নাক কান গলার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

পরামর্শে পিসিএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ আশিষ শাসমল

ইএনটি অর্থাৎ কান, নাক, গলা একইসঙ্গে আমরা বলি। কারণ এরা সহোদর, একটিতে কোনও গণ্ডগোল হলে তার প্রভাব অন্যটিতে পড়বেই। ইএনটিতে নিয়ে ভোগেননি এমন লোকজন কমই পাবেন। আর নাক, কান, গলার সমস্যাতে হোমিওপ্যাথি দারুণ কাজ দেয় এবং সেটা ছোট থেকে বড় সবারই।

গলার সমস্যা ক্রমাগত কাশি: কেন হয়: বর্তমানে ছোট থেকে বড়রা সবাই ভুগছে। বিশেষ করে কোভিডের পর থেকে অনেকেরই কাশি দীর্ঘদিন ধরে চলছে।

এর অন্যতম কারণ, দূষণ এবং বিভিন্ন ভাইরাসের প্রকোপ এছাড়াও অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্সও অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন চললে ল্যারিংস ট্র্যাকিয়া এমনকী ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসা: এই ধরনের কাশি চটজলদি হোমিওপ্যাথিতেই সারে। লক্ষণ অনুযায়ী, রিউমেক্স, স্পঞ্জিয়া, ম্যাঙ্গানাম অ্যাসেটিকাম, ক্যাসিয়া শোফেরা ইত্যাদি।

ল্যারিঞ্জাইটিস: কোনও কারণে ল্যারিংসে

প্রদাহ হলে আমরা বলি ল্যারিঞ্জাইটিস। দেহের এই অংশটির মাধ্যমে যেহেতু কথা বলা এবং শ্বাস নেওয়া দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি। তাই যাঁরা স্বরকে জীবিকার জন্য ব্যবহার করেন, যেমন শিক্ষক, অভিনেতা, গায়ক, উকিল এমনকী হকারদেরও ল্যারিংসের ওপর বেশি চাপ না দেওয়াই ভালো। লক্ষণ: খুকখুকে কাশি, গলায় অস্বস্তি, কথা বলতে কষ্ট হওয়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মূলত শুকনো কাশি এবং শুলে বুকে আওয়াজ হয়। চিকিৎসা: লক্ষণ অনুযায়ী কস্টিকাম, ড্রসেরা, অর্জেন্টাস মেট, থুজা, হেপাটিকা ইত্যাদি ভালো কাজ দেয়।

টনসিলাইটিস: টনসিল হল এক ধরনের লিম্ফোয়েড। নোডস গলার দু'দিকে থাকে। মজার বিষয় হল, এরা শরীরকে ইনফেকশন থেকে বাঁচায়। কিন্তু এটি নিজেই যখন কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এই সমস্যাকে টনসিলাইটিস বলি।

লক্ষণ: গলা ব্যথা, জ্বর আসা, খাবার গিলতে অসুবিধা, কানে যন্ত্রণা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি। চিকিৎসা: টনসিলাইটিসের অব্যর্থ ওষুধগুলি হল, স্ট্রেপটোকক্সিন, স্ট্যাফাইলোকক্সিন, ফাইটোলক্কা, বেলাডোনা, ব্যারাইটাকার্ব, টিউবারকুলিনাম ইত্যাদি। লক্ষণ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।