মৃণাল সেনের তৈরি সিনেমা প্রথম যখন দেখি, তখন আমাদের ঘুম ভাঙার বয়স। স্কুল ছাড়িয়ে কলেজে পড়তে আসছি। আর তখনই বাংলা সিনেমায় ঘটে চলেছে একের পর এক বিস্ফোরণ। সেটা গত শতকের পঞ্চাশের দশক। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেন পরপর তাঁদের ছবিতে পাল্টে দিচ্ছেন ফিল্মের ব্যাকরণ, তার স্টাইল, তার চরিত্র। একই সঙ্গে তখন শম্ভু মিত্র ও উৎপল দত্তের হাতে গড়ে উঠছে আধুনিক বাংলা থিয়েটারের ইমারত। শারদীয় সাহিত্য সঙ্কলনে ছাপা হচ্ছে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজশেখর বসু, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন লেখা। দেবব্রত বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্র, সলিল চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়দের দৌলতে বাংলা গানে ধরা পড়ছে নবযুগের স্পন্দন। আমি যে-পাড়ায় বড় হয়েছি সেই কুমোরটুলি-শোভাবাজার পাড়ার ট্রামলাইন ধরে দ্রুত চলে যাচ্ছে যে মোটর-বাইক, তাতে সওয়ার পঙ্কজ রায় তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ড গড়ছেন বিনু মাঁকড়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে। আর এই সব কিছুর পটভূমিতে সাবেকি রাজনীতির ভিতে শক্ত ধাক্কা দিতে গড়ে উঠছে, বেড়ে উঠছে বামপন্থী রাজনৈতিক আন্দোলন। এই বিচিত্র এবং উদ্দীপক আবহাওয়ায় বড় হতে হতে মৃণাল সেনের ছবিগুলি তাদের অন্যতায়, ভিন্নতায় চকিত করেছে আমাদের। ততদিনে আমি থিয়েটারের লোক হয়ে গেছি। ‘নান্দীকার’ এবং অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষানবিশি পর্ব শেষ করে নিজেদের থিয়েটারের আখড়া তৈরি করেছি। এবং থিয়েটারের ছাত্র হিসেবেই অবাক হয়ে লক্ষ করেছি, কী ভাবে মৃণাল সেনের সিনেমা-আঙ্গিকে ঢুকে পড়ছে থিয়েটারের নানা ভঙ্গি ও কায়দা-কানুন। এমনকি, হয়তো কিছুটা নতুন থিয়েটারের দর্শনও। আমার সেই ভাবনা পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করব। তবে তার আগে একটু অন্য প্রসঙ্গে যেতে চাই। সত্যজিৎ রায় ও মৃণাল সেন দু’জনেই ছিলেন আমাদের থিয়েটারের
Denne historien er fra May 17, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra May 17, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।