সম্প্রতি সংবাদপত্রের পাতা বা ভিশন মিডিয়ার চ্যানেলগুলো খুললেই চোখের সামনে নিয়মিত ভেসে উঠছে রাজ্যটার নাম। সামাজিক মাধ্যমগুলোও তোলপাড় দেশের উত্তর পূর্ব কোণের এই রাজ্যটিকে নিয়ে। একই ভাবে জনমানসও গভীর ভাবে উদ্বেগান্বিত, সেখানে নিরন্তর ঘটে চলা একের পর-এক ঘটনাক্রমে। কী বলতে চাইছি সেটা এতক্ষণে পাঠকরা নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন। হ্যাঁ, বিষয়টি আর কিছুই নয়— মণিপুরে মাসাধিককালেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা মেইতেই বনাম কুকি জাতি সংঘর্ষ। অতঃপর প্রশ্ন, কারা মেইতেই? আর কারাই-বা কুকি? কেনই-বা নিজেদের মধ্যে চরম ভয়াবহ এই রক্তক্ষয়ী গোষ্ঠীযুদ্ধে মেতেছে এই দুই সম্প্রদায়? এ সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আসুন, পিছিয়ে যাই বেশ কিছুটা সময়। টান মারি রক্তাক্ত, দগ্ধ এক ইতিহাসের সুতো ধরে। নজর ফেরাই ভারতবর্ষের আরও একাধিক প্রান্তে। যা আমাদের এই মারণ জাতি সংঘর্ষের শিকড়টা খুঁজতে অল্পবিস্তর সাহায্য করবে। ২০০২ সাল।
গুজরাতের গোধরা রেল স্টেশনে তীর্থযাত্রী ভরা সবরমতী এক্সপ্রেসে হামলা চালায় এক বিশাল উন্মত্ত জনতা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি কামরায়। প্রাণঘাতী এই হামলায় ট্রেনের কামরায় প্রায় ৭০জনেরও বেশি যাত্রী (যাদের অধিকাংশই তীর্থযাত্রী) পুড়ে মারা যান। স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনই তীর্থযাত্রীদের উপর হামলা চালিয়েছে, এই অভিযোগে সারা গুজরাত জুড়ে শুরু হয়ে যায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সংঘাত। মাসাধিক কালব্যাপী রক্তক্ষয়ী, নারকীয় এই জাতি সংঘর্ষে নিহত হন হাজারখানেকেরও বেশি মানুষ (যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি) যার মধ্যে সত্তর শতাংশই সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের। সংঘর্ষে জড়িত থাকার পিছনে ব্যাপক ভাবে অভিযোগের আঙুল ওঠে সঙ্ঘ পরিবার তথা আরএসএস-আশ্রিত তিন সংগঠন ‘রাজনৈতিক’ দল যথাক্রমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল এবং সেই সময়ে রাজ্যের শাসন-ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিজেপি-র দিকে। মায়া কোদনানি (পরবর্তীতে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী), বাবু বজরঙ্গিদের নেতৃত্বে সারা রাজ্য জুড়ে দাপিয়ে বেড়াতে থাকে সঙ্ঘী দুষ্কৃতীরা। রাজ্য পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে
Denne historien er fra August 17, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 17, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।