নিস্তব্ধ প্ল্যাটফর্মে তখন জনা চার'পাঁচেক আদিবাসী নরনারীর ইতিউতি ঘোরাফেরা। নির্জন স্টেশনের দু'পাশে রাঙা শিমূল, পলাশ, সদ্য লালচে বাদামি পাতা গজানো বট, অশ্বত্থরা যেন বসন্তের সাজে অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য প্রস্তুত।
বাইরে আমাদের অপেক্ষায় করিম মিঞার বাহন। লাল মোরামের রাস্তায় ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে টলমলে গতিতে এগিয়ে চলেছে সে। পথের দু'পাশে রাঙা পলাশরা মাথা দুলিয়ে বলছে সুস্বাগতম! দূরে মুরাডি পাহাড়ের কোলে শিমূল পলাশের চাঁদোয়া খাটানো। পাহাড়ের মাথায় আকাশের গায়ে তাদেরই রাঙা নেশা ছড়িয়ে রয়েছে!
চলছে লুকোচুরি খেলা। এই মেঘের আড়ালে লুকিয়ে পড়লেন তো পরক্ষণে বেরিয়ে এলেন আলো ছড়িয়ে। অবশেষে মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত। বড়ন্তি লেকের জলে কমলা-লাল রং গুলে সূর্যাস্তের ছবি আঁকলেন স্বয়ং সূর্যদেব! মনবাক্সে আর এক দৃশ্যরত্ন জমা পড়ল! ক্রমে সন্ধ্যার তরল অন্ধকারে ঢেকে গেল চারপাশ। লেকের পাশের সোলার বাতি জ্বলে উঠল একে একে। নিঝুম, নিস্তব্ধ, জনমানবহীন রাস্তা ধরে ফিরছি রাত ঠিকানা 'মহুলবন'-এ। আকাশে তখন দোলপূর্ণিমার পূর্ণ চন্দ্র। পথের দু'পাশে তমাল, মহুয়া, পলাশরা জ্যোৎস্না মাখছে, বাতাসে বইছে একটানা ঝিঁ ঝিঁ পোকার গান...!
শুশুনিয়া ও বিহারীনাথ পাহাড়ের ডাকে পরদিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম বাঁকুড়ার উদ্দেশে। কখনও আদিবাসী গ্রাম ছুঁয়ে, কখনও বা শাল পিয়ালের বনের মধ্যে দিয়ে যাত্রা।
বিহারীনাথ পাহাড়ের কোলে পুণ্যতীর্থ বাবা বিহারীনাথের মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরের গঠনশৈলীতে তেমন বিশেষত্ব লক্ষ করা যায় না। মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে হর-পার্বতীর অবস্থান। এছাড়া চারপাশে ছোট ছোট মন্দিরাংশে অন্যন্য দেবদেবী বিরাজমান। সবুজ পাহাড়ের ছায়ায়, ভগবানের আশ্রয়ে এমন নির্জন, নিস্তব্ধ পরিবেশে মনের প্রশান্তি মিলবে।
ইতিহাসের খোঁজে গড়পঞ্চকোটে হাজির হলাম সেদিন অপরাহ্নে। পাঞ্চেত পাহাড়ের পাদদেশে বর্গী আক্রমণের স্মৃতি বুকে জরাজীর্ণ দেহে আজও নীরবে দাঁড়িয়ে আছে পঞ্চকোট রাজাদের রাজপ্রাসাদ ও মন্দিরগৃহ। ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে সরফরাজ খানকে পরাজিত করে বাংলার মসনদে বসেন নবাব আলিবর্দি খান। পরবর্তীকালে সরফরাজ খানের আত্মীয় রুস্তম জং রাজত্ব পুনরুদ্ধারে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।