আ -মার ট্রেন রাত সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে যে-কোনও সময় আসে, তাই বিরক্তি লাগলেও আমাকে সাড়ে সাতটার মধ্যেই প্লাটফর্মে হাজির হতে হয়। সপ্তাহে শনিবারই শুধু বাড়ি যাওয়ার সময় এই বিরক্তিকর যাত্রা সহ্য করতে হয়।
স্বভাবে ছটফটে মানুষ আমি, প্লাটফর্মে পায়চারি করি, ঘনঘন চা খাই। দু’দিকে মুখওয়ালা গোটা চারেক বেঞ্চি অবশ্য আছে বসার জন্যে। সেগুলোর প্রায় সবক'টারই দখল নিয়ে বসে থাকেন পাকাচুলো, রিটায়ার্ড বুড়োদের এক-একটা দল। কখনও-সখনও ফাঁকা পেয়ে বসে পড়ে শুনেছি তাঁদের কথাবার্তা। মানুষ এত অর্থহীন বকবক করতে পারে, এদের কথা না শুনলে বিশ্বাস হয় না। যেমন, একদিন হয়তো আলোচনা শুরু হল, আজকালকার বউমাদের ঘরের কাজকর্মে অনীহা, আলস্য, শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি অবজ্ঞা ইত্যাদি। এই সব নিয়ে আলোচনা চলতে চলতে যখন আমার ট্রেন এসে পড়েছে বলে উঠে আসছি, তখন শেষটুকু শুনে এলাম, “আজকালকার বউমারা আমাদের বউদের চেয়ে অনেক ভাল। কত বাইরের কাজ পারে, ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়, ইউটিউব দেখে কত দেশবিদেশের নতুন নতুন রান্না করে খাওয়ায়, ঘণ্টায় ঘণ্টায় ওষুধ খাওয়াতে ভোলে না। আবার চাকরিও করে, নাতিনাতনিদের পড়ায়। নাহ্, লেখাপড়া জানা বউমা থাকার অনেক সুবিধা।”
Denne historien er fra December 17, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra December 17, 2023-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
দূর বিনীত রাজনীতি
সমস্ত বয়সি মানুষের একই সঙ্গে এই ভাবে কোনও একটি ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানানো— এ এক কথায় অভূতপূর্ব।
হুমকি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায়
এই জনজাগরণের সময়েও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র কেন ধরেই নেয় যে, নাগরিক মাথা নত করে মেনে নেবে এই থ্রেট কালচার?
স্বতন্ত্র একজন রাজনীতিবিদ
১৯৭৭ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর। জেএনইউ-র ছাত্রনেতা সীতারাম একেবারে ইন্দিরা গান্ধীর সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। সেই সময়ের চরম আধিপত্যবাদী, জরুরি অবস্থা জারি করা প্রধানমন্ত্রী আচার্য থাকেননি, পদত্যাগ করেছিলেন।
পথের শেষ কোথায়?
বিলের নামের পুরো ভাগে ‘অপরাজিতা' কথাটি বসানো যে এক নির্মম কৌতুক, এটা সরকারের মনে হয়নি! নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ সারা পৃথিবীতে হয়, কিন্তু আমাদের সমাজ যে ভাবে আক্রান্ত হওয়ার লজ্জা নারীর উপর চাপিয়ে তাকে আমরণ হেনস্থা করে তার কোনও তুলনা নেই।
গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
জাইজিসের জাদু-আংটি এবং শাস্তির প্রতীক্ষা
সমান হতে হবে শুধু অপমানে নয়, সমস্ত যন্ত্রণায়, সমস্ত অসহায়তায়, সমস্ত ক্রোধে। তখনই সুনিশ্চিত হবে অপরাধের শাস্তি। অন্যথায় রয়ে যাবে নীতিভ্রষ্ট পৃথিবীতে শাস্তির অনন্ত প্রতীক্ষা।
ঋজু দৃঢ় সঙ্গীতব্যক্তিত্ব
সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪২০১১) কেবল গায়কের পরিচয়ে বাঁধা পড়েননি, পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘শিল্পী’র আসনে।
স্মৃতিজড়ানো বকুল
তাঁর বাল্য, কৈশোর সব ধরা আছে এই গন্ধের মধ্যে। এত দিন এই গন্ধ তিনি মনে মনে কল্পনা করেছেন। কিন্তু আজ তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর হারানো বাল্য আর কৈশোরকে।
বার্লিনের ডায়েরি
বার্লিন শহরের মজ্জায় রয়েছে প্রতিবাদ। তার শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ দেওয়ালে ছড়ানো গ্রাফিতিতে—ব্রিজের নীচে, কাফের গায়ে, এমনকি ইউ-বান ট্রেনের দেওয়ালেও।
মিথ ও অপর বাস্তবের চিত্র
প্রকট না হয়েও অন্যরকম একটা পাঠ মিশে থাকে শুভাপ্রসন্ন-র রামায়ণ-বিষয়ক চিত্রাবলীর এই প্রদর্শনীতে।