হৃদয়ের রক্ষাকবচ

কী কী মেনে চললে হার্টের অসুখ থেকে থাকবেন শত হস্ত দূর? অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হোক বা বাইপাস কোন ক্ষেত্রে কী নিয়ম? জানালেন বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ মনোতোষ পাঁজা

ত্য কটি নদীতে জল বইছে। দিনের পর দিন সেই নদী প্রবহমান থাকতে থাকতে একসময় নিজের বয়ে আনা নুড়ি পাথর ও মাটি দিয়ে চড়া তৈরি করে ফেলল। হার্টের বিষয়টাও ঠিক এরকম। জন্মসূত্রে পাওয়া হার্ট বেশ সুস্থ-সবল তরতাজা। কুলকুল করে রক্ত বইছে তাতে। বছরের পর বছর শরীরের উপর নানা অত্যাচার ও অনিয়মে সেই হার্টের গায়ে পলির মতোই তেল, মশলা ও ফ্যাট জড়ো করছি আমরা। নদীপথের মতো হার্টের ধমনীগুলোয় গায়ে চড়া পড়ছে। রক্ত বয়ে বেড়ানোর পথ পাচ্ছে না।

হার্টের মূল শত্রু হিসেবে ধরা হয় লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল), ট্রাইগ্লিসারাইড ও লাইপোপ্রোটিন লিটল এ। পাশ্চাত্যের দেশগুলোর তুলনায় ভারতে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা গত দুই দশকে অনেকটা বেড়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় যেখানে বয়স ৫০ পেরলে এই অসুখগুলো নিয়ে ভয় শুরু হয়, সেখানে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এক দশক আগেই, অর্থাৎ ৪০ পেরলেই এই অসুখ থাবা বসাচ্ছে। এমনকী, ৩০ বছর বয়সের পরেও অনেকে এই রোগের শিকার হচ্ছেন। এর মূল কারণ লাইফস্টাইল। অনেক ক্ষেত্রেই বুকে কোনও ব্যথা থাকছে না। কেবল শ্বাসকষ্ট থাকছে। রোগীর পরিজন, এমনকী চিকিৎসকরাও কেউ কেউ তা ফুসফুসের অসুখ ভেবে ভুল করে বসছি। ফলে প্রয়োজনীয় হার্টের পরীক্ষাগুলো বাদ পড়ে যাচ্ছে।