স্ট্রোকের পর যত্ন কেমন?

পরামর্শে সাগর দত্ত হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল৷

যাত স্ট্রোক কী? আমাদের মস্তিষ্কে অসংখ্য রক্তবাহী নালী থাকে। সেই সমস্ত রক্তবাহী নালীতে রক্ত সঞ্চালন হয়। রক্তবাহী নালী কোনওভাবে ফেটে গেলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের যে যে অংশে ওই সকল রক্তবাহী নালী রক্ত সরবরাহ করত, সেইসব অংশে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। সেখানকার স্নায়ুকোষগুলি ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। শরীরে নানা উপসর্গ তৈরি হয়। সেই নিয়ে পরে আলোচনা হবে। আরও একভাবে স্ট্রোক হয়। তা কেমন? অনেকের ব্লাড ভেসেল বা রক্তবাহী নালীর ভিতরেও রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের একটি অংশের কোষে কোষে রক্ত

সঠিকভাবে পৌঁছতে পারে না। এর ফলেও নার্ভ টিস্যুর ড্যামেজ হয়। সুতরাং মোদ্দা বিষয়টা হল, ব্রেনে যে রক্তবাহী নালিকা থাকে তার অসুখই হল স্ট্রোক। স্ট্রোক হলে বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুগত উপসর্গ দেখা যায় সেকথা আগেই বলেছি। কেন হয় এমন? আসলে ব্রেনের কোনও অংশ কথা বলার জন্য, আবার কোনও অংশ হাত নাড়ার জন্য, কোনও অংশ চোখে দেখার জন্য দায়ী থাকে। ফলে ব্রেনের যে অংশে স্ট্রোক হবে, সেই অংশ যে কাজের জন্য ভারপ্রাপ্ত, সেই অংশটির কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে।

লক্ষণ কী কী? লক্ষণ নানা ধরনের হতে পারে। ব্রেনে ইন্টারনাল ক্যাপসুল নামে একটা জায়গা থাকে। হাত এবং পায়ের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে এই অংশটি। এই জায়গাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেখা দিতে পারে হেমিপেরিসিস। হেমিঅ্যানাস্থেশিয়া এবং হেমিপেরিসিস একসঙ্গেও ঘটতে পারে। অর্থাৎ শরীরের একটা দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। কমে যেতে পারে পেশির জোর। সংবেদনশীলতাও হ্রাস পায়। ব্রেনের অক্সিপিটাল লোবে স্ট্রোক হলে চলে যেতে পারে দৃষ্টিক্ষমতা। আবার টেম্পোরাল লোব অংশে স্ট্রোক হলে রোগীর কথা বলার ক্ষেত্রে দেখা দেয় জটিলতা। ফ্রন্টাল লোবে স্ট্রোক হলে চিন্তাভাবনায়