V বর্ণযুগ’ কথাটার প্রয়োগ তখনই করা হয় যখন নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়া হয় যে সে যুগ শেষ হয়ে গেছে। আমার এ লেখার শিরোনামের মধ্যেও সেরকম একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে, এ কথা পাঠক অনুমান করতে পারেন। অনুমান ভুল নয়, আমার মতামত সেরকমই। এই নিবন্ধের সারমর্ম এটাই। বাকিটা এই সারমর্মের বিস্তারিত ব্যাখ্যা। খুব একটা আদ্যিকালের কথা আমি বলতে বসিনি। প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে বিজ্ঞানের অনেক যুগান্তকারী কাজ হয়েছে, সে কথা ভুলে যাচ্ছি না। কিন্তু দুটি কারণে সেই কাল আমার ধর্তব্যের মধ্যে নয়। প্রথম কারণ, প্রাচীনকালের কথা যখন আমরা ভাবি, তখন
সাম্প্রতিক শ'দুয়েক বা শ'তিনেক বছর বাদ দিয়ে গোটা সময়টাকেই একসঙ্গে ভাবি, তার মধ্যে কালবিভাগ সচেতনভাবে করি না। সক্রেতিস আরিস্ততল আর্কিমিদিস ইত্যাদি সবাইকে নিয়ে আমরা দু'হাজার বছর আগেকার গ্রিসের কথা ভাবি, অথচ যে তিনজনের নাম দিলাম তাঁরা সমকালীন ছিলেন না, প্রথম আর তৃতীয়জনের মধ্যে মোটামুটি দুই শতাব্দীর ফারাক। এখন যারা ভারতের প্রাচীন গৌরবের কথা ঢাক পিটিয়ে বলার জন্য লাঠিসোটা নিয়ে নেমেছে, তারাও কয়েক হাজার বছরের বৈজ্ঞানিক অবদানের একটা ক্রমসঞ্চিত সম্পদের কথাই বলে। আমি সেভাবে আলোচনা করতে চাই না। আমার কাছে ‘যুগ’ কথাটার অর্থ অনেকটা সংকীর্ণ।
দু’জন বিজ্ঞানী যদি এমন সময়ে এবং এমন পরিমণ্ডলে কাজ করেন যাতে তাঁদের মধ্যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ হওয়া সম্ভব, তাহলেই আমি তাঁদেরকে এক যুগের বিজ্ঞানী বলব। লক্ষ রাখবেন, পরোক্ষ প্রভাব এখানে আলোচ্য নয়। আমি শুধু প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা বলেছি— সেটা মুখোমুখি বাক্যালাপে হতে পারে, চিঠি বা ফোনের মাধ্যমে হতে পারে, একই কমিটিতে দু’জনের সদস্যতার মাধ্যমে হতে পারে, অন্য নানাভাবে হতে পারে। এবং সে যোগাযোগ যে হতেই হবে এমন কথা বলিনি। হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে, শুধু এইটুকুই বিচার্য। CON
Denne historien er fra November 17, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra November 17, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।