ছাত্রীদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে পারেন, এই প্রশংসা বহুবার বহু মুখে শুনেছেন। কিন্তু তাতে তাঁর খুব বেশি কৃতিত্ব আছে বলে মনে করেন না। তাই এই বিষয় নিয়ে তাঁর মনে কোনও অহংকার আসেনি। কৃতিত্ব সব ওদেরই, তিনি একটু সহযোগিতা করেন মাত্র। তাছাড়া সেই সহযোগিতা তো তিনি বিনা পয়সায় করেন না, সরকারি মাইনে নিয়েই করেন। সুতরাং কীসের অহংকার?
ক'দিন ধরেই চাকরি জীবনের হাজার স্মৃতি অবচেতনের গভীর থেকে মনের পর্দায় ফুটে উঠছে। সময় চলে যায়, শুধু স্মৃতিগুলোই সঞ্চিত থেকে যায় মনের গোপন কুঠুরিতে। হাসিবেদনা-সুখ আরও কতরকমের অবয়ব তার! এক একজন সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে, আর অবাক হয়ে দেখছেন তাদের। এরা সব লুকিয়েছিল কোথায়! শোভনা এখন বুঝতে পারছেন, মানুষের জীবনে সঞ্চয় বলতে যেটা সাধারণ অর্থে বোঝানো হয়, বাস্তবিক তার কোনও অস্তিত্ব নেই। মানুষের প্রকৃত সঞ্চয় আসলে তার জীবনে চলার পথে জমে থাকা স্মৃতিগুলো। একমাত্র সেগুলোই সঙ্গে থাকে আমৃত্যু। টাকা-পয়সা-সম্পদ আসে যায়। কখনও পাশে থাকে কখনও থাকে না।
যেদিন প্রথম এই মানদাসুন্দরী স্কুলে জয়েন করেছিলেন, মন ছিল ভীষণ ভারাক্রান্ত। কারণ কলকাতা থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় সত্তর কিলোমিটার। ধ্যাড়ধেড়ে গোবিন্দপুর বলতে যা বোঝায় তেমনই একটি জায়গা। যোগাযোগ ব্যবস্থা তখন এতটাই খারাপ ছিল যে, ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে চাকরি করা অসম্ভব। বাধ্য হয়ে কাছাকাছি একটা মফস্সল শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত। কিছুদিন মা এসে সঙ্গে ছিল। ভাগ্যক্রমে এই সময় জুটে যায় মনের মতো একজন পার্টনার। পরমা। ওরও একই সমস্যা। সুতরাং দু'জনে দু'জনকে পেয়ে যারপরনাই খুশি হয়েছিল। পরমা ভীষণ উদার মনের মেয়ে ছিল, কিছুদিনের মধ্যেই দু'জনার মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। পরমা যেমন দেখতে সুন্দরী, তেমনই গানের গলা ছিল।
কিন্তু মেয়েটা বেশিদিন বাঁচেনি। প্রেমে পড়েছিল আপাত সংস্কৃতিমনা এক প্রতারকের। বুঝতে পারেনি, হুট করে একদিন বিয়ে করে নিয়েছিল। ওর বাবা, মা, দাদা বাধা দিয়েছিল। শোভনাও একটু রয়ে সয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু পরমা কারও কথাই শোনেনি। হঠাৎ একদিন কানে এল ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ, পরমা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিয়ের একবছরও পার হয়নি তখনও।
この記事は Sukhi Grihakon の June 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Sukhi Grihakon の June 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।