বারাব্বা নাট ক সৌমিত্র বসুর লেখা এবং তাঁরই নির্দেশনায় যাদবপুর রম্যাণী পরিবেশন করলেন তাঁদের নবতম প্রযোজনা ‘বারাব্বা'। প্রযোজনাটি তার আঁটসাঁট মেদহীন সুঠাম গঠন এবং এক অ-চলতি গোত্রের কন্টেন্ট-এর জন্য অবশ্যই ছিল প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল যে, প্রায় দর্শকহীন মধুসূদন মঞ্চ নাট্যালয় আবারও দেখিয়ে দিল থিয়েটারের প্রতি আমাদের আবেগহীনতা। তেমন কোনও বৈভব ছিল না তাঁদের প্রচারে, ছিল না ‘নাম’-এর ঢক্কা-নিনাদ। অতএব দর্শক মুখ ঘুরিয়ে থাকবেন— এটাই তো বাস্তব!
যাই হোক, উল্লেখ করতেই হয় যে, নাটকটির কাহিনি এবং তার উপস্থাপনাতে পাওয়া গেল এক ভিন্ন স্বাদ। ভিন্ন অর্থে এখানে পরিচিত গোত্রের অথবা চলনের কোনও আখ্যান বাছা হয়নি প্রযোজনাটির জন্য। খ্রিস্টীয় ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের একটি আখ্যানকে সৌমিত্র তাঁর নাটকে নিয়ে এসেছেন, যা বাংলা নাটকের জগতে
অবশ্যই অভিনব। গ্রিক, রোমান অথবা সংস্কৃত আখ্যান বহু নাটকে এসেছে নানা বিশ্লেষণে, নানা আঙ্গিকে। কিন্তু বিবলিকাল আখ্যান নিয়ে বাংলা নাটক এই আলোচকের কাছে নতুন তথ্য বটেই। নিউ টেস্টামেন্ট-এর চারটি গসপেলেই এই আখ্যানটি বিবৃত থাকলেও তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে স্কলারলি অভিমত বিবিধ। বারাব্বাস নামের দস্যুকে মুক্তি দিয়ে জিশুকে ক্রুশে চড়ায় রোমক প্রশাসক। সেই বারাব্বাসকে নিয়ে সৌমিত্রর এই নাটক। মনে পড়ে যায় এই চরিত্রটিকে নিয়েই ছোটবেলায় দেখা ইংরেজি সিনেমাটির কথা। নাটককার এখানে বাহবা পাবেন তাঁর আখ্যানটিকে সীমায়িত রাখার জন্য। বহু সুযোগ ছিল আখ্যানটিকে প্রসারিত করে আনুষঙ্গিক বিষয়কে নিয়ে আসার। কিন্তু সৌমিত্র সে পথে হাঁটেননি। তিনি সীমিত চরিত্র নিয়ে তাঁর কথা তিনি বলেছেন। সব শেষে আসে যে, পুনরুত্থান যা মানুষের আগত নতুন দিনের প্রতি বিশ্বাস জাগায়, সেই কথাই এই নাটক জানাতে চায়। চরিত্রগুলির নামকরণে কিছুটা অবশ্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, যেমন মূল চরিত্রটির নাম এখানে বারাব্বা করা হয়েছে যা একটি বিশেষ অ্যারামাইক ডায়ালেক্টে দেখা যেত। তেমনই মেরি ম্যাগডেলনকে মারিয়াম করা হয়েছে যা অ্যারামাইক ডায়ালেক্টে জিশুর মায়ের নাম। আবার পন্টিয়াস পাইলেট এখানে পিলিটুশ আর জুডাস এখানে জিহুদা। তবে নামের বিষয়টি বাদ দিয়ে একথা বলা যায় যে, নাট্যোপস্থাপনার জন্য এমন ঝরঝরে স্ক্রিপ্ট খুব কমই দেখা যায়।
Denne historien er fra April 02, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra April 02, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।