‘নিকুচি করেছে শালা ব্রাশের !” এই বলে সাতসকালেই মুখ ধোওয়ার পর টুথব্রাশখানা গায়ের জোরে ছুড়ে ফেললেন আশুবাবু। কিছুক্ষণ আকাশপথে তার উড়ানের দিকে তাকিয়ে রইলেন, তারপর সন্তুষ্ট হয়ে ঘাড় নাড়লেন। ব্যাটার আর ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। মিনু হন্তদন্ত হয়ে রান্নাঘর থেকে চা হাতে বেরিয়ে এসে বলল, ‘এত চেঁচামেচি কীসের? সকাল হল তোমার?'
গিন্নির দিকে খর চোখে তাকিয়ে তিনি জবাব দিলেন, ‘ক্ষয়ে ক্ষয়ে ব্রাশটার মুখে টাক পড়ে গেছে। তাতে করেই রোজ নিমদাঁতনের মতো ব্রাশ করি। আর রোজ ভাবি ছুড়ে ফেলব। আজ ফেলেই দিলাম। না ফেললে তো আর নতুন হবে না?”
উঠোনে গুটিগুটি রোদ ঢুকছে। শীতের রোদ, ভীষণ মূল্যবান। বাগানে হরেকরকম ফুলের গাছ, নিয়মিত যত্নে তারা রঙিন হয়ে আছে। তাদের মাঝে চেয়ার টেনে বসে সকালের রোদে ভাগ বসালেন আশুবাবু। চায়ে একটা লম্বা চুমুক দিয়ে তৃপ্তির শ্বাস ছেড়ে বললেন, “আঃ!’
তারপর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা মিনু, গত মাসে মনে হচ্ছে চারটে টুথব্রাশ এনেছিলাম, না?' মিনু চা দিয়ে রান্নাঘরে ঢুকতে যাচ্ছিল। তার এখন দাঁড়ানোর সময় নেই, সকালের জলখাবার, মেয়ের টিফিন, স্বামীর টিফিনের ব্যস্ততা। কিন্তু আশুবাবুর কথা শুনে রুখে দাঁড়াতেই হল তাকে, ‘গত মাসে? এটা নভেম্বর, আর তুমি টুথব্রাশ এনেছিলে জুলাই মাসে। কোন হিসেবে জুলাইয়ের পর নভেম্বর হয় শুনি?' আশুবাবু যেন আকাশ থেকে পড়লেন, ‘জুলাই মাসে? বল কী?'
‘হ্যাঁ। জুলাই মাসে। চারজনের জন্য চারটে টুথব্রাশ। দাঁড়াও, আমি মাসকাবারির লিস্ট বার করছি, নইলে তো আবার বিশ্বাস করবে না তুমি।”
“আরে না, না, বিশ্বাস করব না কেন?' কাগজ খুঁজতে উদ্যত মিনুকে বাধা দিলেন তিনি, ‘আমি শুধু ভাবছি কত তাড়াতাড়ি দিনগুলো পেরিয়ে যাচ্ছে।' ‘যাচ্ছেই তো।” এই কথায় হঠাৎ ঝামরে উঠল মিনু, ‘আর দিনকে দিন আমি বুড়ি হয়ে যাচ্ছি। কত করে বললাম রোববার একটু পার্লার নিয়ে চল, ফেসিয়াল করে আসি। দত্তবউদি, মিত্রবউদি সবাই যায়। কিন্তু আমার বেলাতেই নাকি স্কিন খারাপ হয়ে যাবে, চুল পড়ে যাবে, চোখের নীচে কালি পড়বে, আরও কত কী! কঞ্জস লোক কোথাকার।
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the {{IssueName}} edition of {{MagazineName}}.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।