আ মরা চলেছি উত্তরকাশী থেকে গঙ্গোত্রীর পথে। চলতে চলতে মানুষের হইহট্টগোলে তাকিয়ে দেখি ভয়ঙ্কর জ্যামে আটকে আছে আমাদের গাড়ি। যানজট নিয়ন্ত্রণে কোনও পুলিসের দেখা মিলল না। মাথার ওপর সাদা তুলোর মতো ছেঁড়া মেঘ। চারদিকে সবুজের হাতছানি। দু'পাশে সুউচ্চ পাহাড়। মাঝখান দিয়ে নদী আপন বেগে বয়ে চলেছে। সময় কাটছিল নদীর দিকে তাকিয়েই। জ্যাম ছাড়তে দৃশ্যপট পাল্টাতে লাগল। পাহাড়ি পথের বাঁকে বাঁকে আপেল বাগান। পাইন ও দেওদারের ঘন সবুজ বন। চিকন পাতার ফাঁক দিয়ে গলে গলে পড়ছে মেঘছেঁড়া রোদ। যত্রতত্র পাহাড়ের গা বেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ঝোরা। হরশিল।
এটি ভাগীরথী আর জালন্ধরী নদীর মিলনস্থল। দু'জনে মিলেমিশে এগিয়ে গিয়েছেন দেবপ্রয়াগে অলকানন্দার সঙ্গে দেখা করতে। পুরাণ অনুসারে একসময় নদীরূপিণী দুই দেবীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। তাঁদের মধ্যে কে বড়? ভাগীরথীই গঙ্গার মূল প্রবাহ। কাজেই সবার কাছে ভাগীরথী বড়। জালন্ধরী তা মানবেন কেন? শেষে নারায়ণকে বিচারক ঠিক করা হল। তাঁর তো উভয়সঙ্কট। অনেক ভেবে তিনি এক অদ্ভুত পন্থা অবলম্বন করলেন। নিজে পাথর হয়ে গেলেন। নারায়ণরূপী সেই হরি শিলার ওপর দুই দেবী ঝাঁপিয়ে পড়ে একসঙ্গে মিলিত হয়ে এগিয়ে চললেন। সেই হরি শিলা থেকে এই জায়গার নাম হরশিল।
এখানে এক অভিশপ্ত রাজার বাস ছিল। তিনি ফ্রেডরিক ই উইলসন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে ছিলেন তিনি। প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর তিনি পালাতে শুরু করেন। অনেকে বলেন এই সময় তিনি ডুয়েলে কোনও ইংরেজ অফিসারকে মেরে ফেলেছিলেন। তাঁর পরিকল্পনা ছিল গঙ্গার উৎসমুখ গঙ্গোত্রীর দিকে যাওয়ার, অর্থাৎ ইংরেজ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার বাইরে বেরনো। প্রথমে তেহরি গাড়োয়ালে আশ্রয় চান। কিন্তু গাড়োয়ালের রাজা তো ব্রিটিশদের বন্ধু ছিলেন, উইলসনকে সাহায্য করলেন না। গঙ্গার তীর বরাবর তার উৎসমুখের দিকে এগতে লাগলেন
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।