রূপটানে ঘরোয়া বিধান

পরামর্শে রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ।

সৌন্দর্য কী? একটা মানুষের পরিপূর্ণতাকেই আমি সৌন্দর্য বলি। শুধু জেল্লাদার ত্বক হলেই হবে না, ভিতর থেকেও সুন্দর হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই সৌন্দর্য সার্বিক হয়ে ওঠে।

নিজেকে সুন্দর রাখা কেন জরুরি? নিজেকে সুন্দর রাখাটা সব থেকে আগে দরকার। কারণ নিজেকে সুন্দর বা ভালো রাখলে, আরও অনেককে ভালো রাখার ইচ্ছে বা আগ্রহ তৈরি হবে। তাছাড়া সৌন্দর্য হল সুস্থতার লক্ষণও। আর যদি কেউ নিজের প্রতি যত্নশীল না হয়, সব সময় দুঃখী থাকে, তাহলে সে কোন কাজেই উৎসাহ পাবে না। ইতিবাচক ভাবনাও তৈরি হবে না। ভগবানের দেওয়া চোখ, নাক, মুখ বদলাতে পারবো না। কিন্তু সেগুলি যত্ন করে রাখার কৌশল আমাদের হাতেই রয়েছে।

মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কি করতে হবে? সৌন্দর্য ধরে রাখতে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং-এর বিকল্প নেই। আমরা অনেকেই ফেসওয়াশ বা ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার করি। কিন্তু তা আদৌ হল কি না, সেটা বুঝতে পারি না। আসলে প্রত্যেকের স্কিন অনুযায়ী আলাদা জিনিস বা উপাদান ব্যবহার করা উচিত। যেমন কারও ত্বক যদি অয়েলি হয়, তার ক্লিনজিং মিল্ক চলবে না। একইভাবে শীতের সময় বারবার সাবান দিয়ে মুখ ধুলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বক আরও খারাপ হয়ে যাবে।

ত্বক ভালো রাখতে গেলে ডিপ ক্লিনজারের ভীষণ দরকার। কারণ ত্বকের ছিদ্রের মধ্যে অনেক অয়েলি উপাদান, ধোঁয়া-ধুলো, দূষণ জমে। তা খুবই ক্ষতিকারক। এগুলি পরিষ্কার করতে আমাদের স্কিনকে স্ক্রাবিং করাও প্রয়োজন। এখানে মনে রাখতে হবে, দিনে একবারের বেশি স্ক্রাবিং চলবে না। ত্বকের প্রকৃতি বুঝে ক্লিনজিং মিল্ক বা ফেসওয়াশ দিয়ে বার দ’য়েক মুখ ধোওয়া যেতে পারে।