ইয়ের ক্লাবে সত্যজিৎ রায় প্রসঙ্গে বলা হয়েছে— ১৯৫৫ সালে প্রথম ছবি পথের পাঁচালী তৈরি করে বিশ্বচলচ্চিত্র মানচিত্রে ভারতবর্ষকে স্থায়ী জায়গা করে দিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের কলাভবনের এই প্রাক্তন ছাত্র।
বইয়ের নামটি ‘সত্যজিতের রবীন্দ্রনাথ'। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে শান্তিনিকেতনের কলাভবনে তাঁর ছাত্রজীবন, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক, তাঁর দেখা রবীন্দ্রনাথ, কবির মৃত্যুতে বন্ধু দিনকর কৌশিককে সঙ্গে নিয়ে ছুটে আসা, কুড়ি বছর পরে কবির শতবর্ষে সেই তাঁকে নিয়ে চুয়ান্ন মিলিমিটারের অসামান্য এক তথ্যচিত্র নির্মাণ, রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ, তাঁর সারাজীবনের রবীন্দ্রপ্রীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীতপ্রীতি, শান্তিনিকেতন-প্রীতি এবং রবীন্দ্র-অনুষঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের যাবতীয় চিন্তাভাবনার ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকবে রয়্যাল সাইজের এই নূতন সত্যজিৎ রায় সম্পর্কিত বইখানিতে।
সত্যজিৎকে আমরা হারিয়েছি বত্রিশ বছর। তবু আজও সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের পরেই বাংলায় বোধহয় সবচেয়ে বেশি বই বিক্রি সত্যজিৎ রায়ের। আজও তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে তাঁকে নিয়ে কোনও বই বেরোলেই পৃথিবীর ঋদ্ধি যেখানেই থাকুন সেই বাঙালি প্রকাশিত বইটির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পাঠক আজও সত্যজিৎকে নতুন করে জানতে চান, চিনতে চান। তাঁর প্রতি বিস্ময় যে এখনও আমাদের কাটেনি। তাঁর বাংলা ছবি, তাঁর সাহিত্য, তাঁর ইলাস্ট্রেশন, তাঁর প্রচ্ছদ, তাঁর বাংলা ইংরেজি হস্তাক্ষর, তাঁর দেহসৌষ্ঠব, তাঁর কণ্ঠস্বর, তাঁর বাচনভঙ্গি—এ কেবল একমাত্র রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেই তুলনীয় হতে পারে। সেই দু'টি নাম—সত্যজিৎ ও রবীন্দ্রনাথ—যদি একত্রিত হয়ে কোনও নতুন বই বেরোয়, পাঠক তো কৌতূহলী হবেনই। তবে বইয়ের প্রচ্ছদে এবং নামপত্রে কিছু ছোট হরফে সাবটাইটল-এ বলা হয়েছে ‘চিত্রনাট্য ও অন্যান্য'। এবং বইয়ের গোড়ায় দু'টি পাতার ক্ষুদ্র ‘কথামুখ”-এ বলা হয়েছে, ‘এই বইয়ের মূল অভিমুখ রবীন্দ্রকাহিনি ভিত্তিক তিনটি চলচ্চিত্র'। প্রথম ১৯৬১: তিনকন্যা। গল্পগুচ্ছের তিনটি গল্প: ‘পোস্টমাস্টার’, ‘মণিহারা, ‘সমাপ্তি’, দ্বিতীয় ১৯৬৫ : গল্পগুচ্ছের ‘নষ্টনীড়' অবলম্বনে চারুলতা। তৃতীয় ১৯৮৪: ঘরে-বাইরে উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র।
Denne historien er fra April 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra April 17, 2024-utgaven av Desh.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।