ভারতীয় সিনেমার সর্বকালীন সেরা শোম্যান রাজ কাপুরের জন্ম অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে, ১৯২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর। ছোটবেলা কলকাতায়, যৌবন-বাকি জীবন মুম্বইতে। তিন শহরের মানুষ রাজ। শুধুই কি শোম্যান? কী নন তিনি! অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ। রাজ কাপুরের বাবা পৃথ্বীরাজ আইনের দুনিয়া ছেড়ে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেন। সেই ভাবনা থেকেই চলে আসেন মুম্বইতে। তখন মুম্বই নয় বোম্বাই। সপরিবারে, শিশু রাজকে সঙ্গে নিয়ে। যুক্ত হন ইম্পেরিয়াল ফিল্ম কোম্পানিতে। তখন ভারতীয় সিনেমার নির্বাক যুগ। ভারতে ইম্পেরিয়াল ফিল্ম কোম্পানির তখন রমরমা বাজার। সিনেমায় যখন শব্দ এল, এই ইম্পেরিয়াল ফিল্ম কোম্পানিই ভারতে প্রথম নির্মাণ করল সবাক ছবি— ‘আলম আরা’। তাতে অভিনয় করলেন পৃথ্বীরাজ কাপুর। এদিকে কলকাতায় তখন নিউ থিয়েটার্সের চলচ্চিত্র তৈরিতে সর্বভারতীয় সুনাম। বাংলা ও হিন্দি দুই ভাষাতেই ছবি তৈরি করে বি কে সরকারের এই নিউ থিয়েটার্স। বোম্বাই থেকে কলকাতায় চলে এসে এই নিউ থিয়েটার্সে যোগ দিলেন পৃথ্বীরাজ। সঙ্গে স্ত্রী রামসরণি আর সাত বছরের ছেলে রাজ।
কলকাতা তাঁর প্রিয় শহর। স্মৃতির শহর। এক সাক্ষাৎকারে সেটা বলেছিলেনও তিনি। আটের দশকের মাঝামাঝি সময়, সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘মেরা নাম জোকার'। রাজ কাপুরের আত্মজীবনীমূলক ড্রিম প্রোজেক্ট। ছবিটা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল রাজের। যতটা আশা করেছিলেন, সেইভাবে বক্সঅফিসে সাড়া জাগাতে পারেনি। খানিকটা ভেঙে পড়েছিলেন রাজ কাপুর। সেই সময় সাংবাদিকতা সূত্রে আমি বোম্বাইতে। জানা গেল আরকে স্টুডিও-তে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন রাজ কাপুর। সকলের সঙ্গে নয়। কিছু নির্বাচিত সাংবাদিকের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। এক এক করে। এই সুযোগটা হাতছাড়া করার কথা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। এর আগে রাজ কাপুরের সেক্রেটারি হরিশজির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর রেফারেন্স দিয়ে ফোন করলাম হরিশজিকে। জানালাম কলকাতার এক বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের তরফে রাজ কাপুরের একটা সাক্ষাৎকার নিতে চাই। হরিশজি সব শুনে বললেন আধ ঘণ্টা পরে তিনি জানাচ্ছেন। তখন মোবাইলের সময় নয়। ঠিক আধঘণ্টা পরেই আমার ল্যান্ডফোন বেজে উঠল। হরিশজির গলা, কাল বিকেল চারটেয় চলে আসুন আরকে স্টুডিও-তে।
この記事は Sukhi Grihakon の November 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Sukhi Grihakon の November 2024 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、9,000 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।