ক থাসাহিত্যে গল্পের পরিসর নিয়ে, মাত্রা ও পরিক্রমা নিয়ে নানা স্তরে বিতর্ক আছে। গল্পের মধ্যে অন্তর্ঘাত ) এনে, তাকে থমকে দিয়ে, ভেতরের দিকে যাত্রা থাকে কারও লেখায়। এটা একটা ঘরানা। আবার কোনও লেখা কাহিনির নিরুপদ্রব চলনে আস্থা রাখে, ঘটনার পরতের পর পরত খুলতে খুলতে চলে। সমারসেট মম এই দ্বিতীয় ঘরানার লেখক। বিশ শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকদের একজন তিনি, একটা সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থমূল্য ছিল তাঁর লেখার, কিন্তু তাঁর সময়ের ফকনার, ভার্জিনিয়া উল্ফ, টমাস মান বা জেমস জয়েসের মতো ‘আধুনিক’ লেখকরা যে-গুরুত্ব ও প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন বিশ্বসাহিত্যে, মম যে তা পেলেন না তার কারণ, মনে করা হয়, তাঁর ওই অবারণ গল্প বলার প্রবণতা। মম নিজে অবশ্য মনে করতেন যে, তাঁর সীমিত শব্দভান্ডার আর ভাষায় গীতলতার অভাবই এর জন্য দায়ী। মনে পড়বে, কিপলিংয়ের প্রশংসা করেছিলেন তিনি, তাঁর শব্দের অপরিমিত তহবিলের জন্য। কিপলিংয়ের রচনায় শব্দের নিখুঁত ও বহুবর্ণময় ব্যবহ । অনুসরণের আকাঙ্ক্ষা ছিল তাঁর। গল্প বলার ক্ষমতায় মমের কোনও জুড়ি ছিল না এবং তিনি নিজে এই প্রবণতার পক্ষে সরবে কথা বলেছেন। তাঁর গল্প যে খাবার টেবিলে বসে পড়ে শোনানো যায় এবং শ্রোতাদের বশ করে রাখতে পারে, এটা বলতে তাঁর কোনও দ্বিধা ছিল না। তাঁর মত ছিল, বিষয়ের মধ্যে নাটকীয়তা না এনে পাঠককে ভোলানো সম্ভব নয়। এই সূত্রেই তাঁর প্রিয় লেখক চেখভ এবং তাঁর নিজের দর্শন কোথায় আলাদা, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। চেখভ বলেছিলেন, সাধারণ মানুষ উত্তরমেরু যায় না, তারা অফিস যায়, বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে এবং বাঁধাকপির ঝোল খায়। তারাই তাঁর গল্পের চরিত্র। মমের প্রতিক্রিয়া ছিল: গল্পের প্রয়োজনে এই সব মানুষকেই অফিস থেকে টাকা চুরি করতে হবে, অথবা খুন করতে হবে, বউকে ত্যাগ করতে হবে। আর বাঁধাকপির ঝোল খেলেও তা আবেগের রসে টইটম্বুর হতে হবে। এই দর্শন মম সারা জীবন লালন করেছেন।
Denne historien er fra January 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra January 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।