক চোখে পড়ার মতো। তাই পুজোর সময় বিহার ভ্রমণের পরিকল্পনা করতেই পারেন।
কেরলের দক্ষিণে-উত্তরে
একযাত্রায় সমগ্র কেরল ভ্রমণ সময়সাপেক্ষ। কেরলের প্রধান আকর্ষক গন্তব্যগুলি দক্ষিণেই। কোচি থেকে শুরু করে তিরুবনন্তপুরমে এসে ভ্রমণ শেষ করতে পারেন। পথে দেখে নেবেন মুন্নার, পেরিয়ার, আলেপ্পি, কোল্লাম, ভারকালা। দক্ষিণ কেরল যাঁরা আগেই ভ্রমণ করেছেন, তাঁরা চলুন উত্তরে। যাঁরা একযাত্রায় সমগ্র কেরল ভ্রমণ করবেন তাঁরা তিরুবনন্তপুরম থেকে শুরু করে কোচি এসে, সেখান থেকে উত্তরের পথে এগিয়ে যান।
গায়ার সৈকতে-অরণ্যে
ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ছোট্ট রাজ্য গোয়া। পশ্চিমঘাট পর্বতমালা আর আরব সাগর ছুঁয়ে আছে এই রাজ্যকে। আরব সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ে গোয়ার ১৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলে। কমবেশি ৩০টি সোনালি বালির সমুদ্র সৈকত খুবই জনপ্রিয়। তবে, উত্তর গোয়ার তুলনায় দক্ষিণ গোয়ার সৈকত অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি।
তামিলনাড়ু পুদুচেরি
চেন্নাই থেকেই শুরু হোক তামিলনাড়ু ভ্রমণ। সকাল সকাল চেন্নাই পৌঁছে সেদিনই চলে যেতে পারেন মহাবলীপুরম বা মামাল্লাপুরম। দূরত্ব ৫৫ কিলোমিটার। মামাল্লাপুরম থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে মন্দিরময় কাঞ্চিপুরম, ৯৮ কিলোমিটার দূরে পন্ডিচেরি বা পুদুচেরি। নিজের ছুটি আর রুচি অনুযায়ী দেখে নিন তাঞ্জাভুর, তিরুচিরাপল্লি। তারপর যেতে পারেন মাদুরাই। তিরুচিরাপল্লি, চেন্নাই, এমনকী হাওড়া থেকেও ট্রেন আসছে মাদুরাইতে। মাদুরাই থেকে কোদাইকানাল ১২০ কিলোমিটার। মাদুরাই থেকে রামেশ্বরম ১৭০ কিলোমিটার, কন্যাকুমারী ২৪০ কিলোমিটার। ট্রেনেও যেতে পারেন। কন্যাকুমারী থেকে হাওড়া ফেরার ট্রেন ধরতে পারেন।
অরুণাচল বেড়িয়ে কাজিরাঙা
উত্তর-পূর্ব ভারত অপার বৈচিত্রে ভরা। কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে বা উড়ানে গুয়াহাটিতে পৌঁছে দু'টি রাত থাকুন। পরবর্তী গন্তব্য পশ্চিম অরুণাচলের প্রবেশদ্বার ভালুকপং। এক রাত ভালুকপং, দু'রাত বমডিলা, তিন রাত তাওয়াং শহরে কাটিয়ে ফেরার পথে দিরাং শহরে কাটবে একটি রাত। পরদিন আসামের তেজপুর শহর ঘুরে সোজা কাজিরাঙা যাত্রা। দু'রাত্রি কাজিরাঙায় না থাকলেই নয়। তারপর ফের গুয়াহাটি পৌঁছে শেষ হবে এই সফর।
চেনা-অচেনা-অল্পচেনা সিকিম ভ্রমণ
‘সুখিম’ থেকে সিকিম, অর্থ সদাসুখের দেশ। বরফ-পাহাড়, অর্কিড, পাহাড়ের কোলে ছোট্ট ছোট্ট গ্রাম, হিমেল বাতাসের আবহে মোড়া সদা সুখের রাজ্য সিকিম। এখানে সিকিমের বেশ কিছু অল্প পরিচিত, অপরিচিত জায়গার খোঁজখবর দেওয়া হল। এই সব জায়গার গ্রামীণ সৌন্দর্য, অমলিন প্রকৃতি মুগ্ধ করবে। তবে, এই সব জায়গায় পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা-বন্দোবস্ত সীমিত। ফলে আগাম খবর দিয়ে, খোঁজখবর নিয়ে এই সব নিরালা, অচিন গ্রামের পথে পা বাড়াবেন।
উত্তরবঙ্গের ছয় গ্রাম
দুর্গাপুজোর ধুমধাম বা দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের ভিড়ভাট্টা যাঁদের অপছন্দ, তাঁদের জন্য হিমালয়ের বিজনে ছ'টি নিভৃতবাসের সন্ধান। এই নিরালা গ্রামগুলির কোথাও আকাশজুড়ে সপার্ষদ কাঞ্চনজঙ্ঘা, কোথাও ঢেউখেলানো চা-বাগান, গাছে গাছে পাখি-প্রজাপতির ওড়াউড়ি আর হাসিমুখের অতিথিপরায়ণ মানুষজন তো আছেই।
সাত-আট দিনে উজবেকিস্তান
উজবেকিস্তান মধ্য এশিয়ার একটি অত্যন্ত সুন্দর দেশ। উজবেকিস্তানের প্রধান শহরগুলো সবই খুব প্রাচীন এবং রোমাঞ্চকর রেশমপথের উপর অবস্থিত। এই প্রতিবেদনটি তিনটি মুখ্য শহরকে কেন্দ্র করে লেখা। খিভা, বুখারা ও সমরকন্দ। তিনটি শহরই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেয়েছে অনেক আগেই। রাজধানী তাসকেন্দ আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। তাই এটিও আপনার যাত্রাপথে থাকবে।
মালয়েশিয়ার নানা দিকে
এবার পুজোর ছুটিতে মালয়েশিয়া ঘুরে আসতে পারেন। কলকাতা থেকে চার ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এয়ার এশিয়া, ইন্দোনেশীয় বাটিক এয়ারের বিমান সরাসরি চার ঘণ্টায় কলকাতা থেকে কুয়ালালামপুর পৌঁছে দেয়। দুটি উড়ানই রাত বারোটা নাগাদ কলকাতা ছেড়ে স্থানীয় সময় সকাল সাতটা নাগাদ কুয়ালালামপুর পৌঁছয়। এছাড়া আরও অনেকগুলি ফ্লাইট একটু ঘুরপথে নিয়মিত যাতায়াত করে।
ভিয়েতনামের শহরে বাজারে
ভ্রমণ শুরু হোক হ্যানয় থেকে। দু'-তিন দিন কাটানো যেতে পারে হ্যানয়ে। এখান থেকে দিনে দিনে ঘুরে আসা যায় হালং বে। আরও দিন-তিনেক সময় যোগ করে যাওয়া যেতে পারে উত্তর ভিয়েতনামের সুন্দর জনপদ সাপা আর তার আশপাশের ছোট-ছোট গ্রাম, জনপদ আর অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের সান্নিধ্যে।
ইউরোপের দুটি দেশে
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে হলস্ট্যাট হয়ে সালসবুর্গ। সেখান থেকে ঘুরে আসুন চেক রিপাবলিকের রাজধানী শহর প্রাগ। হাতে সময় থাকলে প্রাগ থেকে ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিম বোহেমিয়ার কার্লভি ভেরি। এই সফরে সেনগেন ভিসা লাগবে। স্থানীয় সময় ভারতের থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পিছিয়ে। চেক রিপাবলিকে চেক মুদ্রা, করুনার ব্যবহার হলেও ইউরোর প্রচলন সর্বত্র।
দশ-বারো দিনে মিশর
আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত মিশর ছুঁয়ে আছে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ। নাইল উপত্যকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সুপ্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার গল্প আকৃষ্ট করে না এমন লোক পাওয়া কঠিন। মিশরের পিরামিড ছুঁয়ে দেখার, সাহারায় পা রাখার, প্রাচীন সভ্যতার অবশেষ স্বচক্ষে দেখার সুলুকসন্ধান রইল এই লেখায়। মিশরের আনাচেকানাচে যেমন ছড়িয়ে আছে প্রাচীন সভ্যতার অবশেষ, তেমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খনিও আছে সেখানে। সব কিছুর আস্বাদ পেতে দিন ১০-১২ সময় হলে ভালো হয়।
সাতকোশিয়ার জলে-জঙ্গলে
সাত ক্রোশ ব্যাপী গিরিখাতের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে মহানদী। তাই তার নাম সাতকোশিয়া। মহানদীর কমলডিহির ঘাট থেকে শুরু হয় নৌকাবিহার। বর্ষায় অরণ্যের সিক্ত-শ্যামল রূপ মুগ্ধ করে, তবে, খুব বেশি বৃষ্টি হলে মহানদীতে নৌবিহারের অনুমতি মেলে না। সাতকোশিয়ার এদিক সেদিক অরণ্য, ঝরনা, প্রাচীন মন্দির নিয়ে এক জমাটি ভ্রমণ।
পুরীর কাছেই দুই শিল্পগ্রাম রঘুরাজপুর ও পিপলি
২০০০ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ সংস্থা রঘুরাজপুরকে ‘হেরিটেজ ভিলেজ’ স্বীকৃতি দিয়েছে।
সবুজে সবুজ জুকু ভ্যালি
ফুলের গাছ দিয়ে সুন্দর সাজানো সেমেট্রিতে অচেনা সৈন্যদের কবরের ফলক জুকু ভ্যালি দেখে চোখের পাতা ভিজে আসে।
গ্রামের নাম কাফলানি
লেখা ও ছবি: স্বাতী বসু মুসৌরি থেকে দশ কিলোমিটার দূরের গ্রাম কাফলানি। পাখি দেখে, শুয়ে-বসে, এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরিতে কেটে যাবে অলস আয়েসি তিন-চার দিন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেখা দেবে হিমালয়ের তুষারশৃঙ্গ।