নাগরিক পরিবহণ ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মেট্রো রেল। চার দশক অতিক্রান্ত হয়েছে এই রেলযাত্রা। কলকাতা শহরে সূত্রপাত হওয়া এই মেট্রো রেলের শাখাপ্রশাখা এখন এ দেশের সতেরোটি শহর জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। ১৯৮৪ সালে এশিয়ার পঞ্চম এবং পৃথিবীর ৬৫তম শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কলকাতার পাতাল রেল। এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর, এই ৩.৪ কিলোমিটার সুড়ঙ্গপথে রেলযাত্রার সুত্রপাত হয়েছিল ভিড়ের ভারে জর্জরিত শহর কলকাতায়। কালে কালে মাটির নীচে সুড়ঙ্গপথে আর মাটির ওপরে উড়ালপুলের ঘাড়ে ভর দিয়ে শহরের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে চলেছে মেট্রো রেল।
দেশজুড়ে নগরায়নের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড়-বাড়া শহরে জনতার গণপরিবহণ ব্যবস্থা হিসেবেই শুরু হয় মেট্রো রেলের পরিকল্পনা। ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে যে-কোনও বড় শহরেই দ্রুত যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে মেট্রো রেল হয়ে উঠেছে প্রতিটি শহরের বাস্তুতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। সেই নিরিখে সওয়া তিনশো বছরের পুরানো শহর কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
স্বাধীনতার পর এ দেশের গণপরিবহণের ক্ষেত্রে রেলের ভূমিকা অদ্বিতীয়। দেশের যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণের ৮৫% ভার বহন করত রেল আর বাকিটা সড়ক ব্যবস্থায়। ফলে, সেই সময় শিল্প-বানিজ্য-পর্যটন-কৃষির অর্থনীতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ছোটবড় মাঝারি শহর, শহরতলির মধ্যে যোগাযোগের মূল মাধ্যম ছিল রেল যোগাযোগ। উত্তরোত্তর নগরায়নের ধাক্কায় দেশের শহরগুলির আকার, আয়তন, জনঘনত্ব থেকে যানঘনত্ব যখন হু হু করে বাড়তে শুরু করল, তখন শহরের এক প্রান্ত থেকে ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যে দ্রুত নিরাপদে পৌঁছোনোর চাহিদা মেটাতেই রেলের নতুন অধ্যায় হয়ে উঠল মেট্রো রেল। কার্যত, নগর উন্নয়ন এবং রেলমন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগের ফসল হল ভারতের মেট্রো রেল ব্যবস্থা। ক্রমশ দেশের বাণিজ্যের ধারা মেনেই সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগেই রূপায়িত হচ্ছে মেট্রো রেলে যাত্রা— উত্তর থেকে দক্ষিণ, কিংবা পুব থেকে পশ্চিমে।
Denne historien er fra November 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra November 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।